সুরমাপাড়ে বাঁধভাঙ্গা উচ্ছাসে বর্ষবিদায়
প্রকাশিত হয়েছে : ১৪ এপ্রিল ২০১৫ ইং, ১২:৫৮ পূর্বাহ্ণ | সংবাদটি ৯৪২ বার পঠিত
ডেস্ক রিপোর্ট :: সিলেটের সাংস্কৃতিক আন্দোলনের অন্যতম চালিকাশক্তি সম্মিলিত নাট্য পরিষদের আয়োজনে সুরমাপাড়ে হাজারো জনতার বাঁধভাঙ্গা উচ্ছাসে বিদায় জানানো হলো ১৪২১ বাংলাবর্ষকে। একই সাথে সূর্যাস্থের পর মঙ্গলপ্রদীপ প্রজ্জ্বলনের মাধ্যমে আহ্বান করা হয় নববর্ষ ১৪২২ বাংলাকে।
অনুষ্ঠানে নৃত্যগীতে উচ্চারিত হয় আগামীর শান্তি ও সমৃদ্ধির বাংলাদেশ। বিশ্বের দরবারে যে দেশ মাথা উঁচু করে দাঁড়াবে বীর বাঙ্গালীর চেতনা নিয়ে।
সোমবার বিকাল ৫টা থেকে নাট্য পরিষদের আয়োজনে সুরমা পারে শুরু হয় এক ব্যতিক্রমী লোকজ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। চাঁদনী ঘাটের সিঁড়ির নীচে নদীরপাড় ঘেষে সাজানো হয় এক ব্যতিক্রমী মঞ্চ। একে একে অনুষ্ঠান পরিবেশন করে দৃষ্টি প্রতিবন্ধী সংগঠন গ্রীন ডিজেবল ফাউন্ডেশন, নগরনাট সিলেট, ছন্দে নৃত্যালয়, শিল্পাঙ্গন সিলেট, নৃত্যগীত, মৃত্তিকায় মহাকাল।
একক পরিবেশনায় অংশ নেন জনপ্রিয় বাউল শিল্পী আব্দুর রহমান, বিশিষ্ট সঙ্গীত শিল্পী হিমাংশু বিশ্বাস, লাভলী দেব, শামীম আহমেদ ও গণসঙ্গীত শিল্পী শান্তনু সেন তাপ্পু।
সম্মিলিত নাট্য পরিষদ সিলেটের সাধারণ সম্পাদক রজত কান্তি গুপ্তের পরিচালনায় অনুষ্ঠানে সূর্যাস্তের পরপর মঙ্গল প্রদীপ প্রজ্জলনের মাধ্যমে আহ্বান জানানো হয় বাংলা নতুন বছর ১৪২২কে।
এসময় উপস্থিত ছিলেন নাট্য পরিষদের প্রাক্তণ প্রধান পরিচালক ব্যারিষ্টার মোঃ আরশ আলী, প্রাক্তণ পরিচালক বীর মুক্তিযোদ্ধা ভবতোষ রায় বর্মণ রানা, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব অনিল কৃষণ সিংহ, আল-আজাদ, মোকাদ্দেস বাবুল, বাউল শিল্পী আব্দুর রহমান, পরিষদের অন্যতম পরিচালক নিরঞ্জণ দে যাদু, রওশন আরা মনির রুনা, প্রাক্তণ সাধারণ সম্পাদক শামসুল বাসিত শেরো, সংগঠনের সভাপতি অনুপ কুমার দেব, কোষাধক্ষ কামরুল হক জুয়েল, প্রচার ও দপ্তর সম্পাদক সাইফুর রহমান চৌধুরী, নির্বাহী সদস্য ইন্দ্রানী সেন, ইসমাইল হোসেন তাপাদার, রকিবুল হাসান রুমন।