নেপালে মৃতের সংখ্যা ৪৩০০ ছাড়িয়েছে
প্রকাশিত হয়েছে : ২৮ এপ্রিল ২০১৫ ইং, ১২:১৮ অপরাহ্ণ | সংবাদটি ৯২২ বার পঠিত
আন্তর্জাতিক ডেস্ক :: নেপালে ভয়াবহ ভূমিকম্পে মৃতের সংখ্যা ৪৩০০ ছাড়িয়েছে। আহত অবস্থায় উদ্ধার হয়েছে, ৭ হাজার মানুষ। উদ্ধার কাজে যোগ দিয়েছেন, নেপালের সেনা ও পুলিশের প্রায় সব সদস্য। এছাড়া, এভারেস্টে আটকে পড়া দুশ’ অভিযাত্রীকেও জীবিত ফিরিয়ে আনা সম্ভব হয়েছে। ভয়াবহ এই প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবেলায় বাংলাদেশ, চীন, ভারত, যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্যসহ বেশ কিছু দেশ ত্রাণ পাঠিয়েছে। তবে, আন্তর্জাতিক মহলকে আরো সহায়তা পাঠানোর আহ্বান জানিয়েছে, নেপাল।
ভূমিকম্পের তাণ্ডবে ধ্বংসস্তুপ নেপাল। এর মাঝেও দুদিন পর ধ্বংসস্তুপ থেকে উদ্ধার করা হয় জীবিত একজনকে। যেন মৃত্যুকে ফাঁকি দিয়ে জীবনের আলো পেলেন কাঠমান্ডুর এই বাসিন্দা।
এখন পর্যন্ত রাজধানী কাঠমান্ডুতে ইট-পাথরের ধ্বসংস্তুপ সরাতেই ব্যস্ত, উদ্ধারকারী দল। কিন্তু প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতির অভাবে গতি আসছে না সেই কাজে। উদ্ধারে যোগ দিয়েছে, ভারত, বাংলাদেশ, চীন, পাকিস্তান, যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্যসহ বিভিন্ন দেশ। এগিয়ে এসেছে জাতিসংঘ, ইউএস এইডসহ নানা সংস্থাও। তবে, প্রতিকূল পরিবেশ ও যোগাযোগ ব্যবস্থা ভেঙ্গে পড়ায় বেশির ভাগ জায়গায়, এখনও শুরু হয়নি উদ্ধার কাজ। পৌঁছেনি সাহায্যও। জাতিসংঘ বলছে, দফায় দফায় ভূমিকম্পে নেপালে সরাসরি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, অন্তত ৬৬ লাখ মানুষ। আর ইউনিসেফের হিসাবে, এই মুহুর্তে নেপালে সাহায্য দরকার প্রায় ১০ লাখ শিশুর।
শনিবারের ভয়াবহ ভূমিকম্পের পর আরো অনেক ছোট-বড় কম্পনের ফলে, বহুতল ভবনের বদলে, তাবু কিংবা খোলা মাঠে আশ্রয় নিয়েছেন নেপালের মানুষ। ত্রাণ পৌছানোর মাঝে চলছে বিদেশি নাগরিক সরিয়ে নেয়ার কাজ।
এদিকে, সোমবার সন্ধ্যায় ভারত নেপাল সীমান্তে ৫ মাত্রার ভূমিকম্পের পর বিশেষজ্ঞদের আশঙ্কা বাড়ছেই। কলোরাডো বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল গবেষকের হিসেবে, ভারতের সঞ্চারনশীল ও পরিবর্তনযোগ্য ভূ-ত্বকের বিশাল খণ্ড বা টেকটোনিক প্লেটের অ্যালাইমেন্টে পরিবর্তনের জন্যই এই ভূমিকম্প। মধ্য এশীয় টেকটোনিক প্লেটও এই প্লেটের সাথে মিশেছে সিকিম থেকে নাগাল্যান্ড পয়েন্টে। এই সংযোগস্থলে ভারতীয় প্লেটটি মধ্য এশীয় প্লেটের নিচ দিয়ে চলে গেছে। ফলে এ অংশটি আরো ঝুঁকিপূর্ণ। গবেষকেরা বলছেন, এরপর যেখান থেকে ভূমিকম্পের উৎপত্তি হবে তার মধ্যে রয়েছে সিকিম, ভূটান, আসাম, লাগাল্যান্ড ও সিলেট। এই লাইনের যে কোন স্থান ভূমিকম্পের কেন্দ্র হলে নেপালের মতো ভয়াব্হ ধ্বংসযজ্ঞ ও প্রাণহানি ঘটবে এসব জায়গায়ও।