ভয়াবহ বন্যার কবলে ইংল্যান্ড
প্রকাশিত হয়েছে : ২৭ ডিসেম্বর ২০১৫ ইং, ৭:১৮ অপরাহ্ণ | সংবাদটি ১৮১৯ বার পঠিত
তজম্মুল আলী রাজু :: উত্তর ইংল্যান্ডের বন্যা কবলিত এলাকা থেকে প্রায় শতাধিক মানুষকে নিরাপদে সরিয়ে নেয়া হয়েছে। হাজার হাজার পরিবার রয়েছেন বিদ্যুৎহীন অবস্থায়। ইংল্যান্ড, স্কটল্যান্ড এবং ওয়েলসে প্রায় ৪শ আগাম বন্যার সতর্কবার্তা জারি করা হয়েছে। তবে এর মধ্যে ল্যাঙ্কাশায়ার, ইয়র্কশায়ার ও ম্যানচেস্টার এলাকায় ২২টি বিপজ্জনক সতর্ক সংকেত জারি করেছে মেট অফিস। লিডস ও ম্যানচেষ্টার সিটি সেন্টারেও বন্যা পানি উঠেছে। এসব এলাকার মানুষের জীবন ঝঁকিপুর্ন বলে সতর্ক করেছে মেট অফিস।
অব্যাহত ভারী বৃষ্টির কারণে সৃষ্ট বন্যার পানিতে তলিয়ে গেছে উত্তর ইংল্যান্ডের বিভিন্ন শহর, গ্রামের রাস্তা ঘাট, ঘরবাড়ি ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান। ল্যাঙ্কাশায়ার এলাকার রিবচেষ্টারের একটি হোটেলটি ক্রিসমাসডেতে ব্যবসা করতে পারলেও বক্সিংডেতে তলিয়ে যায় বন্যার পানিতে।
বন্যা কবলিত এলাকায় ক্রিসমাসডে থেকে অস্থায়ী বাধ নির্মাণ করে বন্যার পানি আটকানোর চেষ্টা করছেন সেনা সদস্যরা। কিন্তু অনবরত বৃষ্টির কারণে পানি বাড়তে থাকায় এসব চেষ্টা ব্যর্থ হচ্ছে ল্যাঙ্কাশায়ার ও ইয়র্কশায়ার এলাকায়। এসব এলাকায় বালির বস্তা দিয়ে ঘরে বন্যার পানি প্রবেশ টেকানোর প্রস্তুুতি নিয়ে রাখা হয়েছে। রিবচেষ্টারের পাশ্ববর্তী হোয়ালী এলাকায় বন্যা কবলিতদের নিরাপদ জায়গায় সরিয়ে নিতে ব্যস্ত রয়েছেন ফায়ার সার্বিসের সদস্যরা।
এদিকে গ্রেটার ম্যানচেস্টার এলাকায় ছিল ভারী বৃষ্টির সঙ্গে শক্তিশালি ঝড়ের তান্ডব। ঝড়ের কবলে পড়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে সামারসিট এলাকার ২শ বছরের পুরনো একটি বিল্ডিংটি। বিল্ডিংয়ের ভেতর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে বন্যার পানির স্রোত। এদিকে বন্যার পানিতে তলিয়ে গেছে রচডেলের প্রধান সড়ক ও বিপুল সংখ্যক ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও বাড়িঘর। পুরো এলাকা রয়েছে বিদ্যুৎহীন অবস্থায়। ওয়েস্ট ইয়র্কশায়ারের সৌরবি ব্রিজসহ বিভিন্ন এলাকা রয়েছে পানির নীচে।
এসব এলাকায় কারগুলো রাতে শুকনো কার পার্কে পার্কিং করা ছিল। সকালে উঠে দেখা যায় কারের ছাদের উপর দিয়ে বন্যার পানি গড়াচ্ছে। প্লাবিত হয়েছে ম্যানচেষ্টার সিটি সেন্টার এলাকাও। স্থানীয় নদীর তীর উপচে বন্যার পানি বাড়ি ঘরে গিয়ে প্রবেশ করছে। এসব এলাকায় ক্রিসমাস ডে থেকে অব্যাহত বৃষ্টির কারণে পানি বেড়েই চলছে। বন্যা পানি বাড়ার আগে অনবরত বৃষ্টি দেখেই ভেঙ্গে পড়ছেন এসব এলাকার সাধারণ মানুষ।