বিশ্বনাথে মাদ্রাসা অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে দূর্নীতির অভিযোগের তদন্ত
প্রকাশিত হয়েছে : ২৪ ডিসেম্বর ২০১৯ ইং, ১০:৩২ অপরাহ্ণ | সংবাদটি ৭৫২ বার পঠিত
ডেইলি বিশ্বনাথ ডেস্ক:: বিশ্বনাথে এলাহাবাদ ইসলামীয়া আলিম মাদ্রাসার অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে দূর্নীতি ও ভূঁয়া ভাউচারের মাধ্যমে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ পাওয়া গেছে। গত ১২মার্চ সিলেট জেলা প্রশাসক বরাবর এমন অভিযোগ দেন একই মাদ্রাসার আজীবন সদস্য আব্দুস সবুর। পাশাপাশি তিনি দূর্নীতি দমন কমিশন দুদকেও আরেকটি অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগে তিনি উল্লেখ করেন, অধ্যক্ষ আবু তাহির মোহাম্মদ হোসাইন দীর্ঘ ২৩ বছর ধরে এলাহাবাদ ইসলামীয়া আলিম মাদ্রাসার অধ্যক্ষের দায়িত্ব পালন করে আসছেন। এর পর থেকেই তিনি মাদ্রাসায় ছোটখাট কাজ করে ভূঁয়া ভাউচারের মাধ্যমে নিয়মিত অর্থ আত্মসাৎ, নিয়োগ ও বরখাস্তের মাধ্যমে বাণিজ্য, ব্যাংক হিসাব এবং খাতায় ব্যাপক গড়মিল রয়েছে। তার আমলে দীর্ঘ ২৩টি বছরে ওই মাদ্রাসায় কোন প্রকার উন্নতি হয়নি। মাদ্রাসাটি একটি জরাজীর্ণ অবস্থায় রয়েছে। শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের জন্য নেই বিশুদ্ধ খাবার পানি ও স্বাস্থ্য সম্মত স্যানিটেশন ব্যাস্থা। এছাড়াও তিনি অধ্যক্ষের পাশাপাশি খাজাঞ্চি ইউনিয়নের নিকাহ রেজিস্ট্রার একজন কাজী হিসেবে কর্মরত রয়েছেন। মাদ্রাসা থেকে প্রতিমাসে ৪৩হাজার টাকা বেতনের পাশাপাশি কাজীর দায়িত্ব পালন হিসেবে প্রতিবছর ৬থেকে ৭লক্ষ টাকা আয় করে থাকেন। কিন্তু আয়কর রিটার্নে তিনি কাজী হিসেবে যে আয় হয় সেটি গোপন করে আসছেন। এভাবে মাদ্রার দিকে নজর না দিয়ে তিনি তার আখের গোছাতেই ব্যস্ত সময় পার করছেন। তার এই দূর্নীতিতে মাদ্রাসার দু’একজন শিক্ষকও সহযোগীতা করে আসছেন বলে অভিযোগ করেন। মঙ্গলবার বিকেলে এই দুটি অভিযোগের একটি সিলেট জেলা প্রশাসক বরাবর দায়ের করা অভিযোগের তদন্ত করতে মাদ্রাসায় যান উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার সমির কান্তি দেব। তিনি বলেন তদন্ত রিপোর্ট দিতে আরও এক সপ্তাহ সময় লাগবে। কিছু তথ্য বাকি থাকায় তিনি এখনও তদন্তের বিষয় কিছু বলতে পারছেন না বলে জানান।