আশুলিয়ায় ব্যাংকে ডাকাতি, ম্যানেজারসহ নিহত ৬
প্রকাশিত হয়েছে : ২১ এপ্রিল ২০১৫ ইং, ৭:৪৯ অপরাহ্ণ | সংবাদটি ৯৫২ বার পঠিত
নিউজ ডেক্স:: ঢাকার অদূরে আশুলিয়ায় বাংলাদেশ কমার্স ব্যাংকে ডাকাতের গুলিতে পাঁচজন নিহত হয়েছেন। এ সময় ক্ষুব্ধ এলাকাবাসীর গণপিটুনিতে নিহত হয় এক ডাকাত। এছাড়া ডাকাতদের সঙ্গে এলাকাবাসীর সংঘর্ষে আহত হয়েছেন কমপক্ষে ২০ জন।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানিয়েছে, কাঠগড়া এলাকায় বাংলাদেশ কমার্স ব্যাংকের আশুলিয়া শাখায় মঙ্গলবার দুপুর ২টার দিকে এক দল ডাকাত হানা দেয়। সাভারের এএসপি রাসেল শেখ বলেন, ডাকাতের গুলিতে পাঁচজন নিহত হয়েছেন। দুই ডাকাতকে ধরে ফেলে জনতা। এর মধ্যে গণপিটুনিতে একজন মারা গেছে।
নিহতদের মধ্যে দুজনের নাম জানা গেছে। তারা হলেন- ব্যাংকের ওই শাখার ম্যানেজার মো. অলিউল্লাহ ও পলাশ নামের এক গ্রাহক।
গুলিবিদ্ধদের সাভার এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। ওই হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক মাহমুদ হাসান জানান, তাদের এখানে পাঁচটি লাশ রয়েছে। ডাকাতের এলোপাতাড়ি গুলিতে অন্তত ১৫ জন আহত হয়েছেন বলে স্থানীয়রা জানায়।
ডাকাত দল অর্থ লুট করেছে কি না, তা তাৎক্ষণিকভাবে জানা যায়নি। আশুলিয়া থানার ডিউটি অফিসার এসআই আরাফাত বলেন, ওসি ঘটনাস্থলে গেছেন। পুলিশের ঢাকা রেঞ্জের উপমহাপরিদর্শক (ডিআইজি) এস এম মাহফুজুল হক নুরুজ্জামান বলেন, “ঘটনার পরপরই পুলিশ এলাকায় অভিযান শুরু করেছে। কয়েকজনকে গ্রেপ্তারও করা হয়েছে।”
প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশের সূত্র জানায়, মঙ্গলবার দুপুর আড়াইটা দিকে মোটরসাইকেল যোগে ১২/১৫ জনের একদল ডাকাত গ্রাহকবেশে ওই ব্যাংকে প্রবেশ করে। এ সময় কেউ কিছু বুঝে ওঠার আগেই তারা ব্যাংকের অভ্যন্তরে ম্যানেজারসহ কর্মকর্তাদের অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে ফেলে। এক পর্যায়ে বোমা ও গুলি ছুড়ে আতংক সৃষ্টি করে লুটপাট শুরু করে ডাকাতরা। তাদের বেপরোয়া গুলি ও বোমায় ব্যাংকের অভ্যন্তরে ঘটনাস্থলেই মারা যান শাখা ব্যবস্থাপক অলিউল্লাহসহ এক নিরাপত্তা কর্মী। এদিকে ব্যাংকে ডাকাতির বিষয়টি পাশ্ববর্তী মসজিদ থেকে মাইকিং করা হলে পাশের বাজার ও এলাকাবাসী এগিয়ে এসে ডাকাতদের ঘিরে ফেলে। এ সময় ডাকাতরা এলোপাতাড়ি গুলি ছুঁড়লে ব্যাংকের সামনেই মারা যায় মুদি দোকানদার মনির হোসেন, পলাশ ও ওয়ার্কশপ মালিক জিল্লুর।
ক্ষুব্ধ জনতা গুলি উপেক্ষা করে ডাকাতদের ধাওয়া দিলে ধরা পড়ে এক ডাকাত। ঘটনাস্থলেই গণপিটুনিতে মারা যায় সে। গুরুতর আহতদের বিভিন্ন যানবাহনে করে সাভারে এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হয়। একযোগে এত বেশি সংখ্যক আহতদের চিকিৎসা দিতে হিমশিম খেতে হয় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে। এদিকে ঘটনার পরপরই পুলিশ গিয়ে বিশমাইল-জিরাবো সড়কের বিভিন্ন পয়েন্ট চেকপোস্ট বসিয়ে তল্লাশি শুরু করেছে। তবে ডাকাতদের কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি তারা। উদ্ধার হয়নি কোনো লুন্ঠিত টাকা।