উইমেন্স হাসপাতাল বন্ধ ও চিকিৎসায় অবহেলাকারীদের সনদ বাতিলের দাবি
প্রকাশিত হয়েছে : ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৫ ইং, ১২:০৭ অপরাহ্ণ | সংবাদটি ১৩৪৫ বার পঠিত
সিলেট উইমেন্স মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল বন্ধ ও চিকিৎসায় অবহেলাকারী ডাক্তারদের সনদ বাতিলের দাবি জানিয়ে বক্তারা বলেন, দরজায় আঙ্গুলে ব্যথা পাওয়া সাংবাদিক বদরুর রহমান বাবরের শিশুপুত্র সাফিকে ইচ্ছাকৃতভাবে অপারেশন থিয়েটারে নিয়ে অঙ্গহানি ঘটিয়েছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। সেবার নামে বাণিজ্যের কারণেই এ ঘটনা ঘটেছে। অথচ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ন্যূনতম সহানুভূতি প্রকাশ না করে চিকিৎসাসেবার মতো মহৎপেশাকে বাণিজ্যিকরণ করতে শুরু করেছে।
শুক্রবার বেলা ৩টায় নগরীর এশিয়া ছিন্নমূল মানবাধিকার বাস্তবায়ন ফাউন্ডেশন আয়োজিত মানববন্ধনে বক্তারা এ কথা বলেন।
এশিয়া ছিন্নমূল মানবাধিকার বাস্তবায়ন ফাউন্ডেশন সিলেট সিটি অঞ্চল সমন্বয়কারী রেহানা ফারুক শিরিনের সভাপতিত্বে ও সংগঠনের সিলেট অঞ্চলের উপ-পরিচালক (প্রশাসন), সিসিক কাউন্সিলর শামীমা স্বাধীনের পরিচালনায় মানববন্ধন চলাকালে বক্তারা আরো বলেন, খ্রিষ্টানদের ভূমি দখল করে গড়ে উঠা এ প্রতিষ্ঠানে চিকিৎসা সেবার নামে রন্ধ্রে রন্ধ্রে অবহেলা ও বাণিজ্যিকরণ ডুকে পড়েছে। সিলেট উইমেন্স মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের ডাক্তার নামধারী কয়েকজন দুষ্কৃতিকারী অপারেশন থিয়েটারে রোগীর সেবার পরিবর্তে নিজেরা হাসি-তামাশায় ব্যস্ত থাকছে। এছাড়া রোগীর স্বজনদের সাথেও দুর্ব্যবহার করছে। এই ডাক্তার নামধারী দুষ্কৃতিকারীদের অবহেলার কারণে সাংবাদিক বাবরের শিশুপুত্র সাফির আঙ্গুল কেটে ফেলতে হয়েছে। এই অপকর্মের সাথে জড়িতদের ডাক্তারি সনদ বাতিল ও হাসপাতালের অনুমতি বাতিল করে অবিলম্বে বন্ধের দাবি জানান বক্তারা।
মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন টেলিভিশন সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি ও সময় টিভির সিলেট ব্যুরো প্রধান ইকরামুল কবির, সিলেট প্রেসক্লাবের সহ সাধারণ সম্পাদক ইকবাল মাহমুদ, দৈনিক সকালের খবরের নিজস্ব প্রতিবেদক দিপু সিদ্দিকী, জাতীয় পার্টির মহানগর সাংগঠনিক সম্পাদক এম বরকত আলী, নয়াসড়ক সমাজ কল্যান সংস্থার সভাপতি সভাপতি ইকবালুর রহমান, সংগঠনের উপ-পরিচালক (প্রশাসন) সিটি অঞ্চল মুহিবুর রহমান জনি, উপ-পরিচালক ইসমাঈল হোসেন, সেক্টর কমান্ডারস ফোরাম সিলেট বিভাগের সহ-সভাপতি মারিয়ান চৌধুরী, হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদের সভাপতি অসিত ভট্রাচার্য, বাংলাদেশ প্রজন্মলীগ কেন্দ্রিয় সাংগঠনিক সম্পাদক এম বাবর লস্কর, অটোরিক্সা শ্রমিক লঅগের সাংগঠনিক সম্পাদক শেখ বাবলু মিয়া, প্রজন্মলীগ সিলেট জেলা সাংগঠনিক সম্পাদক আফজল হোসেন, মহানগর প্রজন্মলীগের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ মামুন আহমদ, সংগঠনের জালালাবাদ থানা কমিটির সভাপতি মোহাম্মদ আলী, বঙ্গবন্ধু শিশু কিশোর মেলার সিলেট জেলা সভাপতি কাজী মুহিবুর রহমান সুমন, মানবাধিকার সংস্থা বাসক সিলেট বিভাগের সভাপতি সুহেল আহমদ, শেখ আনোয়ার চৌধুরী, আবদুল আহাদ, জিহাদ চৌধুরী, ২১নং ওয়ার্ড যুব সমাজ নেতা নুরুল হাসান চৌধুরী রাজা, উর্মি সমাজকল্যান সংস্থার সভাপতি আফজল হোসেন মান্না, পারিসুর রহমান পারিস, সাকিব আহমদ, আলী হাসান, কাজী মুহিবুর রহমান, সাহেদ আহমদ, জাহেদ আহমদ, মিন্টু চৌধুরী, রুকন আহমদ, সাবেল আহমদ, শামসুদ্দিন শামীম, সাহাব উদ্দীন, সাহেদ আহমদ, আমীর আলী, ফজলুল হক, নারী নেত্রী আসমাউল হাসনা খান, ডা. জেসমিন খান, স্বপ্না বেগম, রহিমা বেগম, রোখসানা বেগম, জেসমিন বেগম, ইকবাল হোসেন মিঠু প্রমুখ।
মানববন্ধন চলাকালে শিশু সাফির পিতা বাংলাভিশনের ক্যামেরাপার্সন বদরুর রহমান বাবর কান্নাজড়িত কন্ঠে বলেন, যখন ছেলের কাছে যাই, তখন তার সামনে মুখ দেখাতে পারি না। সাফি বার বার লিখতে পারবে কিনা জানতে চাইলে কোনো জবাব দিতে পারি না। আর কোনো পিতাকে যেনো এ প্রশ্নের মুখোমুখি হতে না হয়।
মানববন্ধন থেকে শনিবার সিলেট উইমেন্স মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল বন্ধ ও চিকিৎসায় অবহেলাকারী ডাক্তারদের সনদ বাতিলের দাবিতে জেলা প্রশাসক বরাবারে স্মারকলিপি প্রদানের কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়। বিজ্ঞপ্তি