ভূমিকম্পে নেপালে ৪৫০, ভারতে ১১, বাংলাদেশে ৩ জনের প্রাণহানি
প্রকাশিত হয়েছে : ২৫ এপ্রিল ২০১৫ ইং, ৫:৪১ অপরাহ্ণ | সংবাদটি ৯৪১ বার পঠিত
ডেইলি বিশ্বনাথ ডেস্ক: ৭ দশমিক ৯ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্পে নেপালে ক্রমেই দীর্ঘ হচ্ছে মৃত্যুর মিছিল। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইন্ডিয়ার খবরে এ পর্যন্ত নেপালে অন্তত ৪৫০ জনের প্রাণহানির খবর নিশ্চিত করা হয়েছে। ভারতে নিহত হয়েছেন অন্তত ১১জন। অপরদিকে বাংলাদেশে এ পর্যন্ত ৩জনের মুত্যর খবর নিশ্চিত করা গেছে।
ইউএসজিএস প্রথম ভূমিকম্পের পরপরই জানায়, উৎপত্তিস্থলে রিখটার স্কেলে এর মাত্রা ছিল ৭.৫। পরে তা সংশোধন করে জানায়, ভূমিকম্পের তীব্রতা ছিল ৭.৯। ইউরোপীয় ভূমধ্য সিসমোলজিকাল সেন্টার জানায় নেপালের কাঠমান্ডুর ৮৩ কিলোমিটার উত্তর-পশ্চিমে ছিলো এই ভু-কম্পনের উৎপত্তিস্থল।
বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকাসহ সারাদেশে পরপর দুইবার তীব্র ভুমিকম্প অনুভূত হয়েছে। প্রথমবার দুপুর সোয়া ১২টার দিকে ও পরেরবার প্রায় ৪০ মিনিট পর ১২টা ৫০ মিনিটে কেঁপে ওঠে গোটা দেশ।
বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তরের পরিচালক শাহ আলম জানান, ‘ঢাকা থেকে ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল ছিল সাড়ে সাতশ কিলোমিটার দূরে নেপালে। উৎপত্তিস্থল থেকে যতদূর যাবে ভূমিকম্পের মাত্রা তত কমে আসবে। তবে বাংলাদেশে প্রাথমিক ভাবে ধারণা করা হচ্ছে ভূমিকম্পের মাত্রা ছিলো ৫ বা তার কিছু বেশী’।
বাংলাদেশে তিনজনের মৃত্যু:
ভূমিকম্পে ঢাকা, পাবনা এবং সাভারে তিনজনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গিয়েছে। এছাড়া ভূমিকম্পে ব্রাহ্মনবাড়িয়ায় ২৫, সুনামগঞ্জে ১০, রাজশাহীতে ১৫, কুমিল্লায় ১০, কুষ্টিয়াতে ১৫ জন আহত হওয়ার খবর পাওয়া গিয়েছে।
ভূমিকম্পের সময় হুড়োহুড়ি করে নামতে গিয়ে ঢাকার সাভারে এক পোশাক শ্রমিক মারা গেছেন। আহত হয়েছেন শতাধিক শ্রমিক। আজ শনিবার সাভারের আল মুসলিম গ্রুপের পোশাক কারখানার এই ঘটনা ঘটে। আহত শ্রমিকদের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
কয়েকটি ভবন ক্ষতিগ্রস্ত:
মিরপুরে ডায়মন্ড গার্মেন্টস নামের একটি পোশাক কারখানা ও বংশালে ছয়তলা একটি ভবন কিছুটা হেলে পড়েছে বলে ফায়ার সার্ভিসের নিয়ন্ত্রণকক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।
এছাড়াও ঢাকার নবাবপুর, যাত্রাবাড়ী, বনানীতে এবং খুলনা ও রাজশাহীতে একাধিক ভবন হেলে পড়ার খবর পাওয়া গিয়েছে।
কুষ্টিয়া ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবন ও কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের মূল ভবনে ফাটল দেখা দিয়েছে।
ফেনীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সাইফুল হক জানান, ফেনী শহরের শহীদ শহীদুল্লাহ কায়সার সড়কে শাহ আলম টাওয়ার নামের একটি ১০তলা বাণিজ্যিক ভবনে ফাটল দেখা দিয়েছে। ভবনটি সিলগালা করে দিয়েছে ফায়ার সার্ভিস।
ভূমিকম্পে ময়মনসিংহ শহরের গাঙ্গিনার পাড় এলাকায় ‘অলকা নদী বংলা’ নামের একটি বহুতল ভবন সামান্য হেলে পড়েছে। এতে একটি বিপণিকেন্দ্র রয়েছে।
ময়মনসিংহ ফায়ার সার্ভিসের সহকারী পরিচালক আবুল হোসেনের ভাষ্য, ভূমিকম্পের সময় ভালুকা উপজেলার ঢাকা-ময়মনসিংহ সড়কের বেশ কয়েকটি পোশাক কারখানার শ্রমিকেরা আতঙ্কে মহাসড়কে নেমে আসেন। সূত্র বিডি লাইভ ২৪ ডটকম