১৮৩ রানে অলআউট নিউজিল্যান্ড
প্রকাশিত হয়েছে : ২৯ মার্চ ২০১৫ ইং, ১:৪২ অপরাহ্ণ | সংবাদটি ১০৩০ বার পঠিত
স্পোর্টস ডেস্ক :: গোটা টুর্নামেন্ট ধরে অসাধারণ খেলছিল নিউজিল্যান্ড। তবে ফাইনালে এসেই খেই হারিয়ে ফেলল ব্রেন্ডন ম্যাককালামের দল। মিচেল জনসন, মিচেল স্টার্ক ও জেমস ফকনারের ত্রিমুখী আক্রমণে স্বাগতিক অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ১৮৩ রানে গুটিয়ে যায় কিউইরা। পঞ্চমবারের মতো বিশ্বকাপের শিরোপা জিততে হলে অস্ট্রেলিয়াকে করতে হবে ১৮৪ রান।
অস্ট্রেলিয়ার হয়ে মিচেল জনসন ও জেমস ফকনার তিনটি করে উইকেট লাভ করেন। এছাড়া স্টার্ক দুটি এবং ম্যাক্সওয়েলে নেন একটি উইকেট।
নিউজিল্যান্ডের হয়ে গ্রান্ট ইলিয়ট ৮৩ ও রস টেলর করেন ৪০ রান। আর কোনো কিউই ব্যাটসম্যান বলার মতো রান করতে পারেননি।
৩৯ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে ধুঁকতে থাকা নিউজিল্যান্ড চতুর্থ উইকেট জুটিতে ইলিয়ট ও রস টেলরের মধ্যেকার ১১১ রানের জুটিতে ঘুরে দাাঁনোর ইঙ্গিত দেয়। তবে জেমস ফকনার, মিচেল স্টার্ক ও মিচেল জনসনের ত্রিমুখী আক্রমণে ১৫০ থেকে ১৮৩- এই ৩৩ রানে শেষ ৭ উইকেট হারিয়ে ১৮৩ রানে গুটিয়ে যায় নিউজিল্যান্ড।
৩৬তম ওভারের প্রথম বলে রস টেলরকে আউটসুইঙ্গার দেন ফকনার। ব্যাটের কানায় লেগে উইকেটরক্ষকের হাতে জমা পড়ে বল। ৭২ বলে ৪০ রান করে সাজঘরে ফেরেন টেলর। এরপর কোরি অ্যান্ডারসনকে একই ওভারের তৃতীয় বলে ইয়র্কার বলে পরাস্ত করে বোল্ড করেন ফকনার। পরের ওভারে কিউই শিবিরে আঘাত হানেন স্টার্ক। স্টার্কের বলে স্লিপে মাইকেল ক্লার্কের হাতে ক্যাচ দিয়ে সাজঘরে ফেরেন লুক রনকি।
এরপর ভেট্টরিকে নিয়ে প্রতিরোধ গড়ে তোলার চেষ্টা করেন একপ্রান্ত আগলে থাকা ইলিয়ট। তবে জসনসের ইনসুইং ইয়র্কারে ভেট্টরি বোল্ড হয়ে সাজঘরে ফিরলে চরম ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়ে কিউইরা। পরের ওভারে ফকনারের অতিরিক্ত বাউন্সে বেসামাল হয়ে পড়েন ইলিয়ট। উইকেটরক্ষক ব্রাড হাডিনকে ক্যাচ দিয়ে সাজঘরে ফেরেন দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৮৩ রান করা এই কিউই ব্যাটসম্যান।
রোববার টস জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয় নিউজিল্যান্ড। প্রথম ওভারের পঞ্চম বলে ম্যাককালামকে বোল্ড করে দলকে উড়ন্ত সূচণা এনে দেন অস্ট্রেলীয় পেসার মিচেল স্টার্ক। স্টার্কের ইনসুইং বলে পরাস্ত হয়ে বোল্ড হয়ে সাজঘরের পথ ধরেন ম্যাককালাম। কিউইদের বিপর্যয়ের শুরু সেখান থেকেই।
ম্যাককালামকে হারানোর পর দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে কেন উইলিয়ামসনকে নিয়ে প্রতিরোধ গড়ে তোলার চেষ্ট করেন গাপটিল। বেশ দেখেশুনে ও ধীর গতিতে এগুচ্ছিলেন এই দুই ব্যাটসম্যান। তবে প্রথমবারের মতো আক্রমণে এসেই গাপটিলকে বোল্ড করেন গ্লেন ম্যাক্সওয়েল। ৩৪ বলে ১৫ রান করে ফিরে যান গাপটিল। পরের ওভারে মিচেল জনসনের বলে কন এন্ড বোল্ড হয়ে সাজঘরে ফেরেন উইলিয়ামসন।
এরপর ম্যাক্সওয়েলের করা ২০তম ওভারের শেষ বলে ইলিয়ট লেগ বিফোরের ফাঁদে পড়েন। যদিও রিভিউ নিয়ে এই যাত্রায় বেঁচে যান তিনি। ম্যাক্সওয়েলের বলে সুইপ করার চেষ্টা করেন ইলিয়ট। টাইমিং মিস হয়ে বল পায়ে আঘাত হানলে অসি শিবির লেগ বিফোরের আবেদন জানায়। অনেক সময় নিয়ে কুমার ধর্মসেনা আউটের সিদ্ধান্ত দেন। তবে রস টেলরের পরামর্শে রিভিউ নিয়ে বেঁচে যান ইলিয়ট।
চতুর্থ উইকেট জুটিতে রস টেলরকে নিয়ে কিউইদের ভালো কিছুর স্বপ্ন দেখান গ্রান্ট ইলিয়ট। এই জুটি ১১১ রান তুললে সবাই দুর্দান্ত লড়াইয়ের আশাই করছিলেন। কিন্তু অস্ট্রেলিয়ান পেসারদের তোপের মুখে পড়ে ৩৩ রানে শেষ ৭ উইকেট হারিয়ে ১৮৩ রানে গুটিয়ে যেতে হয় প্রথমবারের মতো বিশ্বকাপের ফাইনাল খেলতে আসা নিউজিল্যান্ড।
প্রথমবারের মতো বিশ্বকাপ ক্রিকেটের ফাইনালে খেলছে নিউজিল্যান্ড। অন্যদিকে সপ্তমবারের মতো ফাইনাল খেলছে অস্ট্রেলিয়া। এর আগে ১৯৮৭, ১৯৯৯, ২০০৩ ও ২০০৭ বিশ্বকাপের শিরোপা জেতা অস্ট্রেলিয়া এবার পঞ্চম শিরোপার লক্ষ্যে মেলবোর্নের ফাইনালে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে মাঠে নেমেছে।