চিকিৎসার নামে সাধারন মানুষ যেভাবে প্রতারণার শিকার হচ্ছেন
প্রকাশিত হয়েছে : ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৫ ইং, ৪:৪৫ পূর্বাহ্ণ | সংবাদটি ১২৩৬ বার পঠিত
নিউজ ডেস্ক: পৃথিবীতে ডাক্তারদের সৃষ্টিকর্তার পরেই স্থান দেয়া হয়েছে। কারন, আমাদেরকে মৃত্যুর হাত থেকে রক্ষা করার জন্য তারা তাদের সাদ্ধের বাহিরে যেয়েও অনেক চেষ্টা করে। কিন্তু এখন পৃথিবীতে সব থেকে বেশি অসাধু ব্যাবসা এই চিকিৎসার মাধ্যমেই করা হয়ে থাকে। হার্ট সার্জারির খরচ দিন দিন শুধু বৃদ্ধি পাচ্ছেই। যেখানে খরচ হয় মাত্র ৪০,০০০ টাকার মত, সেখানে ১,২০,০০০ টাকা হাসপাতালে জমা নেয়া হয়। এখানে আশ্চর্যজনক হবার কিছু নেই যে, তারা সবসময়ই টাকা উপার্জনের জন্য বিভিন্ন পন্থা অবলম্বন করে। কিভাবে তারা প্রতারণা করছে জেনে নিন-
১. পরীক্ষায় প্রতারণা করে:
যাদেরকে আপনি অনেক জ্ঞানের অধিকারী বলে মনে করছেন, তারা কি সত্যিই তাদের পরীক্ষা ঈমানের সাথে দিয়েছিল নাকি সেখানেও প্রতারণা করেছে জানেন কি? গত দুই বছর আগে, পোস্ট গ্রাজুয়েট মেডিক্যাল প্রবেশিকা পরীক্ষায়, দুইজন ছাত্র তাদের প্রশ্নপত্র আগের দিন চুরি করে নেন, তারপর পরীক্ষার সময় তারা তাদের শার্টের ভেতরে গোপনভাবে কব্জির সাথে মোবাইল যুক্ত করেন। সাথে ব্লুটুথ ডিভাইস নিয়ে এসেছিলেন তারা। এখন তারা পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে ডাক্তারও বনে গেছেন।
২. হোমিওপ্যাথি:
হোমিওপ্যাথি ঔষধ সেবনের ফলে যেকোনো রোগ গোঁড়া থেকে নির্মূল হয়। এখন আমাদের দেশে অলিতে-গলিতে হোমিও ডাক্তার বসে। তাদের মধ্যে কতজনই বা অভিজ্ঞতা সম্পন্ন তা আমাদের জানা নেই। না জেনে বিভিন্ন ভুল চিকিৎসার শিকার হচ্ছি আমরা। এভাবে তারা অর্থ উপার্জন করছে আর সাধারণ মানুষ প্রতারণার শিকার হচ্ছে।
৩. অঙ্গের ব্যবসা:
২০০৮ সালে পুলিশ কিডনি ট্রান্সপ্লান্ট এর একটি অনেক বড় সংঘটনকে গ্রেফতার করে। তারা দরিদ্র মানুষের কিডনি নিয়ে আমেরিকা, গ্রীস, সৌদি আরবে রপ্তানি করত।
৪. সার্জারির মাধ্যমে ব্যবসা করা:
বিভিন্ন ধরনের অপারেশান করার কথা বলে তারা অর্থ উপার্জন করে। অপারেশান করার প্রয়োজনিয়তা আসে কি নেই তা পর্যবেক্ষণ করার আগেই তাদের অপারেশান এর জন্য উদ্ধুক্ত করেন। কারও প্রতি কোন মায়া রাখেন না তারা।
৫. হাতুড়ে ডাক্তার:
অনেক ডাক্তার এমন রয়েছে যাদের কোন ডিগ্রী নেই। এদের নিকটে স্বাস্থ্য পরীক্ষা করায় পরবর্তীতে অনেক সমস্যার সৃষ্টি হতে পারে। কিন্তু অনেকেই না জেনে উনাদের পরামর্শমত ঔষধ সেবন করছে। এতে ভয়ংকর ক্ষতি হবার সম্ভাবনা রয়েছে।
–সূত্র: ইন্ডিয়া টাইম্স।