বিশ্বনাথে বাড়ির আঙিনায় ক্যাপসিকাম চাষাবাদ
প্রকাশিত হয়েছে : ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৫ ইং, ৮:২৩ পূর্বাহ্ণ | সংবাদটি ৯৬৫ বার পঠিত
নিউজ ডেক্স::সিলেটের বিশ্বনাথে বাড়ির আঙিনায় ক্যাপসিকাম সবজি চাষাবাদ করে স্বাবলীম্ব হয়েছেন চাষি তরুণ ইমরান আহমদ বেলাল। তিনি উপজেলার অলংকারি ইউনিয়নের রামধানা গ্রামের বাসিন্দা। কৃষি প্রেমের টানে নিজ বাড়ির আঙিনায় তিনি ক্যাপসিকাম চাষাবাদ করেছেন।
২০০৪ সালে ডিগ্রি পাস করে কর্মজীবন কিভাবে শুরু করবেন আর দশটি তরুণের মতোই ভাবছিলেন বেলাল। লন্ডনে পাড়ি দেয়ারও হাতছানি ছিল তার। ২০১৩ সালে বেসরকারি টিভি ‘চ্যানেল-আই’ তে, একটি অনুষ্ঠান দেখে তার মাথায় শুধু ঘুরপাক খাচ্ছিল ‘ক্যাপসিকাম সবজি চাষের’ বিষয়টি। অবশেষে সেই স্বপ্ন বাস্তবায়নে গেল কার্তিকে মাঠে নামেন উদ্যমী তরুণ বেলাল। নিজের বাড়িতেই মাছ ও ঐ সবজি চাষ করে সফল হন তিনি।
বিশাল পাকা বাড়ির সামনে দেড় বিঘা জমিতে চাষ করেছেন ক্যাপসিকাম সবজি। অনেকের কাছে এটি ‘মিষ্টি মরিচ’ বলে পরিচিত। প্রথমবারেই ক্যাপসিকাম উদপাদনে বেলাল সফল।
তিনি জানান, দেড় বিঘা জমিতে বীজসহ চাষে খরচ হয়েছে মাত্র ২৫ হাজার টাকা। চার মাসের মাথায় ৪ হাজার ৭শ’ গাছে এ পর্যন্ত ফলন পেয়েছেন এক হাজার ৬শ’ কেজি। যার মূল্য এক লাখ ৭৬ হাজার টাকা। আরো এক মাস আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে ৪ হাজার কেজি ফল পাবেন বলে তিনি আশা করছেন। খোলা মাঠে এমন ভালো ফলন হবে এ রকম আশা কৃষি কর্মকর্তারাও করেননি জানিয়ে বেলাল বলেন, এটি সাধারণত নেটের ভেতর চাষ হয়ে থাকে। কিন্তু তিনি সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্যান তত্ত্ব বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. এম শহীদুল ইসলামের সহযোগিতায় খোলা মাঠেই চাষ করে আশাতীত ফলন পাচ্ছেন।
বেলাল বলেন, বণিজ্যিকভাবে সিলেটে আর কেউ ক্যাপসিকাম উৎপাদন করেনি। ক্যাপসিকামের ফলন দেখতে প্রতিদিন লোকজন আসছেন তার বাড়িতে। বাড়ির উঠানেও নেট দিয়ে ক্যাপসিকাম চাষ করেছেন। কিন্তু নেট ছাড়াই খোলা মাঠে ভালো ফলন হয়েছে।
অধ্যাপক ড. এম শহীদুল ইসলাম জানান, গ্রীষ্মকালীন ফসল ক্যাপসিকামের পুষ্টিমান অনেক। এর বাজার খুবই সম্ভাবনাময়। ক্যাপসিকাম দক্ষিণ আমেরিকা, আফ্রিকায় বেশি উৎপন্ন হয়।