নিউজ ডেক্স:: ‘প্রেমের টানে আমি পালাইনি। আমাকে নেশাজাতীয় দ্রব্য খাইয়ে অপহরন করা হয়েছে। আমার স্বামী ও দুটি সন্তান আছে।’এভাবে কান্না জড়িত কন্ঠে সিলেটের মূখ্য মহানগর হাকিম ১মআদালতের বিচারক সাহেদুল করিম’র কাছে ২২ ধারার জবানবন্দি
প্রদান করেন অপহরণ ঘটনায় উদ্ধার প্রবাসি স্ত্রী ফারজানা আক্তার সিপা । সিপা অপহরণের পর তার পিতা বাদী হয়ে এসএমপি’র মোগলাবাজার থানায় মামলা দাখিল করেন । যাহার নং ০৭(০৬)১৫ ইং । এরপ্রেক্ষিতে গত ১৭ জুন এসএমপি’র মোগলাবাজার থানার পুলিশ অপহিৃতাকে উদ্ধার করে গাজীপুর থেকে ।উদ্ধারের পর আদালতে সিপাকে হাজির করলে সে ভিকটিম হিসেবে আদালতে জবানবন্দি প্রদান করে ।
তার জবানবন্দিটি হুবহু পাঠকদের জন্য তুলে ধরা হলো :
আমার স্বামী প্রবাসি । খালেদ একজন সিএনজি চালক ।স্বামী দেশে আসলে সবসময় খালেদের সিএনজি ব্যাবহার করতেন ।খালেদকে ভাই ডাকতেন । সে সুবাদে খালেদ আমাকে ভাবি ডাকত,পারিবারিকভাবে তাদের সাথে আমাদের সুসম্পর্ক ছিল । সে সুবাদে আমিও যাতায়াতের ক্ষেত্রে তার সিএনজি ব্যাবহার করতাম । স্বামী বিদেশে থেকে ফোন করে বলেন গ্যারেজের আনোয়ার চাচাকে ১,০০,০০০/= টাকা দিতে হবে । আমি বাবার বাড়ি থেকে আসার সময় ০৮/০৬/১৫ ইং তারিখ প্রবাসি ব্যাংক থেকে রমজানের খরচাসহ হিসেব করে মোট ১,৪০,০০০/= টাকা উত্তোলন করি । পরেরদিন শাহি সাবাবরকে স্কুল থেকে নিয়ে ১২:১৫ টায় দিকে আনোয়ার চাচার গ্যারাজে গিয়ে তাকে না পেয়ে ফোন করি । ফোনেও পাইনি । স্বামি ৮ তারিখ রাতেই অতিরিক্ত উত্তোলিত টাকা ব্যাংকে জমা দিতে বলায় গ্যারেজ থেকে ব্যাংকে চলে যাই । বিদ্যুৎ না থাকায় টাকা জমা দেয়ার জন্য অপেক্ষা করছিলাম । তখন আনোয়ার চাচা ফোন করে গ্যারেজে যেতে বললে আমি খালেদকে গাড়ি নিয়ে আসতে বলি । খালেদে ও গাড়িতে সামনে কয়েকজন বসা চিল,চিনি না ।আমি পানি খেতে চাইলে পানির বোতল এগিয়ে দেয় । পানি খাওয়ার পর আমি জ্ঞান হারিয়ে ফেলি । জ্ঞান ফিরে
দেখি আমি এনা বাসে । বাস তখন ভৈরব ব্রীজ পার হচ্ছে । আমি এখানে কেন জিজ্ঞেস করাতে খালেদ জানায় তার সাথে আমার বিয়ে হয়েছে । আমি আমার পূর্বেও স্বামিকে তালাক দিয়েছে । আমি অস্বিকার করলে আমার ছবিযুক্ত কাগজ দেখায় । সাড়ে তিন মাস আগে সে লোন নেয়ার জন্য আমর ছবি ,আইডি কার্ডের ফটোকপি এবং সাদা কাগজে স্বাক্ষর নিয়েছিল ,গ্যারান্টার হিসেবে । জাল করে এগুলো দেখায় ।
বাসের লোকজনকে আমি তার স্ত্রী এবং শাহি তার মেয়ে পরিচয় দেয় । বাসস্ট্যান্ড থেকে রির্জাভ সিএনজিতে গাজীপুর তার বাসায় নিয়ে যায় । সেখানে এক সপ্তাহ ছিলাম । জোর পূর্বক সে আমার সাথে সহবাস করেছে । আমার মোবাইল পাসর্পোট নিয়ে ফেলেছিল । ফলে কারো সাথে যোগাযোগ করতে পারছিলাম না । সে তাবিজ দেয় । জ্ঞান ফিরে আসার পরই ঐ তাবিজ গলায় দেখি । তার পর থেকেই আমি তার প্রতি
দূর্বলতা অনুভব করতাম । গত ১৭ তারিখ পুলিশ গিয়ে আমাকে উদ্ধার করে । আমার বাবার বাড়ি চলে যেতে চাই । ফারজানা আক্তার সিপা । সূত্র নিউজমিরর