‘শ্রুতি’ সিলেটের বর্ণমালার মিছিল
প্রকাশিত হয়েছে : ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৫ ইং, ৩:৫৪ অপরাহ্ণ | সংবাদটি ১৩৩১ বার পঠিত
বাঙ্গালি জাতির সমগ্র ইতিহাসে রক্তাক্ষরে লিখিত দিনগুলির মধ্যে একুশে ফেব্রুয়ারি একাটি প্রধান দিন। একটি দিনই সবার পথ এসে মিলে গেছে এক অভিন্ন গন্তব্যে। সবাই নগ্ন পায়ে একই সুরে ধ্বণিত করেছে ’আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙ্গানো একুশে ফেব্রুয়ারি আমি কি ভুলিতে পারি’।
বাংলা মায়ের বীর সন্তানরা মাতৃভাষার সম্মান রক্ষার্থে ৬৩ বছর আগে ১৯৫২ সালে বুকের রক্তে রঞ্জিত করেছিল ঢাকার রাজপথ। প্রতিবছরের বছরের মত এবারও ঐতিহ্যবাহী সাংস্কৃতিক সংগঠন শ্রুতি আয়োজন করেছিলো বর্ণমালার মিছিলের। অনুষ্ঠান মালায় ছিলো একুশের গান, কবিতা পাঠ ও বর্ণমালার মিছিল।
নগ্নপায়ে একুশের সুরে বর্ণমালার মিছিল শুরু হয়। সবার হাতে হাতে ছিল বর্ণমালা আর কন্ঠে ছিলো একুশের গান। সূর্যোদয়ের পরপরই গৌরবের বাংলা বর্ণমালা হতে নিয়ে নগ্ন পায়ে বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে নতুন প্রজন্মের প্রতিনিধিরা শ্রদ্ধার্ঘ্য প্রদান করে শহীদবেদীতে। বর্ণমালা হাতে বর্ণমালার মিছিল বারবার উচ্চারিত হয়েছে সেই সব শহীদর আত্মদানের কথা যাদের আত্মত্যাগের ফলেআমরা বাংলায় মা কে “মা” বলে বলতে পারছি।
অনুষ্ঠানের শুরুতে স্বাগত বক্তব্য রাখেন শ্রুতির সদস্য সচিব সুকান্ত গুপ্ত। বক্তব্য রাখেন সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব ব্যারিষ্টার আরশ আলী, আল আজাদ, সম্মিলিত নাট্য পরিষদের সম্পাদক রজত কান্তি গুপ্ত, কবি সুমিতা দত্ত,শিশু সংগঠক তুহিন কান্তি ধর,শ্রুতি সিলেটের সমন্বয়ক সুমন্ত গুপ্ত।
এতে আরো উপস্থিত ছিলেন নাট্যব্যক্তিত্ব মুনির হেলাল, জেলা সাংস্কৃতিক কর্মকর্তা অসিত বরণ দাশ গুপ্ত, নাট্য ব্যক্তিত্ব আনোয়ার হাসান রনি, কথাকলি সিলেটের শামসুল বাসিত শেরো সহ সিলেটের প্রগতিশীল সাংস্কৃতিক সংগঠনের সদস্যবৃন্দ।