বিশ্বনাথে হাওরে পানি সেচকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষে কৃষক নিহত, আটক ৩

নিজস্ব প্রতিবেদক:: সিলেটের বিশ্বনাথে চাউলধনী হাওরের পানি সেচকে কেন্দ্র করে দু’পক্ষের সংঘর্ষে ছুরকুম আলী (৭৫) নামের এক কৃষক নিহত হয়েছেন। তিনি উপজেলার দৌলতপুর ইউনিয়নের চৈতননগর গ্রামের মৃত আকবর আলীর ছেলে। বৃহস্পতিবার দেড়টার দিকে চৈতননগর গ্রামের ছুরকম আলী ও ইজারাদার সাইফুল আলম লোকজনের মধ্যে চাউলধনী হাওরের পূর্ব পাশে কান্দিকাটার খাল নামক স্থানে এ ঘটনা ঘটে। এতে উভয় পক্ষের অনন্ত ১২জন আহত হয়েছেন। আহতরা হলেন চৈতননগর গ্রামের মৃত চান্দ আলীর ছেলে ইন্তাজ আলী, একই গ্রামের আহমদ আলীর ছেলে জাহাঙ্গীর আলম, রেজাউল ইসলাম, নিহত ছরকুম আলী দয়ালের ছেলে পাবেল মিয়া, আশরাফ আহমদ। তাৎক্ষনিক আহতদের নাম জানাযায়নি। তবে গুরুতর আহতদের সিলেট ওসমানী হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। এঘটনায় বিশ্বনাথ থানা পুলিশ ঘটনার পর পরই অভিযান চালিয়ে ইজারাদার পক্ষের ৩ জনকে আটক করেছে। তারা হলেন-উপজেলার দশঘর ইউনিয়নের টিল্লাপাড়া গ্রামের তাহিদ আলীর ছেলে আসাম উদ্দিন (২৬), মাহফুজ আলীর ছেলে হাফিজ সায়েদ আহমদ (২০) ও দশপাইকা গ্রামের মৃত মছদ্দর আলীর ছেলে হুশিয়ার আলী (৩৬)।
এব্যাপারে নিহত কৃষক ছরকুম আলী দয়ালের ভাতিজা আব্দুল করিম সাংবাদিকদের জানান, তার চাচা ছরকুম আলী দয়াল বৃহস্পতিবার দুপুরে চাউলধনী হাওরের জলমহাল থেকে নিজ কৃষি জমিতে পানি সেচ করতে যান। এসময় স্থানীয় প্রভাবশালী সাইফুল ইসলামের নেতৃত্বে জলমহালের ইজাদার পক্ষের দিলোয়ার, সিরাজ, আছকির, মুজিবসহ ১০/১৫ জনের একটি সন্ত্রাসী দল কৃষক ছরকুম আলী দয়ালকে মারধর করে। এতে ঘটনাস্থলেই তিনি (ছরকুম) মারা যান। এসময় ছরকুম আলীকে বাঁচাতে তার পক্ষের লোকজন এগিয়ে আসলে তাদের উপরও হামলা করেন ইজাদার পক্ষের লোকজন। ওই হামলায় কৃষকের পক্ষের আরো ৪ জন আহত হয়েছেন। ঘটনার পর ছরকুম আলীকে হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
অভিযুক্ত সাইফুল ইসলামের সাথে তার ব্যক্তিগত মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও তার সঙ্গে কথা বলা সম্ভব হয়নি।
কৃষক ছরকুম আলী দয়ালের নিহতের সত্যতা নিশ্চিত করে সাংবাদিকদের বিশ্বনাথ থানার অফিসার ইন-চার্জ (ওসি) শামীম মুসা বলেন, বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত এবং এঘটনায় ৩ জনকে আটক করা হয়েছে।