বাঁশের সাঁকোর যুগ!
প্রকাশিত হয়েছে : ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৫ ইং, ১:০২ অপরাহ্ণ | সংবাদটি ১৩০৪ বার পঠিত
তজম্মুল আলী রাজু ::বিশ্বনাথ উপজেলার খাজাঞ্চি ও রামপাশা ইউনিয়নের প্রায় ২০টি গ্রামের কয়েক হাজার মানুষের বসবাস। স্বাধীনতার ৪৩ বছরেও কাংখিত উন্নয়নের ছোয়া লাগেনি এই এলাকায়। যোগাযোগ ব্যবস্থা না থাকায় দুটি ইউনিয়নের গ্রামগুলোর মানুষের মৌলিক চাহিদা, পশ্চাদপদতা, দারিদ্রতা তাদের পিছু ছাড়ছে না। গ্রামগুলো হচ্ছে, বিলপাড়,দ্বিপবন, বাবুনগর, পাঁচঘরি, দোহাল, পালেরচক, কোনাপাড়া, নোয়াপাড়া, শ্রীপুর আরও কয়েকটি গ্রাম রয়েছে। এলাকাবাসী খাজাঞ্চি নদীর উপর চলাচলের জন্য তৈরি করেছেন দুটি বাঁশের সাঁকো ব্রীজ। এই ব্রীজ দিয়ে প্রতিদিন শতশত মানুষ চলাচল করে আসছে।
এদিকে, সম্প্রতি একটি অনুষ্টানে যোগ দিতে ওই এলাকায় যান সাবেক সাবেক সাংসদ ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শফিকুর রহমান চৌধুরী। এসময় তিনি ওই বাঁশের সাঁকো দিয়ে অনুষ্টানস্থলে যেতে দেখা যায়।
জানাযায়, উপজেলার খাজাঞ্চি-রামপাশা দুটি ইউনিয়নের প্রায় ১০ পল্লী এলাকা হওয়া সেখানে বিভিন্ন উন্নয়ন থেকে বঞ্চিত রয়েছে এই এলাকার জনসাধারণ। আবার অনেক স্থানে রাস্তার অস্তিত্ব প্রায় বিলীন। খাজাঞ্চি ইউনিয়নের বিলপাড় ও রামপাশা ইউনিয়নের শ্রীপুরে মধ্যখান দিয়ে বয়ে যায় খাজাঞ্চি নদী। ওই নদীর ওপর রয়েছে দুটি বাঁশের সাঁকো ব্রীজ। বর্ষাকালে এলাকাবাসী ও শিক্ষার্থীদের পুহাতে হয় দূর্ভোগ।
এলাকাবাসী জানান, দেশ স্বাধীনের পর থেকে এলাকায় তেমন কোনো উন্নয়নের ছোয়া লাগেনি। ভোটের সময় জনপ্রতিনিধিরা শত ওয়াদা দিলেও তা বাস্তবে মিলছে না। খাজাঞ্চি নদীর ওপর একটি ব্রীজ নির্মাণ করার জন্য সরকারের প্রতি জোরদাবী জানান তারা।
বাবুনগর গ্রামের বিজয় চন্দ্র দাস বলেন,দীর্ঘদিন ধরে নদীর ওপর ব্রীজ নির্মাণে দাবি জানিয়ে আসছেন এলাকাবাসী। কিন্তু এতে কোনো ফল হয়নি। ফলে বাধ্য হয়ে এলাকাবাসী চাঁদা তুলে নদীর ওপর দুটি বাঁশের সাকো তৈরি করেন।
রামপাশা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আনোয়ার খান এলাকার মানুষ বঞ্চিতের কথা স্বীকার করে বলন, এলাকার মানুষ বিভিন্ন উন্নয়ন থেকে বঞ্চিত রয়েছে। আমার প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে যোগাযোগ ব্যবস্থাকে উন্নতি করতে।