‘শূন্য থেকে মহাবিশ্ব’ বইটির দুই লেখকই মিলিয়ে গেলেন শূন্যে
প্রকাশিত হয়েছে : ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৫ ইং, ৪:৩৭ পূর্বাহ্ণ | সংবাদটি ১৯৩৪ বার পঠিত
“কিন্তু কীভাবে এ ধরণের শূন্যতা থেকে এত্তো বিশাল একটা মহাবিশ্বের উদ্ভব ঘটতে পারে? এটা নিয়ে এখানে আর বিষদ আলোচনায় যাচ্ছি না। পাঠকেরা চাইলে সদ্য প্রকাশিত ‘শূন্য থেকে মহাবিশ্ব’ বইটি (শুদ্ধস্বর, ২০১৫) পড়ে দেখতে পারেন। বইটির প্রতি আমার অবশ্য একটু বাড়তি আবেগ আছে, কারণ- বইটা প্রকাশের সমস্ত আয়োজন সম্পন্ন হবার পর প্রেসে যাওয়ার প্রাক্কালে হঠাৎ করেই আমার সহলেখক প্রখ্যাত গণিতজ্ঞ এবং কানাডার কার্লটন বিশ্ববিদ্যালয়ের এমিরিটাস অধ্যাপক মীজান রহমান আমাদের ছেড়ে চলে যান। তিনি তার জীবনকালে কেবল একজন খ্যাতনামা গণিতবিদই ছিলেন না, ছিলেন একজন সুসাহিত্যিকও। তিনি ‘লাল নদী’, ‘তীর্থ আমার গ্রাম, ‘প্রসঙ্গ নারী’, ‘অ্যালবাম’, ‘অনন্যা আমার দেশ’, ‘আনন্দ নিকেতন’, ‘দুর্যোগের পূর্বাভাষ’, ভাবনার আত্মকথন’, ‘শুধু মাটি নয়’ সহ অনেক অসাধারণ গ্রন্থ লিখেছেন, সমৃদ্ধ করেছেন বাংলা সাহিত্যকে। এর মধ্যে আমার সাথে লেখা ‘শূন্য থেকে মহাবিশ্ব’ বইটি অধ্যাপক মীজান রহমানের শেষ বই, তাঁর শেষ স্মৃতি। ‘শূন্য থেকে মহাবিশ্ব’-এর পাণ্ডুলিপি সম্পন্ন করে অধ্যাপক মীজান রহমান যেন হঠাৎ করেই শূন্যে মিলিয়ে গেলেন! কিন্তু তিনি শূন্যালোকে বিলীন হয়ে গেলেও আমাদের জন্য রেখে গেছেন অশূন্য কিছু অনুপ্রেরণা। তিনি তাঁর এই বই এবং অন্য সকল পূর্ববর্তী কাজের মাধ্যমে তিনি আমাদের আলো দিয়ে যাবেন ‘ঐ যে সুদূর নিহারীকা’ র মতোই – অহর্নিশি। এ লেখার মাধ্যমে জানাই তাঁর স্মৃতির প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা।”
— অভিজিৎ রায়
বইটি প্রকাশিত হবার মাত্র কদিন পর আজ ‘শূন্য থেকে মহাবিশ্ব’ বইয়ের অন্য লেখক অভিজিৎ রায়কেও অনাকাঙ্ক্ষিতভাবে চলে যেতে হলো। এই পোস্টের মাধ্যমে তার স্মৃতির প্রতিও শ্রদ্ধা। ড. অভিজিৎ রায়ের প্রকাশিত গ্রন্থের মধ্যে রয়েছে অবিশ্বাসের দর্শন, ‘আলো হাতে চলিয়াছে আঁধারের যাত্রী’, ‘মহাবিশ্বে প্রাণ ও বুদ্ধিমত্তার খোঁজে’, ‘ভালবাসা কারে কয়’, স্বতন্ত্র ভাবনা : মুক্তচিন্তা ও বুদ্ধির মুক্তি, সমকামিতা : বৈজ্ঞানিক এবং সমাজ-মনস্তাত্ত্বিক অনুসন্ধান।
কবি মুজিব মেহদীর ফেসবুক দেয়াল থেকে
দুর্বৃত্তদের হামলায় লেখক অভিজিৎ রায় নিহত