ইলিয়াস আলী নিখোঁজের ৩ বছর : ফিরে পাবার অপেক্ষায় স্বজনরা
প্রকাশিত হয়েছে : ১৭ এপ্রিল ২০১৫ ইং, ১:০৯ পূর্বাহ্ণ | সংবাদটি ১২৯৪ বার পঠিত
এমদাদুর রহমান মিলাদ ও মোহাম্মদ আলী শিপন :: বিএনপি’র নির্বাহী কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক ও সিলেট জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি এবং সাবেক সংসদ সদস্য এম ইলিয়াস আলী এবং তার গাড়ী চালক আনসার আলী নিখোঁজের ৩ বছর পূর্ণ হচ্ছে আজ শুক্রবার।
নিখোঁজ হওয়ার দীর্ঘ দিন পেরিয়ে গেলেও তাদের কোন সন্ধান এখনও পাওয়া যায়নি কিংবা ইলিয়াস আলীর মত একজন প্রভাবশালী উদীয়মান তরুণ রাজনীতিবিদ নিখোঁজ হওয়ার পেছনের কারণ আজো জানা যায়নি। ইলিয়াস আলী ও আনছার আলীকে ফিরে পেতে অপেক্ষার প্রহর গুণছেন স্বজন-শুভাকাংখিরা। নিখোঁজ ইলিয়াস আলীর পরিবার এখনও আশাবাদী তিনি ফিরে আসবেন। কিন্ত বিশ্বনাথে বিএনপি নেতাকর্মীরা ও সাধারন মানুষ হতাশ। তার এক সময়ের সহকর্মী-সহযোদ্ধারাও ভুলতে বসেছেন ত্যাগী এই নেতাকে। নানা সময়ে নানা গুঞ্জন শোনা গেলেও ইলিয়াস আলীর হদিস নেই কারো কাছে। সাধারন মানুষের ধারণা যদি ইলিয়াস আলীকে কেউ গুম করে থাকতো কিংবার তিনি নিজেই আত্মগোপন করে থাকতেন তাহলে হয়তো এত দিনে তার সন্ধান পাওয়া যেত। কারো কারো মনে প্রশ্ন জেগেছে, ইলিয়াস আলী তো কোন কাপুরুষ নন যে তিনি এত দিন আত্মগোপন করে থাকবেন। ইলিয়াস পরিবার ও দলের নেতাকর্মীরা এতই আশাবাদী যে ইলিয়াস আবারো ফিরে আসবেন। তাহলে কেনইবা ইলিয়াস আলীকে দলের দায়িত্ব থেকে সরিয়ে ফেলা হচ্ছে ?
যে ভাবে নিখোঁজ হন ইলিয়াস আলী ও তার গাড়ী চালক : ২০১২ সালের ১৭ এপ্রিল রাতে নিজ বাসায় ফেরার পথে রাজধানী ঢাকার মহাখালী থেকে নিখোঁজ হন বিএনপির কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক এম ইলিয়াস আলী ও তার বিশ্বস্থ গাড়ী চালক আনছার আলী। মধ্যরাতে মহাখালী এলাকা থেকে ইলিয়াস আলীর গাড়ীটি উদ্ধার করে পুলিশ। সেই সময় থেকেই তারা নিখোঁজ রয়েছেন।
আন্দোলনে উত্তাল দেশ : প্রভাবশালী উদীয়মান তরুণ রাজনীতিবিদ কেন্দ্রীয় বিএনপি নেতা এম ইলিয়াস আলী নিখোঁজ হওয়ার সংবাদ দেশের সর্বত্র ছড়িয়ে পড়লে রাজপথে নেমে আসেন দলের নেতাকর্মীসহ সর্বস্থরের জনতা। মিছিল, মিটিং, সভা, সমাবেশ, সড়ক অবরোধ, হরতাল, মানববন্ধনসহ বিভিন্ন কর্মসূচী পালন করা হয় দলের পক্ষ থেকে। এসময় ইলিয়াসের সন্ধানের দাবিতে উত্তাল হয়ে উঠে সাড়া দেশ। এসব কর্মসূচীতে একে একে ৮টি তাজা প্রাণ হারিয়ে গেল।
