বিশ্বনাথে কাল বৈশাখী ঝড় ১৭ ঘন্টা বিদ্যুৎ বিহীন
প্রকাশিত হয়েছে : ০৫ এপ্রিল ২০১৫ ইং, ১:৫৯ অপরাহ্ণ | সংবাদটি ১২০১ বার পঠিত
নিজস্ব সংবাদদাতাঃবিশ্বনাথে গতকাল শনিবার রাতে কাল বৈশাখী ঝড়ে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে খবর পাওয়া গেছে। রাত সাড়ে ৮টায় থেকে এই ঝড় শুরু হয়। এতে বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়েছে পড়ে উপজেলা সদরসহ বিভিন্ন এলাকা। রবিবার বেলা ১টা ১৫ মিনিটে উপজেলা সদরের বিদ্যুৎ আসে। দীর্ঘ প্রায় ১৭ ঘন্টা ছিল বিদ্যুৎ বিহীন পুরো উপজেলা। শনিবার রাতে হঠাৎ ঝড় শুরু হলে উপজেলা সদরের পুরান বাজার ও নতুন বাজারের ব্যাবসায়ীরা দোকান-পাঠ বন্ধ করে ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের ভিতরে অবস্থান করেন। কাল বৈশাখী ঝড় প্রায় ঘন্টাখানিক উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় স্থায়ী ছিল। রাত সাড়ে ৯টার পর ঝড় থামতে শুরু করে। কিন্তু রাতে বৃষ্টি না হলে রবিবার সকাল ১০টা থেকে ভারী বর্ষণ শুরু হয়। পরে সাড়ে ১১টা বৃষ্টি থামলে আকাশে সূর্য্যর দেখা মেলে। তবে এরির্পোট বেলা দেড়টায় খেলা পর্যন্ত উপজেলার অনেক এলাকায় বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন রয়েছে বলে জানাগেছে।
খোঁজ নিয়ে জানাযায়, বিশ্বনাথ উপজেলার বিশ্বনাথ সদর ইউনিয়ন, রামপাশা ইউনিয়ন, খাজাঞ্চী ইউনিয়ন, লামাকাজী ইউনিয়ন, দেওকলস ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামে কাল বৈশাখী ঝড় হানা দেয়। এতে বেশীরভাগ গ্রামের অনেকের ঘরের চালের টিন ও গাছ উপড়ে পড়ে। বিভিন্ন এলাকায় বিদ্যুৎ বিচ্ছিন থাকায় অন্ধকারের মধ্যে অনেকেই বসবাস করেন।
এব্যাপারে উপজেলা রামপাশা বাজারে ব্যবসায়ী রিপন আহমদ বলেন, ঝড়ে তার দোকানঘর উপড়ে গেছে।
শ্বাসরাম গ্রামের নুরুল ইসলাম বলেন,কাল বৈশাখী ঝড়ে গ্রামের অনেকের গাছ উপড়ে গেছে। ঝড় শুরু হওয়ার সাথে সাথে বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে পুরো এলাকা।
উপজেলা সদরের ব্যবসায়ী কামাল মিয়া বলেন, হঠাৎ করে কাল বৈশাখী ঝড় শুরু হয়। ফলে দোকান ঘরে প্রায় দুই ঘন্টা অবরুদ্ধ হয়ে পড়ি।
অলংকারি ইউপি চেয়ারম্যান লিলু মিয়া বলেন, ঝড়ে এলাকার কয়েক গ্রামের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। পুরো এলাকায় বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন ছিল।
লামাকাজি ইউপি চেয়ারম্যান কবির হোসেন ধলা মিয়া বলেন, কাল বৈশাখী ঝড়ে এলাকার কয়েকটি আধা-পাঁকা ঘরের চালের টিন ও গাছ উপড়ে গেছে।
বিশ্বনাথ পল্লী বিদ্যুৎ জোনাল অফিসের ডিজিএম হারুনুর রশীদ বলেন, বিভিন্ন এলাকায় বিদ্যুতের খুটি উপড়ে পড়ে যায়। ফলে বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়। তবে উপজেলা সদরসহ অনেক এলাকায় বিদ্যুৎ দেয়া হয়েছে।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার মুহাম্মদ আসাদুল হক বলেন, এলাকার দুটি জায়গা কিছু গাছ উপরে পড়েছে। তবে তেমন কোনো ক্ষয়ক্ষতি খবর এখনও পাওয়া যায়নি। তবে বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন ছিল বলে তিনি জানান।
উপজেলা চেয়ারম্যান সুহেল আহমদ চৌধুরী বলেন, ঝড়ে উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। তবে ওই সব গ্রামগুলো পরিদর্শণ করবেন বলে তিনি জানান।