জগন্নাথপুরে পরিবহন শ্রমিকদের সংঘর্ষে আহত ৩০ ঃ ৯ গাড়ি ভাংচুর
প্রকাশিত হয়েছে : ২৭ মার্চ ২০১৫ ইং, ৬:১০ অপরাহ্ণ | সংবাদটি ৮৪৪ বার পঠিত
মোঃ আব্দুল হাই, জগন্নাথপুর::জগন্নাথপুর পৌর শহরে যাত্রী বহনকে কেন্দ্র করে সিএনজি অটোরিক্শা শ্রমিকদের দফায় দফায় সংঘর্ষে অনন্ত ৩০ শ্রমিক আহত হয়েছে। এসময় উভয় গ্রুপের উত্তেজিত শ্রমিকরা ২টি সিএনজি অটোরিকশা, ৫টি লেগুনা ও ২টি মিনিবাস ভাংচুর করেছে। খবর পেয়ে জগন্নাথপুর থানার এস আই লুৎফুর রহমানের নেতৃত্বে বিপুল সংখ্যক পুলিশ ফোর্স দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌছলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আসে। পুলিশ গ্রেফতার অভিযান শুরু করলে শ্রমিকরা পালিয়ে যায়। পরে পুলিশ খাদ্য গুদামের নিকটে সিএনজি স্ট্যান্ডে অভিযান চালিয়ে শ্রমিক নেতা মশাহিদ আলী মশাই ও মিনিবাস শ্রমিক নেতা ফারুক মিয়াকে আটক করে নিয়ে গিয়ে প্রায় ২ঘন্টা জিজ্ঞাসাবাদ শেষে তাদেরকে ছেড়ে দেয়া হয়। সংঘর্ষে আহতরা হলেন- লেগুনা সমিতির চেয়ারম্যান মইন উদ্দিন (৪০), লেগুনা চালক সুজন মিয়া (৩৫), সুহেল আহমদ (৩৩), শাহীনুর মিয়া(২২), সেকেল মিয়া (২৫) শাহীদ মিয়া (৩০), লেগুনা স্ট্যান্ডের ম্যাজোর রাজা মিয়া (২৮), সিএনজি চালক রুবেল মিয়া (১৯), আলফু মিয়া (২৭), রুপ মিয়া (২৬), লেগুনা স্ট্যান্ডের ব্যবসায়ী জুয়েল মিয়া (২৬)। আহতদের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে বলে জানাগেছে। সংঘর্ষের পর থেকে জগন্নাথপুর-বিশ্বনাথ সড়ক, জগন্নাথপুর-রানীগঞ্জ সড়ক ও জগন্নাথপুর-পাগলা সড়কে সিএনজি অটোরিকশা ও লেগুনা চলাচল বন্ধ রয়েছে। শ্রমিকদের মধ্যে চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে।
জানাযায়,শুক্রবার সকাল সাড়ে ৮টায় শহরের খাদ্যগুদাম এলাকার সিএনজি অেিটারিক্শা স্ট্যান্ডের চালক রুবেল মিয়া পৌর পয়েন্ট থেকে যাত্রী নিয়ে রানীগঞ্জ বাজারে যান। সেখান থেকে ফেরার পথে রানীগঞ্জ লেগুনা স্ট্যান্ড এলাকা থেকে ১জন মহিলা যাত্রী সিএনজিতে উঠালে লেগুনা চালক বাধা দেয়। এনিয়ে তাদের মধ্যে বাক-বিতন্ডার এক পর্যায়ে রানীগঞ্জ লেগুনা স্ট্যান্ডের শ্রমিকরা সিএনজি চালক রুবেলকে বেধরক পিঠিয়ে আহত করে। এখবর জগন্নাথপুর পৌর শহরে পৌছলে সিএনজি শ্রমিকদের মধ্যে উত্তেজনা দেখা দেয়। সকাল সাড়ে ১০টায় উত্তেজিত সিএনজি শ্রমিকরা পৌর শহরের হ্যালিপ্যাড সংলগ্ন রানীগঞ্জ লেগুনা স্ট্যান্ডে গিয়ে লেগুনা শ্রমিকদের ধাওয়া করলে উভয় গ্রুপের মধ্যে দেশীয় অস্ত্র ইট পাটকেল নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এসময় আশ-পাশের ব্যবসা প্রতিষ্টান বন্ধ হয়ে পড়ে। পুরো এলাকায় আতংক ছড়িয়ে পড়লে ব্যবসায়ী ও পথচারীরা নিরাপদে আশ্রয় নেয়। অন্যান্য গাড়ি শ্রমিকরা ও স্থানীয় লোকজন পরিস্থিতি শান্ত করার চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়। এসময় উত্তেজিত সিএনজি শ্রমিকরা রানীগঞ্জে চলাচলকৃত লেগুনা স্ট্যান্ডে থাকা ৫টি লেগুনা নং সিলেট ছ-১১-০৮০১, সিলেট ছ-১১-০৩৬২, সিলেট ছ ১১-০৩৪৬, সিলেট ছ ১১-০১০০, বগুড়া ন ১১-০১৬৭, বাস নং ১১-০২৮৮, বাস নং সিলেট জ-০৪-০০২১ পাল্টা রানীগঞ্জ রোডের লেগুনা শ্রমিকরা সিলেট থ-১২-৬৮০১, সিলেট থ-১১-৯৫৬৪, ভাংচুর চালিয়ে গাড়িগুলোর ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্থ করে। উত্তেজিত শ্রমিকরা আবারো সংঘর্ষের প্রস্তুতি নেয়।