“বিছাল মাইড় দেখার লাগি চাচার লগে আইছি”
প্রকাশিত হয়েছে : ১১ এপ্রিল ২০১৫ ইং, ৫:১৩ অপরাহ্ণ | সংবাদটি ৯৮৬ বার পঠিত
নূর উদ্দিন ও জামাল মিয়া::বিশ্বনাথে দশঘর ইউনিয়নের লহরি গ্রামের উত্তরের মাঠে শনিবার বিপুল উৎসাহ উদ্দিপনার মধ্য দিয়ে সিলেট বিভাগের বিভিন্ন থানা থেকে আগত ষাঁড়দের চিয়ায়ত বাংলার ঐতিহ্যবাহী ষাঁড়ের লড়াই অনুষ্ঠিত হয়েছে। সকাল ১০টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত অনুষ্ঠিত এ লড়াইয়ে ছাতক উপজেলার সোনামী কে হারিয়ে বিশ্বনাথের জোসনারফুল চ্যাম্পিয়ান হওয়ার কারণে প্রথম পুরস্কার একটি ফ্রিজ জিতে নেয়। উপজেলার লহরি গ্রামের উত্তরের মাঠে ষাঁড়ের লড়াই আয়োজন করেন দশঘর ইউনিয়স ষাঁড়ের লড়াই আয়োজক কমিটি ও বন্ধুমহল।
এ লড়াই উল্লেখ্য যোগ্য কয়েক ষাড়ের নাম-বাঘ, রাজবীর, দূরন্ত, ভয়ংকর, টাইগার, শান্তরাজ, হলিপিল্ড, শান্ত পাইটার, জাদুঘর, হিরামন, লিমন পাগলা, ফ্যাশন, ব্ল্যাক ডায়মন্ড, রাখাল, হাই পেশার,কালার চান, নিউ রাজবীর, টু প্রেন্ড, জুবরাজ, নিউ টারকেট, কালনাগ, খলিল বেগ, আকাশ পাগলা,লায়ন, মামু ভাগনা, শির শান্তি, সাদা গন্ডার, আরমী টাইগার, চানতেরা, চান সদাগর, টারজান, দেশের দোয়া, মহারাজ, নিউ বনরাজ, লাল গোলাপ, অপারেশ, কৃঞ্চ সাধু, বশর পাগলা, ইন্টারনেটসহ সিলেট বিভাগের বিভিন্ন উপজেলা থেকে আগত ৩০ জোড়া ষাঁড়রের অংশ গ্রহনে ষাঁড়ের লড়াইয়ের খবর শুনে সিলেট বিভাগের বিভিন্ন উপজেলা থেকে লোকজন দেখতে আসেন। সকাল ৯টা থেকে আস্তে আস্তে মানুষজন আসতে শুরু করলে দুপুর ১২টায় কয়েক হাজার মানুষের পদভারে মুখরিত হয়ে উঠে বিশাল এ মাঠটি। ষাঁড়ের লড়াইয়ের সাথে সাথে চলতে থাকে হাসি, চিৎকার আর শীষ দেওয়া। আর এ লড়াইয়কে কেন্দ্র করে বসে নানান রকমে ছোট ছোট দোকান। ষাঁড়ের লড়াই উপলক্ষে বিভিন্ন রকমের খাবার নিয়ে ছোট খাটো অনেক দোকান বসে। আর এই দোকান গুলোতেও ক্রেতাদের ভির উপচে পড়া ছিলো। বড়দের চেয়ে ছোট ছোট অনেক ছেলে-মেয়েদের মধ্যে ষাঁড়ের লড়াই দেখার আগ্রহ ছিলো লক্ষনীয়। আর তাই তারা অভিভাবকদের হাত ধরে দেখতে আসে ষাঁড়ের লড়াই।
শিশু আলিফা বেগম বলেন, আমি বিছাল মাইড় দেখার লাগি চাচার লগে আইছি। বিছাল মাইড় দেখতে ভাল লাগে।
ছাতক উপজেলা থেকে আসা ফয়ছল মিয়া বলেন, ষাঁড়রের লড়াই দেখার জন্য এখানে এসেছি। এ লড়াই দেখতে আমার ভাল লাগে তাই আমি বিভিন্ন জায়গায় ষাঁড়ের লড়াই দেখার জন্য যাই।
চানাচুর বিক্রেতা রফিক আহমদ বলেন, ষাঁড়ের লড়াই মানে আমাদের মত মানুষের একটু বাড়তি আয়ের সুযোগ হওয়া। তাছাড়া এটি দেখতেও ভালো লাগে।
ষাঁড়ের লড়াই আয়োজক কমিটির সাধারণ সম্পাদক ইমান আলী বলেন, চিরায়ত বাংলার ঐতিহ্যকে ধরে রাখার জন্য আমরা বৈশাখী উপলক্ষে ষাঁড়ের লড়াইয়ের আয়োজন করেছি।