প্রতিষ্ঠার ১০৬ বছরও সরকারি করণ হয়নি
প্রকাশিত হয়েছে : ৩০ এপ্রিল ২০১৫ ইং, ১২:১৬ অপরাহ্ণ | সংবাদটি ৫৩৫ বার পঠিত
মোহাম্মদ আলী শিপন::বিশ্বনাথ উপজেলার ঐতিহ্যবাহী সবচেয়ে প্রাচীনতম একটি বিদ্যাপীঠ হচ্ছে রামসুন্দর অগ্রগামী উচ্চ বিদ্যালয়। কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্য যে বিদ্যালয়টি এমপিও ভুক্ত হলেও প্রতিষ্ঠার ১০৬ বছর অতিবাহিত হতে চলেছে আজো সরকারি করণ করা হয়নি।
অনুসন্ধানে জানাগেছে, তৎকালিন সময়ের পুর্ব পুরুষরা ছেলে মেয়েদের লেখা পড়ার কথা চিন্তা করে ১৯০৯ সালে এ বিদ্যালয়টি উপজেলা সদরের বাসিয়া নদীর দক্ষিণ তীরে নির্মান করা টিনসেট দিয়ে। এসময় বিদ্যালয়ের নাম করণ করা হয় এম.ই স্কুল। প্রতিষ্টাকালীন সময়ে প্রধান শিক্ষককের দায়িত্ব ছিলেন স্বর্গীয় রাধানাথ চক্রবর্তী। ১৯৩২ সালে বিদ্যালয়টি হাইস্কুলে রুপান্তরিত করা হয়। পরবর্তিতে বিদ্যালয়ের নামকরণ করা হয় রামসুন্দর অগ্রগামী উচ্চ বিদ্যালয়। ১৯৬৫ সালে বিজ্ঞান বিভাগ চালু হয় এবং ১৯৭৯ সালে থেকে বিদ্যালয়ে এস.এস.সি পরীক্ষা শুরু হয়। ২০০২ সালে বিদ্যালয়ের নিজস্ব অর্থায়নে নির্মিত করা ৩য় তলা ভবন। প্রতিদিন ছাত্র-ছাত্রী উপস্থিতিতে বিদ্যালয়টি হয়ে উঠে মুখরিত। শিক্ষকদের কঠোর পরিশ্রমের ফলে প্রতিবছরেই সন্তোষ জনক ফলাফল অর্জন করে আসছে। উপজেলার একমাত্র এসএসসি পরীক্ষা কেন্দ্র হচ্ছে এ বিদ্যালয়টি। গত ১৯৯৫ সাল থেকে বিদ্যালয়ে এস,এস,সি ভোকেশনাল শাখা খোলা হয়। এ শাখার মাধ্যমে ছাত্র/ছাত্রীরা তিনটি কারিগরী বিষয়ে হাতে-কলমে শিক্ষা গ্রহন করছে। ওই বিদ্যালয়ের অধীনে শুরু হয়েছে উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ালেখা। প্রোগ্রামের মাধ্যমে যে কোন বয়সের কর্মজীবি ও ঝরে পড়া শিক্ষার্থীরাও উপকৃত হচ্ছেন। সত্তর দশকের মাঝামাঝি পর্যন্ত উপজেলায় রামসুন্দরই একমাত্র মাধ্যমিক বিদ্যালয় ছিল। ওই বিদ্যালয়ে পড়ালেখা করে বিশ্বনাথের অনেক কৃতি সন্তান সুনামের সাথে সরকারি-বেসরকারি চাকুরী ও রাজনৈতিক অঙ্গনে দেশ-বিদেশে সফলতার স্বাক্ষর রেখে চলেছেন। যে বিদ্যালয়টি তাদেরকে ভি আই পি’র মর্যাদায় প্রতিষ্টিত করল সেই বিদ্যালয়টি সরকারি করণে আজো তাদের কোনো আগ্রহ নেই।
এব্যাপারে উপজেলার সুশীল সমাজের লোকজন সরকারের সু’দৃষ্টি কামনা করে বলেন, বিশ্বনাথের সবচেয়ে প্রাচীনতম এবিদ্যাপীঠকে সরকারি করণ করা হলে আগামীতে লেখা পড়ার মান আরো গতিশীল হবে।
বিদ্যালয়ের প্রাক্তন ছাত্র প্রবাসী মখলিছ আলী বলেন, বিদ্যালয়টি এখনো সরকারি করণ হয়নি শুনে নিজের কাছে খুব খারাপ লেগেছে। শ্রীঘ্রই বিদ্যালয়টি সরকারি করণ দরকার।
এবিদ্যালয়ে ৪৪বছর শিক্ষককের দায়িত্ব পালন করে বর্তমানে অবসরে থাকা তজম্মুল আলী স্যার বলেন, চাকরির সময় অনেক জনপ্রতিনিধিকে বলেও বিদ্যালয়টি সরকারি করণ করা সম্ভব হয়নি। আর কবে হবে জানিনা।
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা সোলেমান হোসেন বলেন, বিদ্যালয়টি সরকারি করণের প্রক্রিয়ায় রয়েছে। তবে বিদ্যালয়টি মডেল বিদ্যালয় রুপান্তির করা হয়েছে।
স্থানীয় সংসদ সদস্য ইয়াহইয়া চৌধুরী এহিয়া বলেন, বিদ্যালয়টি সরকারি করণের জন্য উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে অবহিত করা হয়েছে।বিদ্যায়লটি সরকারি করণ করার জন্য চেষ্টা চলছে।