বিশ্বনাথে স্বরণকালের ভয়াবহ রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের ঘটনা : ইলিয়াস আলী নিখোঁজের সংবাদ তার নিজ জন্মস্থান বিশ্বনাথ উপজেলার সর্বত্র ছড়িয়ে পড়লে রাজপথে নেমে আসেন উপজেলার দলের নেতাকর্মীসহ সর্বস্থরের মানুষ। তাদের দাবি জীবন্ত ও অক্ষত অবস্থায় তারা তাদের প্রিয় মানুষ ইলিয়াস আলীকে ফিরে পেতে চান। তাইতো ২০১২ সালের ২৩ শে এপ্রিল হরতালের দিন উপজেলা সদরের থানা ঘেরাও করতে উপজেলা বিভিন্নস্থান থেকে দল ভেদে মিছিলসহকারে উপজেলা সদরের দিকে এগুতে থাকেন বিক্ষোব্ধ জনতা। এসময় মিছিলকারীদের পুলিশ বাঁধা দিলে ঘটে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের ঘটনা। স্বাধীনতার পর এই প্রথম বিশ্বনাথে এতবড় রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। বিশ্বনাথে স্বরণকালের ভয়াবহ সংঘর্ষে গুলিতে নিহত হয় মনোয়ার, সেলিম ও জাকির। আহত হন অনেকই। ঐ সংঘর্ষে বিক্ষোব্ধ জনতা উপজেলা প্রশাসনের বিভিন্ন দপ্তরে, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার বাসায়-জিপগাড়িতে, বিভিন্ন ব্যাংক, মার্কেট, কমিউনিটি সেন্টার, বিপনিবিতানে হামলা-ভাংচুর-অগ্নিসংযোগ করেছিল। এতে উপজেলা পরিষদের ১৯টি দপ্তরের ১ কোটি ৬২ লাখসহ প্রায় ২ কোটি টাকার ক্ষতি হয়।
১৮ হাজার লোককে আসামী করে মামলা : ২২ ও ২৩ এপ্রিলের সংঘর্ষের ঘটনায় বিশ্বনাথে বিএনপি-জামায়াতের নেতাকর্মীদের আসামী করে দায়ের করা হয় ৬টি মামলা। এসমব মামলায় বিশ্বনাথের ৮টি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান, বিএনপি-জামায়াতের নেতাকর্মী ও অনেক সাধারণ মানুষসহ প্রায় ১৮হাজার লোককে আসামী করা হয়। ৬ ইউপি চেয়ারম্যানসহ শতাধিক নেকাকর্মী কারাবরণ করেন।
বরখাস্ত হন উপজেলার ৭ ইউপি চেয়ারম্যান : ইলিয়াস আলী ‘নিখোঁজ’ ইস্যুতে আন্দোলন করতে গিয়ে ২০১২ সালের ২৩ এপ্রিল পুলিশের সাথে জনতার সংঘর্ষ ও উপজেলা পরিষদের ভাংচুর-অগ্নি সংযোগের ঘটনায় আসামী হওয়ার কারণে ঐ বছরের ১ জুলাই উপজেলার ৭ ইউপি চেয়ারম্যানগণকে বরখাস্ত করা হয়। পরবর্তীতের উচ্চ আদালতের রীটের মাধ্যমে তারা চেয়ারম্যানদের পদ বহাল থাকে।
