৭ম শ্রেণীর ছাত্রীকে ধর্ষণ করলো দুলা ভাই
প্রকাশিত হয়েছে : ২৪ জুলাই ২০১৫ ইং, ১০:০৯ অপরাহ্ণ | সংবাদটি ৩১৭৪ বার পঠিত

এর আগে বুধবার বিকেলে মেয়েটির বাবা মারুফকে একমাত্র আসামি করে সাটুরিয়া থানায় মামলা করেন। মারুফ জেলার দৌলতপুর উপজেলার কাবশাইল গ্রামের আবদুল হকের ছেলে। তিনি ঢাকায় একটি ওষুধ কোম্পানিতে চাকরি করেন।
মেয়েটির বাবা জানান, দুই মেয়ের মধ্যে বড় মেয়েকে পারিবারিকভাবে মারুফের সঙ্গে বিয়ে দিয়েছেন। আর ছোট মেয়ে গ্রামে ফয়জুন্নেসা উচ্চ বিদ্যালয়ে সপ্তম শ্রেণির শিক্ষার্থী। মারুফের কর্মস্থল ঢাকা হওয়ায় সেখানে স্ত্রীকে নিয়ে থাকেন। কয়েক মাস আগে শ্বশুর বাড়িতে এসে নিজ শ্যালিকাকে ফুসলিয়ে জোরপূর্বক ধর্ষণ করেন মারুফ। পরে মারুফ ভয়ভীতি দেখিয়ে বিভিন্ন সময়ে শ্যালিকাকে একাধিকবার ধর্ষণ করেন। এ বিষয়টি এতদিন চেপে থাকে মেয়েটি। এরপর ঢাকায় বোনের বাসায় বেড়াতে গেলে মেয়েটিকে গত মঙ্গলবার আবারো ধর্ষণ করেন মারুফ। পরদিন মেয়েটি বাড়ি চলে আসে। মেয়েটির কান্না-কাটি ও আচার-আচরণ সন্দেহ হলে স্বজনেরা কারণ জিজ্ঞাসা করেন।
বৃহস্পতিবার দুপুরে মেয়েটি দুলা ভাইয়ের কাছে একাধিকবার ধর্ষণের শিকার হওয়ার ঘটনা বর্ণনা করেন স্বজনদের কাছে। এ ঘটনা শুনেই তিনি সাটুরিয়া থানায় গিয়ে মারুফকে আসামি করে মামলা করেন।
সাটুরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হাবিবুল্লাহ সরকার জানান, মামলার পরপরই রাতে পুলিশ অভিযান চালিয়ে শ্বশুর বাড়ি থেকেই মারুফকে গ্রেফতার করেছে। আর মেয়েটিকে স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য মানিকগঞ্জ সদর হাসপাতালে পাঠানো হবে বলে জানান তিনি।