বিশ্বনাথ জাতীয় পার্টির অঙ্গসংগঠনের বিবৃতি
প্রকাশিত হয়েছে : ০৬ মে ২০১৫ ইং, ৪:২১ অপরাহ্ণ | সংবাদটি ৭০৮ বার পঠিত
বিশ্বনাথ উপজেলা জাতীয় পার্টি ও সেচ্ছাসেবক পার্টি এবং ছাত্রসমাজ নেতৃবৃন্দ যৌথ বিবৃতি দিয়েছেন। বিবৃতিকারীরা হলেন-বিশ্বনাথ উপজেলা জাপার সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির দায়িত্বপ্রাপ্ত সমন্নয়ক এস এম আরশ আলী বাবলু, শাহ আরমান আলী, হাজী নোয়াব আলী, আবদুল হান্নান, জাতীয় সেচ্ছাসেবক পার্টির আহবায়ক এস এম শামিম, যুগ্ম-আহবায়ক ছাদিক মিয়া, রিপন আহমদ, আয়ুব আলী, সুহেল আহমদ, আনু মিয়া, জাতীয় ছাত্র সমাজের সভাপতি মঞ্জুর আহমদ আরিফ, সাধারণ সম্পাদক আবদুল্লাহ, জয়নাল আবেদিন, সুহেব আহমদ খান।
বিবৃতিত্বে নেতৃবৃন্দ বলেন, জাপার চেয়ারম্যান হোসাইন মোহাম্মদ এরশাদ পার্টির চেয়ারম্যান দলের সর্বাঙ্গীন ক্ষমতার মালিক তিনি। যে কোন মুহুর্তে তৃণমূল হইতে প্রত্যেক কমিটি ভাঙ্গা গড়া করতে পারেন, দলের গঠনতন্ত্র এর ৩৯ নং ধারার ক্ষমতা বলে। সিলেট জেলা জাপা কমিটির মেয়াদ উর্ত্তীণ হওয়ায় কমিটি বিলুপ্ত করে নতুন আহবায়ক কমিটি গঠন করেছেন। সেই কমিটির আহবায়ক আবদুল্লাহ সিদ্দিকী ও সদস্য সচিব উছমান আলী চেয়ারম্যান তার ধারাবাহিকতায় বিশ্বনাথ উপজেলা জাপার কমিটির মেয়াদ উর্ত্তীণ হওয়ায় জেলার নেতৃবৃন্দ বিশ্বনাথ উপজেলা জাপার কমিটি বিলুপ্ত করে একটি সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটি গঠন করেছেন। ওই কমিটির দায়িত্বে রয়েছেন জাপা নেতা এস.এম আরশ আলী বাবলু, শাহ আরমান আলী, নোয়াব আলী ও আবদুল হান্নান।
২০০৯ সালে উপজেলা জাপার সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সম্মেলনে আলা মিয়াকে সভাপতি ও রফিকুল আলম লালু কে সাধারণ সম্পাদক এবং মনোহর আলীকে সাংগঠনিক সম্পাদক করা হয়। ওই কমিটির মেয়াদ দুই বছর থাকলে প্রায় ৭ বছর অতিবাহিত হয়েছে। কিন্তু জেলার দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতৃবৃন্দের গাফলাতির কারণে উপজেলা জাপার আর কোনো সম্মেরন হয়নি।
বিবৃতিত্বে আরোও বলা হয়, বর্তমানে উপজেলা জাপার সম্মেলন করার জন্য দায়িত্ব দেয়া হয়েছে জাপা নামধারী কিছু লোক হিমশিম খাচ্ছে, তাদের উদ্দেশ্য কি জানিনা, তারা এরশাদ মানেনা, গঠনতন্ত্র মানেনা, নেতা মানেনা, জেলা উপজেলা কি চেননা, উনারা পত্র পত্রিকায় একেক সময় একেক ডিজিগ্লেশস লেখেন।
যেখানে ২০০৯ সালের পরে কোন কমিটি হয়নি, সেখানে তারা কি স্বপ্নের কমিটি ব্যবহার করেন। আশা করি এরশাদের জাতীয় পার্টি যারা করেন তারা দলের গঠন তন্ত্রের প্রতি লক্ষ্য রেখে জাপার মান সম্মান বজায় রেখে বিভ্রান্তি থেকে বিরত হয়ে সু-শৃংখল সুন্দর ও শান্তিপূর্ণ গঠনতন্ত্রমূলক রাজনীতি করা উচিত। যারা বিভ্রান্তি সৃষ্টি করে তারা পার্টি ও এরশাদের মঙ্গল চায়না। তারা দলকে ধ্বংশের পথে টেলে দিতে চায়। যারা প্রকৃত জাতীয় পার্টি করেন দয়া করে দায়িত্বপ্রাপ্ত কমিটির নেতৃবৃন্দের সাথে যোগাযোগ করে সম্মেলনের মাধ্যমে উপজেলা জাতীয় পার্টির একটি সুন্দর কমিটি উপহার দিবেন।বিজ্ঞপ্তি