নিখোঁজের কারণ জানা যায়নি আজো : ইলিয়াস আলীর মত একজন প্রভাবশালী উদীয়মান তরুণ রাজনীতিবিদ নিখোঁজ হওয়ার পেছনের কারণ আজো জানাতে পারেনি কেউ। সাধারণ মানুষের একটাই প্রশ্ন ইলিয়াস আলী ও তার গাড়ী চালক আনছার আলীর সন্ধান কি আর পাওয়া যাবে ? নাকি কি বিএনপি নেতা চৌধুরী আলম, চট্টগ্রামের জামাল উদ্দিন ও যুবলীগ নেতা লিয়াকত হোসেনের মতো হারিয়েই যাবেন? এক ইস্যুতে অন্য ইস্যু চাপা পড়ার মতো ধীরে ধীরে অন্ধকারে হারিয়ে যাবে ইলিয়াস ইস্যুও। ইলিয়াসকে খুঁজে বের করতে কোন তৎপরতাও এখন আর লক্ষ করা যায়না। ইলিয়াস আলীর মতো রাজনীতিবিদ এভাবে হারিয়ে যাবেন অথচ তার অন্তর্ধানের রহস্য অন্তত জানা যাবেনা এটা হতে পারে না। নিখোঁজের রহস্য উদঘাটন না হওয়ায় উদ্বেগ-উৎকন্ঠা আর হতাশায় রয়েছেন তার নিজ উপজেলা বিশ্বনাথের মানুষ। তারা বলেন, ইলিয়াস নিখোঁজসহ আলোচিত একাধিক ঘটনার কোন ক্লু বের করতে পারেনি পুলিশ। অপরাধ সংঘটিত হওয়ার পর কি কারণে কারা ঘটিয়েছে? এসব খুঁজে বের করতে চরম ভাবে ব্যর্থ হয়েছে প্রশাসন। তারা মনে করেন, ‘নিখোঁজ’ এম. ইলিয়াস আলীর নিখোঁজের রহস্য উদঘাটন করে জনসম্মুখে উপস্থাপন করতে না পারাটা সরকার ও প্রশাসনের বড় ব্যর্থতা।
নিহতদের অভিবাবকদের দায়ের করা পৃথক ৩ টি হত্যার অভিযোগ আজও রেকর্ড হয়নি : ইলিয়াস আলী’র সন্ধানের দাবিতে ২০১২ সালের ২৩এপ্রিল বিশ্বনাথে হরতাল পালন করতে গিয়ে গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হন বিএনপি নেতা মনোয়ার, সেলিম ও জাকির। পরবর্তীতে কোর্টে দায়ের করা তাদের অভিবাবকদের পৃথক তিনটি হত্যার অভিযোগ আজও থানায় রেকর্ড করেনি পুলিশ। অভিযোগ গুলো কোর্ট থেকে থানায় প্রেরনের দীর্ঘদিন অতিবাহিত হতে চলেছে। কিন্তু সেই অভিযোগ গুলোর মধ্যে একটি অভিযোগও এফ,আই,আর করা হয়নি বলে অভিযোগ করে উপজেলা বিএনপি’র সভাপতি জালাল উদ্দিন।
ইলিয়াসের নাম বাদ দিয়ে অভিযোগপত্র দাখিল : ইলিয়াস আলীর নাম বাদ দিয়ে আ’লীগ নেতার দায়েরকৃত মামলার অভিযোগপত্রটি (চার্যশিট) আদালতে দাখিল করা হয়েছে। ইলিয়াস আলী নিখোঁজের পরদিন ১৮ এপ্রিল মধ্য রাতে চাঁদাবাজি, অগ্নেয়াস্ত্র প্রদর্শণ ও বিস্ফোরণ ঘটানোর অভিযোগে ইলিয়াস আলী আসামি করে বিশ্বনাথ উপজেলা আ’লীগের শ্রমবিষয়ক সম্পাদক বসারত আলী বাচা বাদি হয়ে থানায় দুইটি মামলা দায়ের করেছিলেন। নিখোঁজের পরের রাতেই এই মামলা দায়ের নিয়ে তখন সারা দেশে আলোচনা-সমালোচনার ঝঢ় উঠেছিল। মামলা দায়েরের দীর্ঘ এক বছর তদন্তের পর ২০১৩ সালের ১৮ এপ্রিল বিশ্বনাথ থানার উপপরিদর্শক (এসআই) সাইদুর রহমান আদালতে অভিযোগপত্রটি দাখিল করেন। চার্যশিটের ইলিয়াস আলীর নাম বাদ দেওয়া হয়।
