“আল্লাহ মেঘ দে পানি দে”
প্রকাশিত হয়েছে : ২৭ মার্চ ২০১৫ ইং, ১১:৪৩ পূর্বাহ্ণ | সংবাদটি ৮৪৭ বার পঠিত
মোহাম্মদ আলী শিপন::বিশ্বনাথে বৃষ্টির জন্য বোরো চাষি কৃষকরা প্রার্থনা করেছেন। বৃহস্পতিবার রাতে উপজেলার শাহজিরগাঁও গ্রামের কৃষক ও যুবকরা বৃষ্টির জন্য গ্রামের প্রতিটি বাড়ি বাড়ি বৃষ্টির জন্য আনন্দ-উল্লাসের মধ্যে প্রার্থনা করেন। “আল¬াহ মেঘ দে পানি দে” হালের গরু বানদিয়া, মেঘ আইল কান্দিয়া কৃষকদের কণ্ঠে মুখরিত হয়ে উঠে পুরো গ্রাম। তারা পাশ্ববর্তি গ্রাম কারিকোনা গ্রামের প্রতিটি বাড়িতে এভাবে বৃষ্টির জন্য প্রার্থনা করে ঘুরে বেড়ান।
সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, বেশ কয়েকজন কৃষক ও যুবক মিলে হাতে খুলা, বিভিন্ন বাধ্যযন্ত্র দিয়ে মেঘের বিভিন্ন গাণ পরিবেশন করছে আনন্দ উল্লাস করে। তারা গ্রামের প্রতিটি কৃষকের ঘরের আঙ্গিনায় গিয়ে বৃষ্টির জন্য প্রার্থনা করেন। এসময় কৃষানিরা কলসীর পানি দিয়ে তাদের বরণ করেন। বাড়ির কৃষনীরা শিরনীর জন্য চাল দেন কৃষকদের। এভাবে চলতে থাকা বৃহস্পতিবা ১০টা পর্যন্ত। এতে কৃষনারি মেঘের জন্য নিজ নিজ ইচ্ছায় ঘরের ভিতর থেকে পানি ও চাল এনে দিতে দেখা যায়। গ্রামের প্রতিটি বাড়িতে গিয়ে এভাবে বৃষ্টির জন্য কৃষকরা প্রার্থনা ও শিরনী করার জন্য চাল তুলতে দেখা যায়।
শাহজিরগাঁও গ্রামের কৃষক আবদুল মতিন ও শাহাব উদ্দিন জানান, বৃষ্টির পানির জন্য আল্ল¬াহর কাছে প্রার্থনা করছি। গত বছরও এভাবে গ্রামে কৃষক ও যুবকরা মিলে বৃষ্টির জন্য প্রার্থনা করেছিল। আগামী রবিবার বৃষ্টির জন্য শিরনী করা হবে।
অপর কৃষক সুরুজ আলী বলেন, আগেরকার দিনে এভাবে বৃষ্টি না পাওয়া গেলে কৃষকরা বৃষ্টির জন্য প্রার্থনা করতেন। কিন্তু কালের প্রবর্তণে এসব এলাকা থেকে হারিয়ে যেতে বসেছে।
যুবক মানিক আহমদ বলেন, বৃষ্টির জন্য কৃষকদের সাথে আমরাও প্রার্থনা করছি। আল্লাহ যে মেঘ দেন। এতে এক সাথে গ্রামের যুবকরা মিলে বৃষ্টির জন্য প্রার্থনা করতে খুব ভাল লাগছে।
কৃষানি আছমা বেগম বলেন, বৃষ্টি না হওয়ায় গ্রামের কৃষক ও যুবকরা যে আয়োজন করেছেন তাদের সাধুবাদ জানাই। তারা গ্রামের প্রতিটি বাড়িতে বৃষ্টির জন্য প্রার্থনা করছেন। তাদের পানি ও চাল দিয়ে আমরা বরণ করছি।