বালাগঞ্জে বিলের ইজারা বাতিলের দাবীতে ফুঁসে উঠেছে এলাকাবাসী
প্রকাশিত হয়েছে : ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৫ ইং, ৯:৪৬ পূর্বাহ্ণ | সংবাদটি ১১৭৭ বার পঠিত
শামীম আহমদ, বালাগঞ্জ: বালাগঞ্জে একটি বিল ইজারা প্রদান করা নিয়ে ফুঁসে উটেছে এলাকাবাসী। সম্প্রতি বিলটি ইজারা দেয়ায় এলাকাবাসী ও দরিদ্র মৎস্যজীবিরা ইজারাদারদের বাধার মুখে পড়ে নানা ভাবে হয়রানীর স্বীকার হচ্ছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এলাকাবাসীর অভিযোগ বেশ কয়েক বছর পুর্বে কাড়ার বিল নামক এই বিলের ১৯৮৭ দাগের ভুমি ইজারা দেয়া হলেও পরবর্তীতে এলাকাবাসীর দাবীর মুখে তা বাতিল করা হয় এবং এর পরে আর বিলটি ইজারা দেয়া হয়নী। ফলে স্থানীয় এলাকাবাসী ও দরিদ্র মৎস্য জীবিরা অবাধে মাছ আহোরন করে জীবিকা নির্বাহ করে আসছিলেন। সম্প্রতি ইজারাকৃত বিলের ১৩৮২ ও ১৫৮১ দাগে ব্যক্তি মালিকানাধীন ভুমি অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। এর ফলশ্রুতিতে স্থানীয় মোকবেলপুর, সর্বানন্দপুর, হুশিয়ারপুর, একালিমা, মাকড়সী, শিংরাকোনা ও মনোহরপুর গ্রাম বাসি ও দরিদ্র মৎস্যজীবিরা বিলের দেশীয় প্রজাতির সুস্বাধু মাছ থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। এলাকাবাসীর মধ্যে তীব্র ক্ষোভ বিরাজ করছে এতে করে যে কোন সময় রক্তক্ষয়ী সংঘাতের আশঙ্কা রয়েছে। বিলের ইজারা বাতিল করার দাবী জানিয়ে এলাবাসীর পক্ষ থেকে গত বছরের ১৪ ডিসেম্বর সিলেটের জেলা প্রশাসকের নিকট লিখিত আবেদন দেয়া হলে বিষয়টি তদন্ত করার জন্য জেলা প্রশাসকের অফিস থেকে উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তাকে দায়িত্ব প্রদান করা হয়। তদন্তের জন্য উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তার পক্ষ থেকে নোটিশ করা হলে গত ২২ ফেব্রুয়ারী এলাকার কয়েক শত লোক মৎস্য অফিসের সম্মুখে জড়ো হন। এ সময় মৎস্য কর্মকর্তা এলাবাসীর কথা শুনেন এবং তাদের দাবী রক্ষা করা হবে বলে আশ্বাষ দেন। স্থানীয় এলাবাসীর ও জেলা প্রশাসকের নিকট প্রেরিত আবেদন সুত্রে জানা যায়, উপজেলার বোয়ালজুড় ইউনিয়নের মোকবেলপুর ও মাকড়সী মৌজার এসএ ১৩৮২ নং দাগের ভুমি ও ১৫৮১, ১৯৮৭ নং দাগের আন্তর্ভুক্ত কাড়ার খাল নামক বিলটি গত বছরের শেষের দিকে একটি মৎস্যজীবি সমিতির নামে মাত্র ১হাজার ৩শ ১টাকা মুল্যের বিনিময়ে ৩ বছরের মেয়াদী ইজারা দেয়া হয়েছে। এব্যাপারে মোকবেলপুর গ্রামের ফয়ছল আহমদ, তফজ্জুল আলী, বাসির মিয়া, সাইস্থা মিয়া, সর্বানন্দপুর গ্রামের হাজী রুস্তুম আলী, হুশিয়ারপুর গ্রামের হাফিজ আহমদ আলী, একালিমা গ্রামের রাখাল চন্দ্র পাল, বাদল পাল, কাজল পাল, মাকড়সী গ্রামের আব্দুস সাত্তার, গিয়াস উদ্দিন, সুনু মিয়া, শিংরাকোনা গ্রামের নিবারন দাস, তেরাই মিয়া, মনোহরপুর গ্রামের নেছার আলী, টুনু মিয়া মাস্টার প্রমুখ ব্যক্তিগন ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ক্ষমতীন একটি স্বার্থনেসী মহল তাদের ব্যক্তি স্বার্থের জন্য প্রশাসনকে ব্যবহার করে বিলটি ইজারা নিয়ে দরিদ্র মৎ্যস্যজীবি সহ এলাকার লোকজনের পেটে লাথি মারছে। ইজারা বাতিলের দাবিতে বোয়ালজুড় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল নুরকে সাথে নিয়ে আমরা গনস্বাক্ষর আদায় করে প্রশাসনিক বিভিন্ন দফতরে প্রেরন করেছি।
উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা (অ:দা:) আমিনুর রহমান বিষয়টির সত্যতা স্বীকার করে বলেন, ইজারাদার এবং এলাকাবাসীর সাথে কথা বলে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নিকট একটি প্রতিবেদন পাঠানো হয়েছে।