তাহিরপুরে হাওরাঞ্চলে মালামাল পরিবহনের ঘোড়ার গাড়ি!
প্রকাশিত হয়েছে : ১৬ এপ্রিল ২০১৫ ইং, ৪:২২ অপরাহ্ণ | সংবাদটি ৫৪৩ বার পঠিত
জাহাঙ্গীর আলম ভূঁইয়া,তাহিরপুর(সুনামগঞ্জ)::বাংলাদেশের প্রাচীনতম পরিবহন ঘোড়ার গাড়ি এখন আর আগের মত দেখা যায় না। ঘোড়ার গাড়ি পরিবেশ বন্ধব। এক সময় এই গাড়িটি ছিল জমিদার,রাজা-বাদশা ও ধর্নাঢ্য ব্যক্তি এবং রাজ পরিবারের সদস্যদের পরিবহনে প্রধান মাধ্যম। সর্ব প্রথম এই ঘোড়ার গাড়ির ব্যবহার শুরু করে ইংরেজরা পরে স্থানীয় জমিদার ও অভিজাত শ্রেনীর মানুষেরাও এর সুবিধা নেয়। বর্তমানে কালের পরিবর্তন আর যান্ত্রিক সভ্যতার বিকাশের ফলে পরিবর্তন এসেছে। ঘোড়ার গাড়ির দখলে নিয়েছে বাস,ট্রাক সহ বিভিন্ন ধরনের যান্ত্রিক পরিবহন। তবে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন এখনোও হাওরাঞ্চলের গ্রাম গুলোতে পন্য বোঝাই করে খুরের ঠক ঠক আওয়াজ তুলে চলাচল করছে ঘোড়ার গাড়ি। সুনামগঞ্জের তাহিরপুরের হাওরাঞ্চলে গ্রামগুলোর সাথে সড়ক পথে যোগাযোগের ভাল ব্যবস্থা না থাকায় মালামাল পরিবহনে বর্ষায় নৌকা আর শুষ্কমৌসুমে ঠেলা গাড়ি,গরুর গাড়ি,টলি ও ঘোড়ার গাড়ি ব্যবহার করে থাকে। উপজেলার ৭টি ইউনিয়নের শ্রীপুর,লামাগাঁও,মানিকটিলা,চারাগাঁও,বড়ছড়া,শ্রীপুর,সোলায়মানপুর সহ প্রত্যান্ত গ্রাম গুলোর সাথে সড়ক পথে উপজেলা সদরের ভাল যোগাযোগ নেই। যার ফলে মালামাল পরিবহনে ব্যবহার করা হয় ঘোড়ার গাড়ি।
ঘোড়ার গাড়ির চালকরা জানান-তাহিরপুর সদরের সাথে হাওরাঞ্চলের গ্রামের বাজার গুলোর সড়ক পথে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন থাকায় ও বেশী মালামাল পরিবহনে ঘোড়া গাড়ি চাহিদা আছে তবে আগের মত নেই। তারপরও যেটুকু চাহিদা আছে তা দুরত্ব্য অনুযায়ী টাকার পরিমান নির্ধারন করে পরিবহন করি। বর্ষায় ৬মাস পানি আর বাকি ৬মাস শুষ্কমৌসুম থাকায় সড়ক পথের ভাল উন্নয়ন হয়নি। যার ফলে শুষ্কমৌসুমে হাওরাঞ্চলের দুর-দুরান্তের গ্রামের প্রতিটি বাজারে বিভিন্ন পন্য সামগ্রী পরিবহনে ব্যবহার করা হয় ঘোড়ার গাড়ি।
তাহিরপুর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান কামরুজ্জামান কামরুল বলেন- তাহিরপুরের প্রত্যান্ত গ্রাম গুলোর সাথে সড়ক পথে উপজেলা সদরের সাথে যোগাযোগ না থাকায় মালামার পরিবহনে ঠেলা গাড়ি,ট্রলি ও ঘোড়া গাড়ি যে যে ভাবে পারছে মালামাল পরিবহন করছে। আগের মত এখন আর ঘোড়ার গাড়ি আর দেখা যায় না। প্রত্যান্ত গ্রাম গুলোর সাথে সড়ক পথে যোগাযোগ ব্যবস্থার প্রয়োজনীর ব্যবস্থা করার চেষ্টা করব আমার উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে।