বিশ্বনাথে টানা বৃষ্টিতে ধান নিয়ে বিপাকে কৃষক
প্রকাশিত হয়েছে : ২১ মে ২০২২ ইং, ৭:৫৯ অপরাহ্ণ | সংবাদটি ১১৮ বার পঠিত
মোহাম্মদ আলী শিপন:: সিলেটের বিশ্বনাথে কয়েকদিনের টানা বৃষ্টিতে ঘরে তোলা ভেজা ধান নিয়ে বিপাকে পড়েছেন উপজেলার অধিকাংশ কৃষকরা। বোরো ধান মাড়াইয়ের এ ভরা মৌসুমে একদিকে বন্যার পানি, অন্যদিকে বাড়িতে ওঠানো ভেজা ধান নিয়ে উভয় সংকটে পড়েছেন কৃষকরা। ফলে ধান শুকাতে না পেরে উদ্বেগ আর উৎকণ্ঠা নিয়ে দিন পার করছেন চাষিরা। অনেকেই বাধ্য হয়ে ঘরের ভিতরে বেড রুমে ফ্যানের নিচে ধান শুকাতে দেখা যায়।
জানা গেছে, উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় বসতঘর বন্যার পানিতে নিমজ্জিত রয়েছে। ফলে পরিবার—পরিজনের পাশাপাশি, বোরো ধান নিয়েও বিপাকে রয়েছেন মানুষজন। টানা বর্ষণ ও সুরমা—কুশিয়ারা নদীর পাশাপাশি উপজেলার বিভিন্ন নদ—নদী, খাল—বিলের পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকার কারণে বিভিন্ন এলাকা প্লাবিত রয়েছে। এতে মানুষের ক্ষয়ক্ষতির পাশাপাশি দুর্ভোগ বৃদ্ধি পাচ্ছে। পানিতে তলিয়ে গেছে পাঁচ হেক্টর বোরো ফসল, ৩০ হেক্টর আউশ ধানের বীজতলা ও ১৫ হেক্টর সবজিক্ষেত। এমন পরিস্থিতে মানবেতর জীবন যাপন করছে এসব এলাকার মানুষ। অনেকেই ভেজা ধান শুকাতে পারছেনা। ফলে কৃষকদের পুহাতে হচ্ছে দুভোর্গ।
এব্যাপারে উপজেলার পূর্ব কারিকোনা গ্রামের কৃষক আবদুস শহিদ বলেন, ‘কিছুদিন আগে পানির নিচে তলিয়ে গেছে আমার ৩ কেয়ার জমির বোরো ফসল। তরিঘরি করে যে ধানগুলো কেটেছিলাম টানা বৃষ্টি পাতের কারণে সেগুলো মাড়াই দিয়ে শুকাতে পারছি না। এই অবস্থার কারণে ধানের আঁড়েই অঙ্কুর গজিয়েছে। এ কারণে আমরা চিন্তায় আছি।
একই গ্রামের কৃষক আল—আমিন বলেন, বৃষ্টির কারণে ধান শুকাতে পারছিনা। বাধ্য হয়ে ঘরের ভিতরে ফ্যান দিয়ে ধান শুকাতে হচ্ছে।
দন্ডপানিপুর গ্রামের কৃষক জব্বার আলী বলেন, জমিতে পানি ঢোকার সাথে সাথে ১০ কেয়ার জমির মধ্যে ৮ কেয়ার জমির ধান কেটেছিলাম। মাড়াই করে রোদ না থাকায় ধানগুলো শুকাতে পারছি না। যার ফলে আমাদের গ্রামের সকল কৃষক আর্থিকভাবে মারাত্মক ক্ষতির মুখে পড়েছি।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কনক চন্দ্র রায় বলেন, প্রতিনিয়তই আমরা কৃষকদের অবস্থা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানাচ্ছি। যেসব ধানের জমিগুলো ডোবে যাচ্ছে সেগুলো যাতে তাড়াতাড়ি কর্তন করা হয় সে ব্যাপারে পরামর্শ দিচ্ছি। ইতিমধ্যে পানিতে প্রায় পাঁচ হেক্টর বোরো ফসলি জমি, ৪০ হেক্টর আউশ ধানের বীজতলা ও ১৮ হেক্টর সবজিক্ষেত ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।