বিশ্বনাথে ছাত্রলীগের দুই নেতা জয়-মুহিব মুখোমুখি অবস্থানে
প্রকাশিত হয়েছে : ২৮ মার্চ ২০১৫ ইং, ৭:১৭ অপরাহ্ণ | সংবাদটি ১৪৫০ বার পঠিত
মোহাম্মদ আলী শিপন::মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে ৩০ র্মাচ বিশ্বনাথে একই স্থানে সভা সমাবেশের আয়োজন করছে উপজেলা ছাত্রলীগের আহবায়ক ফয়জুল ইসলাম জয় ও যুগ্ম-আহবায়ক মুহিবুর রহমার সুইট। এ নিয়ে উভয় গ্রুপ মুখোমুখি অবস্থানে রয়েছে। উভয় গ্রুপে এমন অবস্থানে রক্তক্ষয়ী সংর্ঘষরে আশংকা করা হচ্ছে।
জানাগেছে, আধপিত্য বিস্তার নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে উপজেলা ছাত্রলীগের আহবায়ক ফয়জুল ইসলাম জয় ও যুগ্ম-আহবায়ক মুহিবুর রহমান সুইট’র মধ্যে গ্রুপিং দ্বন্ধ চলে আসছে। উপজেলা আওয়ামী লীগ,যুবলীগ ও ছাত্রলীগের কোনো অনুষ্টান হলেই বক্তব্য নিয়ে এ দুই নেতার মধ্যে চলে প্রতিযোগিতা। অনেক সময় কেন্দ্রীয় ঘোষিত কর্মসূচী হলে তারা পৃথক ব্যানারে সেই কর্মসূচী পালন করতে দেখা যায়। তবে চলমান মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবসের অনুষ্ঠান ঘুরে তাদের মধ্যে দেখা দিয়েছে নতুন মরুকরণ। প্রথমে ছাত্রলীগের আহবায়ক ফয়জুল ইসলাম জয় তার অনুসারি ছাত্রলীগ নিয়ে উপজলো সদরের রামসুন্দর উচ্চ বিদ্যালয়ের মাঠে ওই অনুষ্টান করার আগ্রহ প্রকাশ করেন। অনুষ্টানের প্রধান অতিথি বা বিশেষ অতিথি সংগঠনের কোনো নেতাকর্মী নয়।
এদিকে, একই স্থানে ৩০ ও ৩১র্মাচ দুইদিন ব্যাপী স্বাধীনতা ও জাতীয় দবিস উপলক্ষে অনুষ্টান করার প্রস্তুতি নিয়েছেন ছাত্রলীগরে যুগ্ন-আহবায়ক মুহিবুর রহমান সুইট। তার অনুষ্টানে জেলা ও উপজেলা আওয়ামী লীগের শীর্ষস্থানীয় নেতা উপস্থিত থাকবেন বলে তিনি জানান। কিন্তু‘ একই স্থানে উভয় নেতার অনুষ্টান করা নিয়ে তাদের মধ্যে চরম উত্তজেনা বিরাজ করছে
এব্যাপারে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আবদুল আজিজ বলেন, প্রাপ্ত লিখিত আবেদনের প্রেক্ষিতে প্রথম পক্ষকে (ফয়জুল) মাঠটি ব্যবহারের অনুমতি প্রদান করা হয়ছে। এরপর দ্বিতীয় পক্ষও (মুহিব) একই সময়ে মাঠটি সভার কাজের ব্যবহারের জন্য অনুমতি চাইলে আমরা তাঁদেরকে বলেছি উভয় পক্ষ মিলেমিশে সভা করাতে। তা না হলে কর্তৃপক্ষ অন্য সিদ্ধান্ত নিতে পারেন।
ছাত্রলীগের আহবায়ক ফয়জুল ইসলাম বলেন, বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে সভার কাজে মাঠে ব্যবহারের অনুমতি পেয়েছি। তাই নির্দিষ্ঠ সময়ে আমাদের সভা অনুষ্ঠিত হবে।
ছাত্রলীগের যুগ্ম-আহবায়ক মুহিবুর রহমান বলেন, সোমবার বিকেলে অনুমতির জন্য আমাদের আবেদনকৃত স্থানেই (রামসুন্দর মাঠে) আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হবে। ইতিমধ্যে আমাদের সকল প্র¯ুÍতিও সম্পন্ন হয়েছে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মুহাম্মদ আসাদুল হক বলেন, এলাকার শান্তি-শৃংঙ্খলা যাতে করে বিনষ্ঠ না হয় সেলক্ষ্যে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।