ওসমানীনগরে কেয়ারটেকারকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ
প্রকাশিত হয়েছে : ২৪ এপ্রিল ২০১৫ ইং, ৭:২০ অপরাহ্ণ | সংবাদটি ৭০০ বার পঠিত
শিপন আহমদ, ওসমানীনগর::সিলেটের ওসমানীনগরে প্রবাসীর কেয়ারটেকারকে পিটিয়ে হত্যা করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। তিনি উপজেলার সাদীপুর (গলাচিপা) গ্রামে মৃত রমিজ উদ্দিনের পুত্র মাখন মিয়া (৫৫)। খবর পেয়ে থানা পুলিশ বৃহস্পতিবার রাতে নিহতের বাড়ি থেকে লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য সিলেট ওসমানী মেডিকেল হাসপাতালে প্রেরণ করেছে।
স্থানীয় বাসিন্দা ও নিহতের পরিবার সূত্রে জানা যায়, উপজেলার সাদীপুর ইউনিয়নের সাদীপুর (গলাচিপা) গ্রামের দুই বছর ধরে প্রবাসী আমজদ আলীর বাড়ি কেয়ারটেকারের দায়িত্ব পালন করে আসছেন মাখন মিয়া। এ নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে তার চাচাতো ভাই মোজাহিদ আলী ও তার ছেলেদের সাথে মাখন মিয়ার মনমালিন্য চলে আসছিল। গত ৩/৪ দিন পূর্বে প্রবাসী আমজদ আলীর বাড়ি থেকে জোরপূর্বক সাটার আনতে যায় মোজাহিদ ও তার ছেলেরা। এসময় সাটার নিতে তাদের বাঁধা দেন মাখন মিয়া। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে উঠে মোজাহিদ আলী লোকজন। এরই জের ধরে গত বুধবার বিকেলে মোজাহিদ আলীর লোকজন প্রবাসীর বাড়িতে গিয়ে মাখন মিয়াকে দেশীয় অস্ত্র দিয়ে পিটিয়ে গুরুতর আহত করে। পরবর্তিতে মোজাহিদ আলী পল্ল¬ী চিকিৎসকের মাধ্যমে আহত মাখন মিয়াকে সামান্য চিকিৎসা দিয়ে জোরপূর্বক নিহতের ভাবী রহিমা খাতুনের নিকট রেখে আসেন। রহিমা খাতুন মাখন মিয়ার শরীরের মারাত্বক আঘাতের চিহ্ন দেখে বৃহস্পতিবার রাতে উপজেলার গোয়ালাবাজারস্থ স্থানীয় একজন এমবিবিএস ডাক্তারের কাছে নিয়ে গেলে তিনি মাখন মিয়াকে দ্্রুত সিলেট ওসমানী হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার জন্য পরামর্শ দেন। ওই রাতে ওসমানী হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথে মাখন মিয়া মারা যান।
নিহতের ভাবি রহিমা খাতুন জানান, মাখন মিয়ার কোনো স্ত্রী-সন্তান না থাকায় তিনি আমাদের কাছে বসবাস করে আসছিলেন। আমাদের আত্বীয় প্রবাসী আমজদ আলীর সম্পত্তি দেখাশুনা করেন। বুধবার তুচ্ছ ঘটনাকে নিয়ে মোজাহিদ আলী ও তার ছেলেরা মিলে তাকে পিটিয়ে গুরুত্বর আহত করে সামান্য চিকিৎসা প্রদান করে জোর পূর্বক আমার বাড়িতে মাখনকে রেখে যায়। পরবর্তীতে মাখন মিয়ার শরীরের একাধিক স্থানে আঘাতের চিহ্ন দেখে স্থানীয় ডাক্তারের পরামর্শে সিলেট তাকে ওসমানী হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথে তিনি মারা যান। পুলিশ লাশ থানায় নিয়ে গেছে বলে তিনি জানান।
অভিযুক্ত মোজাহিদ আলীর সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তাকে পাওয়া যায়নি।
ওসমানীনগর থানার ওসি মুরছালিন বলেন, জিডির প্রেক্ষিতে লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য মর্গে প্রেরন করা হয়েছে। লাশের শরীরের একাধিক স্থানে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে বলে তিনি জানান। তবে অভিযোগ পেলে তদন্তপূর্বক আইনি ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।