আপনি কি জানেন কেন বাঙালি মেয়েরা সকলের থেকে আলাদা
প্রকাশিত হয়েছে : ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৫ ইং, ৪:৫৫ পূর্বাহ্ণ | সংবাদটি ৮৫৯ বার পঠিত
লাইফ স্টাইল ডেস্ক :: বেশিরভাগ বাঙালি নারীরা যতোই রহস্যময়ী, একগুঁয়ে, নারীবাদী, ঝগড়াটে কিংবা খানিকটা হিংসুটে স্বভাবের হোন না কেন, আসলে কিন্তু সব মিলিয়ে তাঁরা একেবারেই অন্যদের চাইতে আলাদা। তাদের প্রত্যেকটি না বলার মাঝেও লুকিয়ে থাকে ভিন্ন একটা কিছু।
এই আলাদা কিছুই তাকে করে তোলে অদ্ভুত আকর্ষণীয়। একই সাথে মমতাময়ী এবং রুদ্রমূর্তি ধারন করার ঘটনা যেন একমাত্র বাঙালি নারীর মাঝেই দেখা যায়। যতো যাই হোক না কেন, বাঙালি নারীদের অপছন্দ করার সাধ্য কারো নেই। বরং রয়েছে পছন্দ করার মতো অনেক কিছুই। জানতে চান, কেন তাঁরা সকলের চাইতে আলাদা?
বাঙালি নারীর রয়েছে অসাধারণ ব্যক্তিত্ব
কোনো বাঙালি নারীর সাথে কোনো বিষয়ে তর্ক করার সৌভাগ্য হয়েছে কারো? যদি না হয়ে থাকে তাহলে অন্তত একটিবার কোনো ব্যাপারে তর্ক করা উচিৎ। তর্কে জড়িয়ে একটু মনোযোগ দিয়ে তার কথাগুলো শুনে দেখবেন।
দেখতে মনে না হলেও বাঙালি নারী বুদ্ধিমত্তায় অনেক বেশীই আগানো থাকেন। নিজের প্রতিটি কথার পেছনে যুক্তি এবং নিজেকে সঠিক প্রমাণের এমন কৌশল আর কোথাও দেখতে পাবেন কি? স্বীকার করতেই হবে বাঙালি নারীর ব্যক্তিত্বের বৈশিষ্ট্য অনেক আলাদা। আর এ কারনেই তারা আকর্ষণীয়া।
কোনো ফ্যাশন ট্রেন্ড অনুকরণ না করেও স্টাইলিশ বাঙালি নারী
অন্যান্য যে কোনো দেশের নারীর মতো ফ্যাশন জগতের সব কিছু অন্ধ অনুকরনের স্বভাব বাঙালি নারীদের মধ্যে একেবারেই নেই। তারা ফ্যাশন ট্রেন্ডে বিশ্বাস রাখেন না কিন্তু স্টাইলিশ থাকতে বেশ পছন্দ করেন। সে কারনেই নিজের সকল বুদ্ধিমত্তা খাটিয়ে নিজেকে বেশ স্টাইলিশ উপায়ে উপস্থাপন করতে পারেন যে কোনো বাঙালি নারী যা তাকে করে তোলে আকর্ষণীয়।
নিজের সংস্কৃতিকে ভোলেন না বাঙালি নারীরা
সেই আদিকালের কোনো প্রাচীন সংস্কৃতি হোক কিংবা হোক একেবারে আনকোরা কোনো কিছু বাঙালি নারীরা সব কিছুকেই আপন করে নেন খুব সহজে। সেই প্রাচীনকালের নামকরা কোনো শিল্পী থেকে শুরু করে আজকে একেবারে নতুন কোনো শিল্পীর প্রতি তার একই ধরণের আগ্রহ রয়েছে। সাদা শাড়ী লাল পাড় পরে বৈশাখ উজ্জাপন এবং ওয়েস্টার্ন পোশাক পরে সন্ধ্যার কোনো পার্টিতে যাওয়ার এই দ্বৈত চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য বাঙালি নারীদের মধ্যেই দেখতে পাওয়া যায়।
স্বাধীনচেতা এবং আত্মনির্ভরশীল বাঙালি নারী
একমাত্র বাঙালি নারীদেরই ২৩ বছরের মধ্যে বিয়ে করে ফেলার অনীহায় থাকতে দেখা যায়। যদিও অভিভাবকদের কারণে অনেক সময়েই তা সম্ভব হয় না। কিন্তু বেশীরভাগ বাঙালি নারীই আত্মনির্ভরশীল থাকতেই বেশি পছন্দ করেন। বিয়ে করে নিজের স্বাধীনতায় নিজের জীবনের ধরণ পরিবর্তনে অনীহা বাঙালি নারীদের মধ্যেই দেখতে পাওয়া যায়।
নারীবাদী বাঙালি নারী
বেশীরভাগ বাঙালি নারীরা নারীবাদী হয়ে থাকেন। নিজেদের বিপরীতে সামান্য শুনলে বাক্য তাদের রুদ্রমূর্তি ধারণ করতে বিন্দুমাত্র সময় লাগে না। নারী অধিকার নিয়ে ভাষণ পর্যন্ত তৈরি করতে ফেলতে পারেন বাঙালি নারী মাত্র ২ মিনিটে। এই বৈশিষ্ট্যটি কি অন্য কোথাও এভাবে নজরে পরবে আপনার? মোটেই নয়।