বালাগঞ্জে মাইক্রো চালক বিষুর লাশ দেখতে মানুষের ঢল, অন্তোষ্টিক্রীয়া সম্পন্ন
প্রকাশিত হয়েছে : ০৮ এপ্রিল ২০১৫ ইং, ৯:১৯ অপরাহ্ণ | সংবাদটি ৫৭৯ বার পঠিত
শিপন আহমদ,ওসমানীনগর: সিলেটের বালাগঞ্জে বুধবার মাইক্রো চালক বিষুর লাশ দেখতে নিহতের বাড়িতে মানুষের ঢল নেমেছে, পরিবারে শোকের মাতম চলছে। লাশের অন্তোষ্টিক্রীয়া সম্পন্ন হয়েছে। হবিগঞ্জ জেলা প্রশাসকের অনুমতিক্রমে বুধবার দুপুরে বিষুর লাশ বালাগঞ্জে নিয়ে এসে তার বাসায় নিয়ে আসলে বাবা মা বোনের কান্নায় পরিবেশ ভারী হয়ে উঠে পরে বালাগঞ্জ ডিএন উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে বিকাল ৪টার সময় নিয়ে আসলে তাকে এক নজর দেখার জন্য মানুয়ের ঢল নামে। তার বাবা বার বার মুর্ছা যান। বিকাল ৫টার দিকে চানপুর শ্মশান ঘাটে তার অন্তোষ্টক্রীয়া সম্পন্ন হয়। সিলেট জেলা শ্রমিক নেতৃবৃন্দ সহ বালাগঞ্জ সদর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান এমএ মতিন, সমাজসেবী মো: জুনেদ মিয়া সহ এলাকার গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ পরিবারকে সান্তনা দেন। বালাগঞ্জ লাইটেস সমিতির সাধারন সম্পাদক মুফতি মাহমুদ জায়গীরদার বলেন, আমরা অভিযোগ দাখিল করেছি বিসু হত্যার সুষ্ট তদন্ত দাবী করছি। বালাগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ বলেন আমার কাছে কোন অভিযোগ দেয়নি ,তবে সায়েস্তাগঞ্জ থানায় অভিয়োগ দেবে বলে জানিয়েছে তারা।
উলে¬খ্য যে, গত ৫ এপিল রবিবার বেলা বারটার দিকে বালাগঞ্জ বাজার থেকে নোহা গাড়ীটি (সিলেট-ছ ১১-০৭২১) নিয়ে গোয়ালা বাজার থেকে ট্রিপ নিয়ে যায় বিশ্বজিত দাস বিষু(২৬)। ঐ দিন রাত ৮টার পর থেকে তার মোবাইল ফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়। পরদিন সোমবার বালাগঞ্জ থানায় জিডি করেন নোহা গাড়ীর মালিক শফিকুল ইসলাম আরক। দুর্বৃত্তরা কৌশলে গাড়ী রিজার্ভ করে নিয়ে বিষুকে খুন করে তার ব্যবহৃত নোহা গাড়ীটি ছিনতাই করে নিয়ে যায়। সোম বার ফজরের নামাজ শেষে স্থানীয় মুসল্লীগন হবিগঞ্জের সায়েস্ত্াগঞ্জ পৌরসভার ২নং ওয়ার্ডের দেউন্দি এলাকায় ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের পার্শে বিষুর লাশটি অজ্ঞাত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখেন। সায়েস্তাগঞ্জ থানায় খবর দেয়া হলে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য মর্গে পাঠায়। বিষুর লাশের ময়না তদন্ত শেষে আঞ্জুমানে মফিদুল ইসলাম হবিগঞ্জ শাখায় লাশটি হস্তান্তর করে পুলিশ। পরে আঞ্জুমানে মফিদুল ইসলামের তত্ত্বাবধানে অজ্ঞাত অবস্থ্য়া লাশটি (দাহ না করে) সমাহিত করা হয়। সোমবার রাতে বালাগঞ্জ থানার ওসি তরিকুল ইসলাম তালুকদার সায়েস্তাগঞ্জ থানার একটি অজ্ঞাত লাশের ছবি ফেইসবুকে দেখতে পেয়ে নোহা গাড়ীর মালিক শফিকুল ইসলাম আরক এবং স্থানীয় শ্রমিকদেরকে দেখালে তারা বিষুর লাশ শনাক্ত করেন। জানা যায়, এদিকে পরিবারের একমাত্র উপার্জনকারী ব্যক্তি বিষুকে হারিয়ে বাকরুদ্ধ হয়ে পড়েছেন বিষুর মা অনিতা রানী দাস। এক ভাই এক বোনের মধ্যে বিষু ছিল পরিবারের বড় সন্তান। বিষুর একমাত্র বোন লিমা রানী দাস বিলাপ করে বলেন কেন আমার ভাইকে খুন করা হল, আমার ভাই কি দোষ করেছিল। বিষুর বাবা মন্টু দাস এখন পুত্র শোকে কাতর হয়ে পড়েছেন। তিনি কান্না জড়িত কন্ঠে বলেন আমার আর কোন অবলম্বন রইল না। আমার ছেলেকে যারা হত্যা করেছে তাদের আইনের আওতায় এনে বিচার করা হউক।