হিজড়াদের লিঙ্গ পরীক্ষা ‘অপমানজনক’
প্রকাশিত হয়েছে : ০৩ জুলাই ২০১৫ ইং, ৮:১১ অপরাহ্ণ | সংবাদটি ১৫৫৭ বার পঠিত
নিউজ ডেক্স:: সরকার আনুষ্ঠানিকভাবে হিজড়াদের ‘তৃতীয় লিঙ্গ’ হিসেবে অনুমোদন দিলেও সরকারি চাকরিতে নিয়োগের ক্ষেত্রে লিঙ্গ পরীক্ষায় তাদের হয়রানি হচ্ছে বলে অভিযোগ।
লিঙ্গ পরীক্ষা করে হিজড়া পরিচয় দেওয়ার নিয়মকে ‘অপমানজনক’ বলে অভিহিত করেছে এই জনগোষ্ঠী।
সম্প্রতি কয়েকজন হিজড়াকে ‘পুরুষ’ চিহ্নিত করার পর এমন ক্ষোভ জানায় তারা।
গত বৃহস্পতিবার সমাজ কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের পরিকল্পনা অনুযায়ী ১৪ হিজড়ার জন্য নির্ধারিত চাকরিতে আবেদনকারীরা নিয়োগ পদ্ধতি নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন। দেশে প্রথমবারের মতো হিজড়াদের কোটা পদ্ধতিতে সরকারি চাকরিতে নিয়োগের ঘোষণা দেওয়া হলেও মেডিক্যাল পরীক্ষায় আবেদনকারীদের ‘পুরুষ’ হিসেবে চিহ্নিত করে উক্ত চাকরির জন্য অযোগ্য বিবেচনা করা হয়।
সমাজকল্যাণ বিভাগের পরিচালক পারভিন মেহতাব বলেন, এসব চাকরি হিজড়াদের জন্য নির্ধারিত। তাই মেডিক্যাল পরীক্ষার ফলাফল দেখে ১২ জনের নিয়োগ স্থগিত রাখা হয়েছে।
এদিকে, মেডিক্যাল পরীক্ষার ফলাফলে ‘পুরুষ’ ঘোষিত হওয়ায় বাতিল বিবেচিত ১২ জনই নিজেদের হিজড়া বলে দাবি করেন ও কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ জানান। তারা আরও বলেন, এই মেডিক্যাল পরীক্ষা পুরো হিজড়া জনগোষ্ঠীর জনই ‘অপমানজনক’।
হিজড়া সমাজের নেতা জয় শিকদার বলেন, সরকার কাদের হিজড়া বলতে চায় সে বিষয়টি পরিষ্কার হওয়া দরকার। সরকার যাদের পুরুষ বলে জানিয়েছে তাদের পশ্চিমে ট্রান্সওম্যান বলা হয়। তাদের পুরুষ লিঙ্গ থাকলেও আচরণ নারীর মতো।
উল্লেখ্য, ২০১৩ সালের নভেম্বর মাসে বাংলাদেশ সরকার হিজড়াদের ‘তৃতীয় লিঙ্গ’ হিসেবে অনুমোদন দেয় ও যাবতীয় সরকারি ও প্রাতিষ্ঠানিক দলিলপত্রে লৈঙ্গিক পরিচয় হিসেবে হিজড়া লেখার অনুমতি দেওয়া হয়।