বিশ্বনাথে বৃষ্টির জন্য বিভিন্ন মসজিদে দোয়ামাহফিল
প্রকাশিত হয়েছে : ২৭ মার্চ ২০১৫ ইং, ২:৪৩ অপরাহ্ণ | সংবাদটি ৭৪৬ বার পঠিত
জামাল মিয়া ও আবুল কাশেম :: বিশ্বনাথে বৃষ্টির জন্য শুক্রবার বাদ জুম্মা উপজেলা বিভিন্ন মসজিদে দোয়ামাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। বোরো জমি চাষাবাদ করে চাষীরা বৃষ্টির জন্য হাহাকার করছেন। সময়মত বৃষ্টি না হওয়ায় বোরো চাষিরা পড়েছে বিপাকে। উপজেলা কৃষকরা বোরো আবাদে ঝুঁকছেন। কিন্তু বোরো আবাদ করে পড়েছেন বিপদে। উপজেলা ছোট বড় নদী-খাল-ছড়া শুঁকিয়ে গেছে। পানি না থাকায় বোরো চাষাবাদে সেচের অভাবে রোপিত বোরো জমি ফেঁটে চৌচির হয়ে যাচ্ছে। খোদ নিম্নাঞ্চলর এলাকাও কৃষকরা সেচ সঙ্কটে পড়েছেন। শতশত একর চারা রোপন করে পানি দিতে না পারায় রোপিত জমি ফেঁটে একাকার হয়ে যাচ্ছে। কৃষকদের মধ্যে চলছে হাহাকার। বোরো মৌসুমের আবাদকৃত ধান গোলায় তুলতে হবে এমন আশায় মাথার ঘাম পায়ে ফেলে বোরো চাষীরা রোপন করেছিলেন নানা জাতের ধানের চারা। তাই আশানুরুপ ফসল ফলাতে রাত-দিন ও মাঠে কঠোর পরিশ্রম করতে হয়েছে তাদেরকে। চারাগুলো রোপনের পর সেগুলো থেকে আগাছা নিধন, সার প্রয়োগ, পোঁকা মাকড়ের আক্রমন থেকে ধানের চারা বাঁচাতে কীটনাশক ব্যবহার করেছেন কৃষকরা। কিন্তু তাদের সেই স্বপ্নে প্রধান বাঁধা হয়ে দাড়িঁয়েছে পানি। এতে কৃষকদের সোনার ধানী জমিগুলো পানির অভাবে ফেঁটে পরিনত হয়েছে বিরাণ ভূমিতে। আর ফসল নষ্ট হওয়ার চিন্তার চাপ ভেসে উঠছে কৃষকের মুখে। ফলে কৃষকদের উদ্যোগে উপজেলার বিভিন্ন মসজিদে দোয়ামাহফিলে আয়োজন করা হয়।
এব্যাপারে উপজেলার কারিকোনা গ্রামের মুরব্বী সিরাজ মিয়া বলেন, শুক্রবার বাদ জুম্মা বৃষ্টির জন্য দোয়া করা হয়।
শ্বাসরাম গ্রামের তজম্মুল আলী বলেন, সময়মত বৃষ্টি না হওয়ায় বোরো চাষিদের দুঃচিন্তা বৃদ্ধি পাচ্ছে। বৃষ্টির জন্য এলাকার মসজিদে দোয়া করা হয়েছে।