স্কুলের ক্লাসে বসতে ভয় লাগে
প্রকাশিত হয়েছে : ০৩ মে ২০১৫ ইং, ৭:২১ অপরাহ্ণ | সংবাদটি ৬৫৩ বার পঠিত
তজম্মুল আলী রাজু :: বিশ্বনাথ উপজেলার গোয়াহরি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ঝুঁকিপূর্ণ একাডেমিক ভবনে চলছে পাঠদান কার্যক্রম। ভবনের ছাদে ও দেয়ালে দেখা দিয়েছে ফাঁটল। দিন দিন ধসে পড়ছে ছাদের বিভিন্ন অংশ। সম্প্রতি সময়ের ভুমিকম্প অভিভাবকদের মনে হঠাৎ করে ভবন ধ্বসে পড়ার আংশঙ্কা আরোও বাড়িয়ে দিয়েছে।
১৯৫৪ সালে প্রতিষ্ঠিত ওই বিদ্যালয়ে বর্তমান শিক্ষার্থী সংখ্যা ১২৬ জন। ১৯৯৬ সালে ইসলামী উন্নয়ন ব্যাংকের আর্থিক সহায়তায় বিদ্যালয়ের ভবনটির পুনঃনির্মান করা হয়। ভবন নির্মানের কয়েক বছর পর থেকেই ছাদে ও দেয়ালে ফাঁটল দেখা দেয়। বার বার বিষয়টি কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হলেও এব্যাপারে কেউ কোন প্রদক্ষেপ গ্রহন করা হয়নি বলে অভিযোগ বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির।
বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ সূত্রে জান গেছে, ৬২ ফুট দৈর্ঘ্যরে ও ৩০ ফুট প্রস্থের ঝুঁকিপূর্ণ ভবনটি পরিত্যক্ত ঘোষণা করে নতুন ভবন নির্মান করার দাবিতে ২০১৩ সালের ১৮ মার্চ এবং ২০১৪ সালের ২ এপ্রিল ‘উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, শিক্ষা কর্মকর্তা, প্রকৌশলী’ বরাবরে পৃথক পৃথক ভাবে লিখিত আবেদন করা হয়েছে।
বিদ্যালয়ের ৪র্থ শ্রেণীর ছাত্রী আলিমা বেগম বলে, স্কুলের ক্লাসের বসতে ভয় লাগে। কোনো সময় ভবনের ছাদ ভেঙে পড়ে। ঝুঁিক নিয়ে অনেক সময় আমাদের ক্লাস করতে হয়।
বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক সিরাজউদ্দিন বলেন, বিকল্প ব্যবস্থা না থাকার কারণে ঝুঁকির মধ্যেই আমাদেরকে চালিয়ে যেতে হচ্ছে পাঠদান কার্যক্রম। দিন দিন যেভাবে ছাদের বিভিন্ন অংশ ধসে পড়ছে তাতে বড় ধরণের দুর্ঘটনার আশংঙ্কাই বাড়ছে।
বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সহ-সভাপতি ও স্থানীয় ইউপি সদস্য গোলাম হোসেন বলেন, লিখিত আবেদনের পাশাপাশি কর্তৃপক্ষের অনেক শীর্ষ কর্মকর্তাই বিদ্যালয় পরিদর্শন করে করুণ পরিস্থিতি দেখে গেছেন। তারপরও কেউ কার্যকরি কোন পদক্ষেপ গ্রহণ করছেন না।