পশু হাসপাতাল নিজেই রোগী!
প্রকাশিত হয়েছে : ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৫ ইং, ৯:৪০ পূর্বাহ্ণ | সংবাদটি ৯৩৫ বার পঠিত
নুর উদ্দিন::বিশ্বনাথ উপজেলাা পশু হাসপাতাল নিজেই রোগী হয়ে গেছে! নানা সমস্যায় জর্জরিত এখন উপজেলার একমাত্র পশু হাসপাতালটি। হাসপাতালটি পশুদের চিকিৎসা দেবে কি, নিজেই এখন ‘চিকিৎসা’র যোগ্য! এদিকে হাসপাতালে রয়েছে জনবলের সংকট। ১১টি পদের মধ্যে শূন্য রয়েছে ৪টি গূরুত্বপূন্য পদ। শূন্য পদগুলো হচ্ছে-ভ্যাটেনারী ফিল্ড এসিসটেন্ট (ভিএফএ) ১ জন, ড্রেসার ১ জন, টিএলএ ১ জন ও অফিস সহকারী ১ জন। জনবল সংকটের কারণে হাসপাতালের সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন উপজেলার প্রায় লাখো মানুষ।
উপজেলার পশু হাসপাতালটি ঘুরে দেখা যায়, পুরো হাসপাতাল জুড়ে নিশ্চুপ নীরবতা। যেন প্রাণের কোনো সাড়াশব্দই নেই। একজন কর্মকর্তাকে চুপচাপ বসে থাকতে দেখা যায়। তাঁকে নিয়ে হাসপাতাল ঘুরে দেখা যায়, হাসপাতালের ভবনের দেয়ালে সৃষ্টি হয়েছে বড় বড় ফাটল, অনেক জায়গায় ধসে পড়েছে ছাদের পলেস্তার। বৃষ্টি হলে পানিও ফ্লোরের মাঝে জমে থাকে। বৃষ্টির পানি থেকে বাঁচতে পলিথিনের ছাউনিও দেয়া হয়েছে। ভবনের দরজা-জানালাও ভেঙে কোনোরকমে টিকে আছে। বাথরুমের অবস্থাও শোচনীয়। হাসপাতালটি বিভিন্ন ধরনের লতাপাতায় ছেয়ে গেছে। ভুতুড়ে পরিবেশের কারণে সেখানে যে কেউ ভয় পাবে। ঝুঁকি নিয়ে কাজ করছেন কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। যেকোনো সময় ঘটতে পারে দূর্ঘটনা এমন আশংকা করছেন কর্মকর্তারা।
উপজেলার গুরুত্বপূর্ণ এই হাসপাতালে রয়েছে প্রয়োজনীয় আসবাবপত্রের অভাব। তাছাড়া পর্যাপ্ত পরিমাণ ওষুধ না থাকায় হাসপাতালটিতে পশু নিয়ে আসতে মানুষের মাঝে সৃষ্টি হয়েছে অনীহা। সবমিলিয়ে উপজেলার এই পশু হাসপাতালটির অবস্থা বড়ই করুণ। যেন দেখার কেউ নেই। স্থানীয় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ একাধিকবার উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে এ বিষয়ে অবহিত করলেও টনক নড়েনি কর্তৃপক্ষের। একই অবস্থা রয়েছে ভ্যাটেনারী সার্জনের ও কমপাউন্টারের বাসভবনেও। বসবাসের প্রায় অনুপযুক্ত হয়ে পড়েছে,তবু তারা কোনোরকমে সেখানে বাস করছেন।
উপজেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা ডাঃ নজরুল ইসলাম বলেন, অফিস করছি অনেকটা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে। ঝুঁকি পূর্ন অবস্থার কথা বেশ কয়েকবার উবর্ধতন কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন করেছি কিন্তু এখনো কাজ হচ্ছেনা।