সিলেটের পর্যটনশিল্পকে দৃষ্টিনন্দন করতে সরকার চেষ্টা করছে: শিল্পমন্ত্রী
প্রকাশিত হয়েছে : ০৬ মার্চ ২০১৫ ইং, ৫:১৯ অপরাহ্ণ | সংবাদটি ১০৯৮ বার পঠিত
ডেইলি বিশ্বনাথ নিউজ ডেক্স:: সিলেটের পর্যটনশিল্পকে দৃষ্টিনন্দন করতে সরকার ইতিবাচক চিন্তা করছে। সার্কভূক্ত দেশগুলোর সাথে চূক্তি করে পর্যটনের উন্নয়নে সরকার কাজ করবে।
শুক্রবার দুপুরে দি সিলেট চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রিজ এর উদ্যোগে সিলেটের শিল্পখাতের উন্নয়ন ও বিকাশের লক্ষ্যে মতবিনিময় সভায় শিল্পমন্ত্রী একথা বলেন।
সিলেটের পর্যটন খাতকে অত্যান্ত সম্ভাবনাময় খাত উল্লেখ করে শিল্পমন্ত্রী বলেন, দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা গ্রহণ করে এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট দেশী-বিদেশী এক্সপার্টদের, অর্থনীতিবিদ ও পরিকল্পনাবিদদের পরামর্শ গ্রহণ করে তা বাস্তবায়ন করা হবে।
সিএনজি ফিলিং স্টেশন চালু রাখার কোন যৌক্তিকতা নেই মন্তব্য করে মন্ত্রী বলেন, দেশে আর কোন সিএনজি ফিলিং স্টেশনের অনুমতি না দিয়ে স্টেশনগুলো পর্যায়ক্রমে বন্ধ করে দেয়া উচিত। এরকম একটি প্রস্তাব তিনি প্রধানমন্ত্রীর কাছে দিয়েছেন। সরকারও এরকম চিন্তাভাবনা করছে বলে জানান শিল্পমন্ত্রী। তিনি বলেন- কোটি টাকা দিয়ে প্রাইভেট কার কিনে কম পয়সায় গ্যাস ব্যবহার করা যুক্তিসঙ্গত নয়। এছাড়া বাস মালিকরাও স্বল্পমূল্যে গ্যাস নিয়ে ভাড়া কমান না। এটা মেনে নেয়া যায় না। তাই পর্যায়ক্রমে সিএনজি ফিলিং স্টেশনগুলো বন্ধ করে দেয়া উচিত। তিনি বলেন- সঠিকভাবে গ্যাসের ব্যবহার না হওয়ায় মজুদ কমে আসছে। তাই অপচয়রোধে সব ধরণের পাইপ লাইনে গ্যাস সরবরাহ বন্ধ করে দেয়া প্রয়োজন। অন্যান্য দেশের মতো বাসা-বাড়িতে সিলিন্ডার দিয়ে গ্যাস ব্যবহার করলে অপচয়রোধ করা যাবে।
ফেঞ্চুগঞ্জে নির্মাণাধীন শাহজালাল সারকারখানা আগামী জুন মাসের মধ্যে চালু হবে জানিয়ে শিল্পমন্ত্রী বলেন- ইতোমধ্যে সারকারখানাটির ১১টি ইউনিটের কাজ সম্পন্ন হয়েছে। বাকি ৮টি ইউনিটের ৯৫ ভাগ কাজ শেষ হয়ে গেছে। নতুন কারখানাটি চালু হলে পুরাতনটিকে অ্যামোনিয়া কারখানায় রূপান্তর করা হবে। এতে অ্যামোনিয়া আমদানি কমবে।
শিল্পমন্ত্রী ছাতক সিমেন্ট ফ্যাক্টরিকে আধুনিকায়নের আশ্বাস দিয়ে বলেন- এখানে নতুন আরেকটি সিমেন্ট ফ্যাক্টরি স্থাপনের পরিকল্পনা রয়েছে সরকারের।
দেশে ও বিদেশে আগরের প্রচুর চাহিদা রয়েছে উল্লেখ করে বলেন, সরকার আগরকে শিল্প হিসেবে ঘোষণা করেছে। কেউ আগর ফ্যাক্টরিকে ইন্ডাষ্ট্রিতে রূপান্তর করতে চাইলে সরকার সহযোগিতা করবে।
দেশি ও বিদেশি বিনিয়োগ আকর্ষণ করার জন্য সিলেটে বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল গড়ে তোলার কাজও চলছে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, সিলেটের শেরপুরে স্থাপিত এ প্রকল্প বাস্তবায়িত হলে স্থানীয়রা বিনিয়োগে এগিয়ে আসবে।
সিলেট চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাষ্ট্রিজের সভাপতি সালাহ উদ্দিন আলী আহমদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মতবিনিময় সভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন সিলেট-৩ আসনের সংসদ সদস্য মাহমুদ উস সামাদ চৌধুরী কয়েস, সিলেট চেম্বারের সাবেক সভাপতি ফারুক আহমদ মিসবাহ, ব্যবসায়ী নেতা কলন্দর আলী, আবদুল মান্নান, মুশফিক জায়গীরদার, আবদুল্লাহ আল মামুন, আলীমুল এহসান চৌধুরী, নোমান মাহমুদ, আবুল মিয়া প্রমুখ।
এর আগে ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দ তাদের বক্তব্যে বলেন, এখানে পুঁজির কোনো সংকট নেই। গ্যাস-বিদ্যুৎ, বাজার, কাঁচামাল কোনো কিছুরই অভাব নেই বৃহত্তর সিলেটে। কেবলমাত্র মানসিক ইচ্ছা ও সরকারের আগ্রহ থাকলেই সিলেট হয়ে উঠতে পারে সমৃদ্ধ উৎপাদনশীল শিল্পনির্ভর একটি জনপদ। সিলেটে কেমিক্যাল, কাচ, সিমেন্টসহ বিশেষ শিল্পকারখানা গড়ার সুযোগ রয়েছে। এই শিল্পাঞ্চল ভারতের সেভেন সিস্টারের বাজার সুবিধা গ্রহণ করে লাভবান হবে। ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দ সিলেটের খাদিমনগর বিসিক শিল্প নগরীকে উন্নত ও বর্ধিতকরণের ব্যবস্থা গ্রহণে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়ার দাবি জানান।