নামমাত্র চলছে ফিরে পাওয়ার আন্দোলন : এই তিন বছরে রাজনৈতিক নানা আন্দোলন-কর্মসূচির ভিড়ে অনেকেই বিএনপির এই ত্যাগী নেতাকে ভুলতে বসেছেন। এখন আর মিছিল-মিটিং এবং আন্দোলনে ইলিয়াস আলীকে খুঁজে পাওয়া যায় না। তাকে নিয়ে উল্লেখযোগ্য কোনো কর্মসূচি এখন আর হয় না। উদাও হয়ে গেছে ইলিয়াস মুক্তি যুব সংগ্রাম পরিষদ। শুরুতে ইলিয়াসকে ফিরে পেতে আন্দোলনে রাজপথে নেমেছিলেন বিশ্বনাথের সাধারন মানুষ। কিন্ত এখন আন্দোলনে নেই সেইসব মানুষ। শুধু ১৭ এপ্রিল এলেই মিলাদ ও দোয়া মাহফিল এবং মিছিলেই সীমাবদ্ধ আন্দোলন।
ইলিয়াস আলী কে নিয়ে নানা গুঞ্জন : নিখোঁজের পর থেকে ইলিয়াসকে নিয়ে নানা গুঞ্জন চলে। ইলিয়াস আলী বেঁচে আছেন এবং ভারতের একটি কারাগারে আছেন- এমন খবরে দেশে-বিদেশে সৃষ্ঠি হয় ব্যাপক চাঞ্চল্য। ২০১৩ সালের ১১ আগস্ট চ্যানলে আই ইউকে’র একটি অনুষ্ঠানে ইলিয়াস আলীর ভাই আছকির আলীর একটি বক্তব্যকে ঘিরে ঐ আলোচনার সূত্রপাত হয়। এছাড়া ইলিয়াস আলীর মোবাইল সীমের নাম্বার থেকে বিভিন্ন সময় কল আসা নিয়ে তোলপাড় সৃষ্ঠি হয়।
দলীয় পদ থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে ইলিয়াস কে : ইলিয়াস আলী নিখোঁজ হওয়ার পর ২বছর তিনি দলের স্বপদে বহাল ছিলেন। তৃণমূল নেতাকর্মীরাও মনে করেছিলেন হয়তো ইলিয়াস আলীকে ফিরে পাওয়া যাবে। তাই তাকে স্বপদে বহাল রাখা হয়েছে। কিন্ত অবশেষে সিলেট জেলা বিএনপির সভাপতির পদ থেকে তাকে বাদ দেওয়া হয়। পরবর্তীতে তাকে কেন্দ্রীয় বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদকের পদ থেকেও বাদ দেওয়া হলে দলীয় অনেক নেতাকর্মী ও সাধারন মানুষের ধারনা হচ্ছে হয়তো ইলিয়াস আলীকে আর ফিরে পাওয়ার সম্ভাবনা নেই তাই তাকে দলের পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে।
বিএনপির কান্ডারী ইলিয়াস পত্নী লুনা : ইলিয়াস নিখোঁজের পর থেকে বিশ্বনাথ-বালাগঞ্জ-ওসমানীনগর বিএনপির কান্ডারী এখন লুনা। ধীরে ধীরে রাজনীতিতে জড়িয়ে পড়েছেন নিখোঁজ ইলিয়াস আলীর স্ত্রী ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার পদে কর্মরত তাহসিনা রুশদী লুনা। ইলিয়াস আলী নিখোঁজের পর দু তিনটি সমাবেশে প্রকাশ্যে অংশ নিলেও বিএনপি নেত্রী হিসেবে তার কোন পরিচয় দেয়া হয়নি। ইতিমধ্যে তাহসিনা রুশদী লুনাকে জেলা বিএনপির আহবায়ক কমিটির প্রথম সদস্য করা হয়। গত উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে দলীয় প্রার্থী সিলেক্ট ও প্রার্থীর পক্ষে প্রচারনায় লুনা সক্রিয় ভূমিকা রেখেছিলেন। ফলে তিনি আলোচিত সমালোচিতও হয়েছেন।
