বালাগঞ্জে রিফাতপুর-গহরমলী সড়কে অচলাবস্থা জনদুর্ভোগ চরমে
প্রকাশিত হয়েছে : ২৮ আগস্ট ২০১৫ ইং, ৭:৩৪ অপরাহ্ণ | সংবাদটি ২১৪৯ বার পঠিত
শামীম আহমদ,বালাগঞ্জ:: সিলেটের বালাগঞ্জের রিফাতপুর-গহরমলী সড়কে বিশাল গর্ত ভাঙ্গন আর ফাটলে অচলাবস্থায় জনদুর্ভোগ দেখা দিয়েছে। ফলে যাত্রীবাহী ছোট-বড় যানবাহন গুলো প্রতিদিনই ঝুকি নিয়ে চলাচল করছে। র্দীঘ দিন যাবৎ রাস্তাটিতে ভাঙ্গন আর বড়-বড় গর্তের সৃষ্টি হওয়ায় চরম দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন এলাকাবাসী। চলতি বর্ষায় বৃষ্টিপাতের কারনে রাস্তাটি বেহাল রুপ ধারন করেছে। তাছাড়া বন্যা কবলিত ও হাওরাঞ্চল হওয়ায় প্রতিনিয়ত এ রাস্তাটি ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে। রাস্তাটি চলাচলের অনুপযোগী হওয়ায় বড় ধরনের দুর্ঘটনার আশংকায় রয়েছেন এলাকাবাসী।
সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়,বালাগঞ্জ-ওসমানীনগর সড়কের আদিত্যপুর মোড় থেকে শুরু হওয়া চার কিলোমিটার দৈর্ঘের কাচা-পাকা রাস্তাটি সিলেট-সুলতানপুর-বালাগঞ্জ সড়কের সাথে গিয়ে মিলিত হয়েছে। ২০০৪ সালের প্রথম দিকে বিএনপি সরকারের আমলে রাস্তার কিছু অংশে পাকা করন কাজ করা হয়। রাস্তাটি পাকাকরনের সাথে-সাথেই ঐ বছরের স্মরন কালের ভয়াবহ বন্যায় রাস্তাটি ভেঙ্গে যায়। এর পরে কয়েক দফা বন্যার স্বীকার হয় রাস্তাটি।
রিফাতপুর গ্রামের জুনাব আলীসহ রাস্তার পাকা অংশ দ্রুত সংস্কার করার দাবী জানিয়ে স্থানীয় লোকজন ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, চার কিলোমিটার দৈর্ঘের রাস্তায় দেড় কিলোমিটার পাকা না হওয়ায় বর্ষা কাল সহ সারা বছরই আমাদের চলাচলের খুবই সমস্যা হচ্ছে। রাস্তার পিচ করা অংশে যোগাযোগ ব্যবস্থা চালু রাখার জন্য গ্রাম বাসীর পক্ষ থেকে প্রায় দশ হাজার টাকা ব্যয়ে ইটের কংক্রিট বিছিয়ে দেয়া হয়েছে। অপর দিকে রিফাতপুর প্রাইমারী স্কুল থেকে দক্ষিন রিফাতপুর ভৈরব তলী পর্যন্ত অর্ধ কিলোমিটার এবং সিলেট-সুলতানপুর-বালাগঞ্জ সড়ক থেকে চর সুবিয়া গ্রাম পর্যন্ত এক কিলোমিটার রাস্তা বর্তমান সরকারের গত মেয়াদে পাকা করা হয়। তাছাড়া রাস্তার মধ্য অংশে চরসুবিয়া গ্রাম থেকে দক্ষিন রিফাতপুর ভৈরব তলী পিচের মুখ পর্যন্ত দেড় কিলোমিটার রাস্তা এখনও পাকা করন করা হয়নী। ফলে এই এলাকাবাসীর একমাত্র চলাচলের রাস্তাটি সম্পুর্ন রুপে পাকা করন না হওয়ায় দক্ষিন রিফাতপুর, চড় হাড়িয়া, চরসূবিয়া, মানন, গহরমলি গ্রামের কয়েক হাজার মানুষের জনদুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। এই দেড় কিলোমিটার রাস্তায় তিন-চার বছর পর পর সামান্য মাটি ভরাটের কাজ হলেও এই এলাকাটি নি¤œাঞ্চল হওয়ায় প্রতি বছর বর্ষা মৌসুমে বৃষ্টির পানি এবং বর্ষা মৌসুমে অধিকাংশ সময় রাস্তাটির উপর পানি উঠার কারনে একেবারেই ক্ষেতের জমিনের সমান হয়ে যায়। ফলে বর্ষা মৌসুমে স্কুলের শিক্ষার্থীদেরকে অনেক কষ্ট করে নৌকা যোগে স্কুল-কলেজ মাদ্রাসায় যেতে হয়। আবার অনেকের নৌকা না থাকার কারনে স্কুলে যেতে পারেন না। তাই বর্ষা মৌসুমে অনেক শিক্ষার্থীর স্কুলে গিয়ে ক্লাস করার সুযোগ হয়ে উঠেনা। এ ব্যাপাওে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সু-দৃষ্টি দেয়া জরুরী।