‘ভূমিকম্পে’ সোজা হলো শিশুর বাঁকা পা
প্রকাশিত হয়েছে : ২৭ এপ্রিল ২০১৫ ইং, ৪:০৮ অপরাহ্ণ | সংবাদটি ১২০৭ বার পঠিত
ডেইলি বিশ্বনাথ ডেক্স:: দিনাজপুরের বীরগঞ্জে ‘ভূমিকম্পে’ অলৌকিকভাবে সাদিয়া (৯) নামে এক প্রতিবন্ধী শিশুর বাঁকা পা সোজা হয়ে গেছে। জন্ম থেকেই শিশুটি প্রতিবন্ধী ছিল। এখন সে স্বাভাবিকভাবে পায়ের পাতা দিয়ে হাঁটতে পারছে।
সাদিয়া বীরগঞ্জ পৌরশহরের থানা পাড়ার মো. আলমের কন্যা এবং ইব্রাহিম মেমোরিয়াল শিক্ষা নিকেতনের তৃতীয় শ্রেণীর ছাত্রী।
শিশুটির পিতা জানান, জন্ম থেকেই সাদিয়া ডান পা এবং হাত ছিল বাঁকা। তাই সে পুরো পা পেতে হাঁটতে পারতো না। খুড়িয়ে খুড়িয়ে হাঁটা চলা করতো। চিকিৎসার জন্য পরিবারের লোকজন বিভিন্ন ডাক্তার, কবিরাজ ও হেকিমের শরণাপন্ন হলেও ফল পায়নি।
সাদিয়া বীরগঞ্জ পৌরশহরের থানা পাড়ার মো. আলমের কন্যা এবং ইব্রাহিম মেমোরিয়াল শিক্ষা নিকেতনের তৃতীয় শ্রেণীর ছাত্রী।
শিশুটির পিতা জানান, জন্ম থেকেই সাদিয়া ডান পা এবং হাত ছিল বাঁকা। তাই সে পুরো পা পেতে হাঁটতে পারতো না। খুড়িয়ে খুড়িয়ে হাঁটা চলা করতো। চিকিৎসার জন্য পরিবারের লোকজন বিভিন্ন ডাক্তার, কবিরাজ ও হেকিমের শরণাপন্ন হলেও ফল পায়নি।
রোববার দুপরে ভূমিকম্প শুরু হলে তার মা-বাবা বাঁকা পা মাটিতে চেপে ধরে থাকেন। এতে অলৌকিকভাবে তার পা ভালো হয়ে যায়। বর্তমানে শিশুটি মাটিতে পায়ের পাতা ফেলে হাঁটা চলা করতে পারছে।
এ ব্যাপারে রোকসানা জানান, একদিন নীলফামারী জেলার সৈয়দপুরে আত্মীয়ের বাসায় যাওয়ার সময় তার এই অবস্থা দেখে বাসে পাশের সীটে বসা এক বৃদ্ধা ভূমিকম্পের সময় মাটিতে পা চেপে রাখার পরামর্শ দেয়। বৃদ্ধার পরমর্শে রোববার তিনি শিশুটির পা মাটিতে চেপে ধরেন এবং ভূমিকম্প শেষে অলৌকিকভাবে তার পা ভালো হয়ে যায়।
প্রতিবেশী দিনাজপুর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির বীরগঞ্জ এরিয়া পরিচালক মো. আইয়ুবুল ইসলাম মিন্টু জানান, আমি জন্ম থেকেই মেয়েটির একটি হাত এবং একটি পা বাঁকা দেখে আসছি। কিন্তু আজ মেয়েটি বেশ স্বাভাবিকভাবে হাঁটতে দেখে আমি অবাক। এ বিষয়ে বিস্তারিত সাদিয়ার পরিবারের কাছে জানতে পেরে বিষয়টি আমার কাছে বিস্ময়কর মনে হয়েছে।
ইব্রাহিম মেমোরিয়াল শিক্ষা নিকেতনের সহকারী প্রধান শিক্ষক মো. আসাদুল ইসলাম দুলাল জানান, মেয়েটি আজ সকালেও (ভূমিকম্পের দিন) খুড়িয়ে খুড়িয়ে বিদ্যালয়ে এসেছিল। তার স্বাভাবিক হাঁটা চলা করার বিষয়টি জানতে পেরে আমি স্বচক্ষে দেখতে গিয়েছিলাম। বিষয়টি আমার কাছে মিরাক্কেল মনে হয়েছে।
প্রতিবেশী দিনাজপুর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির বীরগঞ্জ এরিয়া পরিচালক মো. আইয়ুবুল ইসলাম মিন্টু জানান, আমি জন্ম থেকেই মেয়েটির একটি হাত এবং একটি পা বাঁকা দেখে আসছি। কিন্তু আজ মেয়েটি বেশ স্বাভাবিকভাবে হাঁটতে দেখে আমি অবাক। এ বিষয়ে বিস্তারিত সাদিয়ার পরিবারের কাছে জানতে পেরে বিষয়টি আমার কাছে বিস্ময়কর মনে হয়েছে।
ইব্রাহিম মেমোরিয়াল শিক্ষা নিকেতনের সহকারী প্রধান শিক্ষক মো. আসাদুল ইসলাম দুলাল জানান, মেয়েটি আজ সকালেও (ভূমিকম্পের দিন) খুড়িয়ে খুড়িয়ে বিদ্যালয়ে এসেছিল। তার স্বাভাবিক হাঁটা চলা করার বিষয়টি জানতে পেরে আমি স্বচক্ষে দেখতে গিয়েছিলাম। বিষয়টি আমার কাছে মিরাক্কেল মনে হয়েছে।
বীরগঞ্জ সাংবাদিক কল্যাণ সংস্থার সভাপতি মীর কাশেম লালু ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, আমি বিষয়টি বিশ্বাস করতে না পেরে নিজেই সাদিয়াকে দেখতে তাদের বাড়িতে যাই। তবে বিষয়টি অবিশ্বাস্য হলেও সত্য। আমার কাছে মনে হয়েছে ভূমিকম্পন মেয়েটির জন্য আশীর্বাদ হয়ে এসেছিল। সূত্র মানবকণ্ঠ