হার্ডলাইনে বিশ্বনাথ আওয়ামী লীগের তিন প্যানেল
প্রকাশিত হয়েছে : ০৭ মে ২০১৫ ইং, ২:৫০ অপরাহ্ণ | সংবাদটি ১২৯৭ বার পঠিত
মোহাম্মদ আলী শিপন:: সিলেটের বিশ্বনাথে ৮টি ইউনিয়ন নিয়ে গঠিত বিশ্বনাথ উপজেলা। উপজেলা আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলন আগামী ৮ জুন অনুষ্ঠিত হবে। সম্মেলনকে সামনে রেখে তিনটি প্যানেলে বিভক্ত হয়ে প্রার্থীরা ভোটার ও কাউন্সিলারদের কাছে ধরনা দিয়ে ব্যাপক প্রচার-প্রচারণা চালিয়ে নিজেদের অবস্থান জানান দিচ্ছেন। এক পক্ষ অপর পক্ষের বিরুদ্ধে কঠোর সমালোচনাও করছেন। নতুন প্যানেলের নেতারা পুরনোদের সাংগঠনিক ব্যর্থতার দিক তুলে ধরছেন।
অন্যদিকে বর্তমান দায়িত্বপ্রাপ্তরাও তাদের অতীতের সফলতা তুলে ধরে নতুনদের চ্যালেঞ্জ করছেন। কাউন্সিলরদের মন জয় করতে নেতৃস্থানীয়দের প্রচারণায় মুখর হয়ে উঠেছে উপজেলা আওয়ামী রাজনীতির মাঠ।
দলীয় সূত্রে জানাযায়, ২০০৪ সালে সাবেক পররাষ্ট্র মন্ত্রী মরহুম আবদুস সামাদ আজাদ উপস্থিততে উপজেলা পরিষদ মাঠে উপজেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলনের প্রথম অধিবেশন এবং একটি কমিউনিটি সেন্টারে কাউন্সিল অধিবেশের মাধ্যমে সম্মেলন সম্পন্ন হয়। ২০০৪ সালে সেপ্টেবর মাসে মজম্মিল আলীকে সভাপতি ও বাবুল আখতারকে সাধারণ সম্পাদক করে উপজেলা আওয়ামী লীগের ৬৭ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি গঠন করা হয়। ইতি মধ্যে উপজেলার আটটি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সম্মেলন শেষ হয়েছে।
ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনকে ঘিরে ইতোমধ্যে তিনভাগে বিভক্ত হয়ে পড়েছেন আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা। কাউন্সিলরা আগামি ৮জুন নির্বাচিত করবেন তাদের পছন্দের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদককে। আর নেতৃত্বের এই লড়াইয়ে প্রতিদ্বন্ধিতা করবেন তিন প্যানেলের ছয় নেতা। একটি প্যানেলের হয়ে প্রতিদ্বন্ধিতা করবেন বর্তমান কমিটির দায়িত্বপ্রাপ্ত সভাপতি মজম্মিল আলী-সাধারণ সম্পাদক পদে উপজেলার দৌলতপুর ইউপি আওয়ামীলীগ নেতা অ্যাডভোকেট সিরাজুল ইসলাম সিরাজ। অপর প্যানেলে সভাপতি পদে উপজেলা আওয়ামীলীগ নেতা পংকি খান ও সাধারণ সম্পাদক পদে বর্তমান উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বাবুল আখতার, অন্য প্যানেলে সভাপতি পদে আওয়ামীলীগ নেতা ফখরুল ইসলাম ও সাধারণ সম্পাদক পদে বর্তমান কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক ফারুক আহমদ প্রতিদ্বন্ধিতা করবেন। কাউন্সিলরদেরকে নিজেদের দিকে টানতে প্রতিনিয়ত তাদের সাথে যোগাযোগ রক্ষা করে চলছেন পদ প্রাপ্তরা। তাদের অনুসারীরাও গ্রুপ-উপ গ্রুপে বিভক্ত হয়ে কাউন্সিলরদের কাছে ধরনা দিচ্ছেন নিজেদের প্যানেলকে জয়ী করতে।
তৃণমূলের মতামতকে গুরুত্ব দিতে ভিন্ন পদ্ধতিতে এবার আওয়ামী লীগের কাউন্সিল অনুষ্ঠিত হচ্ছে। এতে ১৮৩ জন কাউন্সিলর তাদের পছন্দের প্রার্থীকে গোপন ভোটের মাধ্যমে নির্বাচিত করবেন বলে দলীয় সূত্রে জানা গেছে।
তৃণমূল নেতাকর্মীদের মতে, রাজনৈতিক ক্লিন ইমেজ ধারীদের নির্বাচিত হওয়ার সম্ভাবনা বেশি। তারা বলছেন, এবার আ’লীগের সৎ-যোগ্য, দক্ষ-সাহসী এবং ত্যাগী ব্যক্তিদের নেতৃত্বে দেখতে চান তারা। যারা দল এবং নেতাকর্মীদের সুখে-দুঃখে এগিয়ে এসেছেন তাদের প্রতি তৃণমূলের সমর্থন থাকবে।
এ ব্যাপারে উপজেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলনে সভাপতি প্রার্থী ফখরুল ইসলাম মতছিন বলেন, দলকে সংগঠিত এবং দলের কার্যক্রমকে গতিশীল করতে কাউন্সিলরদের কাছে যাচ্ছি। এই এলাকার আওয়ামী রাজনীতির সুনাম ফিরিয়ে আনাই আমার মূল লক্ষ।
সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী বাবুল আখতার বলেন, দীর্ঘদিন দল এবং নেতাকর্মীদের পাশে ছিলাম, আগামীতেও থাকতে চাই। দলকে সংগঠিত রাখতে যোগ্যদের মনোনীত করতে কাউন্সিলরা ভুল করবেন না।