এখনো থামেনি মায়ের চোখের জল : নিখোঁজ হবার পর ইলিয়াস আলীর পরিবারের ভর করে দীর্ঘশ্বাসের কালোমেঘ। এখনো থামেনি মায়ের চোখের জল। সন্তান হারা বৃদ্ধা মাকে সান্তনা দিতে প্রায় প্রতিদিন গ্রামের বাড়িতে দলের নেতাকর্মীরা ছুটে আসলেও এখন আর আগের মত ইলিয়াস আলীর গ্রামের বাড়িতে নেতাকর্মীদের নেই তেমন কোন আনাগোনা। সন্তানকে হারিয়ে নির্বাক ইলিয়াস আলীর গর্ভধারিনী বৃদ্ধা মা সূর্যবান বিবি। তিনি পুত্র শোকে কাতর। অনেকটা শয্যাশায়ী অবস্থায় তিনি অপেক্ষার প্রহর গুণছেন পুত্রের জন্য।
প্রতিফলন ঘটেনি সেই মানবতার : ইলিয়াস আলী নিখোঁজ হওয়ার পর তার খুঁজে পরিবারের পক্ষ থেকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে জানানো হয়েছিলো আকুতি। তখন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ইলিয়াস আলীর স্ত্রী সন্তানদের উদ্দেশ্যে বলেছিলেন ‘স্বজন হারানোর বেদনা আমিও বুঝি’। এসময় প্রধানমন্ত্রী রাজনীতির উর্ধ্বে মানবতা উলেল্লখ করে ইলিয়াস আলীকে খুঁজে বের করার আশ্বাস দিয়েছিলেন। কিন্ত এখনো প্রতিফলন ঘটেনি সেই মানবতার। সন্ধান মিলেনি ইলিয়াসের। আজো সেই মানবতার দিকেই তাকিয়ে আছেন ইলিয়াসের পরিবার।
ইলিয়াস আদৌ কি বেঁচে আছেন ? : শুরু থেকেই এ ঘটনার ব্যাপারে ইলিয়াস আলীর পরিবার এবং দলের পক্ষ থেকে আঙ্গুল তোলা হয় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাবাহিনীর দিকে। তাদের অভিযোগ, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাবাহিনীর লোকজনই ইলিয়াস আলীকে তুলে নিয়ে গেছে। হয়তো তারা ইলিয়াস আলীকে আটকে রেখেছে, না হলে তাকে গুম করে ফেলা হয়েছে। দুই বছরেও ইলিয়াস আলীর খোঁজ না মেলায় প্রশ্ন জেগেছে তিনি কি আদৌ বেঁচে আছেন, নাকি তাকে মেরে ফেলা হয়েছে ?
পরিবারের আর্তি : প্রিয় স্বামীকে ফিরে পাওয়ার অপেক্ষায় ইলিয়াসের স্ত্রী তাহসিনা রুশদি লুনা। পিতাকে ফিরে পাবার আশায় বুকে পাথর বেঁধে দিন যাপন করছে ইলিয়াসের পুত্র আবরার ইলিয়াস, লাবিব সারার ও মেয়ে সাইয়ারা নাওয়াল। পরিবারের একটাই দাবি তারা যে কোন মূল্যে ইলিয়াস আলী ও তার গাড়ী চালক আনছার আলীকে অক্ষত এবং সুস্থ অবস্থায় তাদের মাঝে ফিরে পেতে চান। এজন্য তারা দেশবাসীর কাছে দোয়া কামান করেন।
বিশ্বনাথ বিএনপি’র কর্মসূচী : ইলিয়াস আলীর সন্ধান দাবিতে আজ বিকেল ৪টায় তাঁর জন্মস্থান বিশ্বনাথ উপজেলা বিএনপির উদ্যোগে বিক্ষোভ মিছিল-সমাবেশ ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হবে জানিয়েছেন উপজেলা বিএনপির সভাপতি জালাল উদ্দিন চেয়ারম্যান।