তামাক কোম্পানীর কৌশলী বিজ্ঞাপনের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নিচ্ছে—পুলিশ প্রশাসন
প্রকাশিত হয়েছে : ৩১ মার্চ ২০১৫ ইং, ৪:৩৩ অপরাহ্ণ | সংবাদটি ৬৪৫ বার পঠিত
জনসমাগমস্থলে ধূমপান বন্ধ ও তামাকের কৌশলী বিজ্ঞাপনের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নিচ্ছে সিলেট পুলিশ প্রশাসন। মঙ্গলবার সকালে সিলেট জেলা পুলিশ আয়োজিত এক কর্মশালায় সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার কামরুল আহসান ও সিলেটের ডিআইজি মো. মিজানুর রহমান যৌথভাবে তামাকের বিরুদ্ধে নিজেদের অবস্থান পরিষ্কার করে বলেন, পাবলিক প্লেসে ধূমপান ও তামাক কোম্পানীর সকল রকমের কৌশলী বিজ্ঞাপনের বিরুদ্ধে আমাদের অবস্থান জিরো টলারেন্স হবে। অনুষ্ঠানে সিলেট বিভাগের চার জেলা থেকে বিভিন্ন থানার উর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তাবৃন্দ অংশ নেন।
সিলেটের পুলিশ সুপার নুরে আলম মিনা পিপিএম এর সভাপতিত্বে ‘তামাকের বিজ্ঞাপন, প্রচারণা ও পৃষ্ঠপোষকতা নিষিদ্ধকরণে তামাক নিয়ন্ত্রণ আইনের যথাযথ প্রয়োগ: আইন প্রয়োগকারী সংস্থার ভূমিকা’ শীর্ষক দুই পর্বে অনুষ্ঠিত বিভাগীয় কর্মশালার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন সিলেট রেঞ্জের ডিআইজি মো. মিজানুর রহমান এবং সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন এসএমপি কমিশনার কামরুল আহসান। অনুষ্ঠানে সহযোগিতায় ছিল এনভায়রনমেন্ট কাউন্সিল (ইসি) বাংলাদেশ ও সীমান্তিক।
পুলিশ সুপারের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত সভায় প্রথম পর্বে প্রধান অতিথির বক্তব্যে ডিআইজি মো. মিজানুর রহমান বলেন, ক্যান্সারসহ অসংখ্য রোগের মূল কারণ ধূমাপান। যারা ধূমপান করে তারা তো ক্ষতিগ্রস্ত হয়ই, জনসমাগমস্থলে তাদের ধূমপানের কারণে অধূমপায়ীরাও মুত্যুর মুখোমুখি হচ্ছে। এ থেকে মানুষকে রক্ষা করতে হবে। এজন্য সিলেট রেঞ্জের পক্ষ থেকে সর্বোচ্চ ব্যবস্থা নেয়া হবে।
দ্বিতীয় পর্বে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসএমপি কমিশনার কামরুল আহসান বলেন, তামাকের আরেক নাম বিষ। এই বিষ কেউ জেনে আর কেউ না জেনে ব্যবহার করছে। তামাক কোম্পানীর কৌশলী বিজ্ঞাপন বন্ধে পুলিশ প্রশাসন সর্বাত্মক কাজ করে যাবে।
অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের উপ-সচিব শরিফুল আলম ও সিটিএফকে’র কান্ট্রি ডিরেক্টর তাইফুর রহমান। স্বাগত বক্তব্য রাখেন ইসি বাংলাদেশের নির্বাহী পরিচালক আরিফ শিকদার। ধন্যবাদ বক্তব্য রাখেন সীমান্তিক তামাকমুক্ত সিলেট প্রকল্পের সমন্বয়ক মো. মাসুম বিল্লাহ চৌধুরী।সীমান্তিকের প্রোগ্রাম অফিসার শেফালী বেগমের সঞ্চালনায় এতে আলোচনায় অংশ অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রওশনোজ্জামান, ইসি বাংলাদেশের প্রজেক্ট কো-অর্ডিনেটর এমদাদুল জক ভুইয়া, এন্টি টোব্যকো মিডিয়া এলাইন্স (আত্মা)’র নির্বাহী সদস্য সাংবাদিক শাহ সুহেল আহমদ, সীমান্তিকের মিডিয়া অফিসার মুরাদ বক্স, এডভোকেসী অফিসার মিজানুর রহমান প্রমুখ।প্রেসবিজ্ঞপ্তি