নিখোঁজ ইলিয়াস আলী ও হারিছ চৌধুরীকে নিয়ে সিলেটে গুঞ্জন
প্রকাশিত হয়েছে : ২৪ মে ২০১৫ ইং, ৬:১২ অপরাহ্ণ | সংবাদটি ১০১৫ বার পঠিত
নিউজ ডেস্ক :: এনপি নেতা সালাউদ্দিন আহমদ নিখোঁজের দু’মাস পর ভারতের মেঘালয়ের রাজধানী শিলং-এ পাওয়ার পর থেকেই সিলেটের নিখোঁজ আরো ৫ জনের খোঁজ পাওয়া যাবে কিনা এই নিয়ে নানা প্রশ্ন ও গুঞ্জন চলছে সিলেটে। নিখোঁজদের মধ্যে বিএনপি নেতা হারিছ চৌধুরী, সাবেক এমপি এম.ইলিয়াস আলী, ছাত্রদলের নেতা ইফতেখার আহমদ দিনার, জুনেদ আহমদ রয়েছেন।
এমনকি এই তালিকায় ইলিয়াসের ড্রাইভার আনসার আলীও রয়েছেন। হারিছ চৌধুরী নিখোঁজ রয়েছেন প্রায় ৮ বছর থেকে। আর বাকীরা নিখোঁজ রয়েছেন ৩ বছর থেকে। শুরুতেই বলা হয় হারিছ চৌধুরী আত্মগোপনে চলে গেছেন। আর এম.ইলিয়াস আলী, ইফতেখার আহমদ দিনার, জুনেদ আহমদ ও আনসার আলী ‘নিখোঁজ’ না ‘গুম’ তা নিয়েও ধূম্র জাল রয়েছে।
এদিকে সালাউদ্দিন আহমদকে পাওয়ার পর নিখোঁজ ঐসব ব্যক্তিদের স্বজন ও অনুসারীদের অপেক্ষা আরো অধির হয়েছে। একই সাথে পরিবারে আহাজারিও বেড়েছে। তাদের বিশ্বাস এরা আবার ফিরে আসবেন স্বজনদের কাছে। ইলিয়াস আলী ছাড়া দিনার, জুনেদ ও আনসার আলীর বিষয়টি অনেকের নিকট অনেকটা চাপাই পড়ে যেতে বসেছে। শুধু তাদের পরিবারেই ছিল বিরামহীন অপেক্ষা।
সিলেটের লাগুয়া তামাবিল সীমান্ত থেকে সড়ক পথে ৮০ কিলোমিটার দূরে সালাউদ্দিন আহমদের খোঁজ পাওয়া গেলে আবারো সিলেটের নিখোঁজ এই ৫ জনের ব্যাপারে নানা প্রশ্ন ঘুরপাক খায়। সিলেট জুড়ে অনেকেই প্রশ্ন করেন সালাউদ্দিনের মত কি তাদের আশেপাশে কোথাও পাওয়া যাবে। আবার কেউ কেউ এও প্রশ্ন করেছেন ইলিয়াস, দিনার, জুনেদ, আনসার আলী জীবিত না মৃত।
অনেকেই বলেন যে কোন স্থানে এদের পাওয়া গেলে মা ফিরে পাবে তার বুকের ধন, স্ত্রী ফিরে পাবে স্বামী, সন্তান ফিরে পাবে বাবা আর রাষ্ট্র পাবে দায় মুক্তি। অবশ্য হারিছ চৌধুরীর ব্যাপরে মানুষের প্রশ্ন ঠিক এ রকম নয়। তাদের ধারণা তিনি হয়তো বেঁচে আছেন। তবে কোথায় আছেন এটাই বড় প্রশ্ন। তিনি ভারতে না লন্ডনে। না অন্য কোন দেশে?
যদিও বিএনপি শুরু থেকেই দাবি করে আসছে ইলিয়াস আলী ‘গুম’ এর সাথে সরকারের লোকজন জড়িত। তবে সরকারের একাধিক মন্ত্রীসহ বিভিন্ন পর্যায়ের নেতারা পাল্টা বলেছেন ইলিয়াস আলীর অবস্থান সম্পর্কে বিএনপি নেত্রী বেগম খালেদা জিয়াই জানেন। হারিছ চৌধুরী ছাড়া অপর চার জনের সন্ধান চেয়ে সিলেটে প্রায়ই আন্দোলন জমে। বিশেষ করে ‘ইলিয়াস মুক্তি আন্দোলন’ বেশ সক্রিয়।
এলাকাবাসী জানান, জরুরি অবস্থা ঘোষণার সপ্তাহখানেক পর হারিছ চৌধুরীকে সর্বশেষ জকিগঞ্জের একটি ওয়াজ মাহফিলে দেখা যায়। জকিগঞ্জ ইছামতি টাইটেল মাদ্রাসার ওয়াজ মাহফিলে রাতে হঠাত্ করে হারিছ চৌধুরী উপস্থিত হন এবং মাইকে তিনি এলাকাবাসীর কাছে শুধু তার জন্য দোয়া চান এবং তার সকল দোষ-ত্রুটির জন্য ক্ষমা চেয়ে নেন। এরপর দ্রুত মঞ্চ থেকে নেমে একটি মাইক্রোবাসে উঠে কানাইঘাটস্থ তার নিজ বাড়ি দর্পনগর যান। পরে ঐ রাতে বিশ্ব ইজতেমা থেকে ফেরত আসা মুসল্লিদের সাথে মিশে যান। সেই থেকে আর খোঁজ নেই বিএনপির এই নেতার। সূত্র : ইত্তেফাক