বিশ্বনাথে টানা বৃষ্টির পর সূর্যের দেখা, ব্যস্ত কৃষক-কৃষাণী
প্রকাশিত হয়েছে : ২২ মে ২০২২ ইং, ৯:১৯ অপরাহ্ণ | সংবাদটি ১১৮ বার পঠিত
মোহাম্মদ আলী শিপন:: সিলেটের বিশ্বনাথে টানা বৃষ্টির পর ঝলমলে সূর্যের দেখা পেল উপজেলাবাসী। গত কয়েকদিন ধরে টানা বৃষ্টির কারণে সকাল থেকেই আকাশ মেঘাচ্ছন্ন ছিল। কিন্তু আজ রবিবার সকালটা গত কয়েকদিনের থেকে একটু ভিন্ন ছিল। স্বাভাবিক সময়ের মতো আকাশে ঝলমলে সূর্যের দেখা মেলে। গত কয়েকদিন সকাল থেকেই কখনো ঝিরঝির, কখনো মুষলধারে বৃষ্টির কারণে স্বাভাবিক জীবনযাত্রা অনেকটাই ব্যাহত হয়। সকালে জীবিকার সন্ধানে সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা-কর্মচারী, ব্যবসায়ী ও নিম্ন আয়েরসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ গন্তব্যে যান। কিন্তু আজ রবিবার সকাল থেকে আকাশ মেঘাচ্ছন্ন না থাকায় দৃশ্যপট ছিল স্বাভাবিক।
সরেজমিন বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, অন্যান্য দিনের চেয়ে রাস্তাঘাট, হাট-বাজার ও যানবাহনে মানুষের সংখ্যা বেশি। বৃষ্টি যেকোনো সময় নামতে পারে এমন ভাবনা থেকে কেউ কেউ ছাতা সঙ্গে করে নিয়ে বের হন। ঘরে থাকা ভেজা বোরো ধান শুকাতে ও ধান থেকে চিটা বের করতে ব্যস্ত ছিলেন স্থানীয় কৃষক-কৃষাণী। কয়েকদিনের টানা বৃষ্টিতে ঘরে তোলা ভেজা ধান নিয়ে বিপাকে পড়েছিলেন উপজেলার অধিকাংশ কৃষক। কিন্তু রবিবার সূর্যের দেখা পেয়ে ধান শুকাতে কেউ রাস্তা, কেউ-বা বাড়ির উঠানে ব্যস্ত ছিলেন। দিনভর ছিল সূর্য। তাই অনেক কৃষক ধান শুকাতে পেরেছেন বলে জানান।
জানা গেছে, টানা বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলের কারণে উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় বসতঘর বন্যার পানিতে নিমজ্জিত রয়েছে। ফলে পরিবার-পরিজনের পাশাপাশি, বোরো ধান নিয়েও বিপাকে রয়েছেন মানুষজন। টানা বর্ষণ ও সুরমা-কুশিয়ারা নদীর পাশাপাশি উপজেলার বিভিন্ন নদ-নদী, খাল-বিলের পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকার কারণে বিভিন্ন এলাকা প্লাবিত রয়েছে। কিন্তু রবিবার থেকে পানি কিছুটা কমতে শুরু করেছে। পানিতে তলিয়ে গেছে ৭ হাজার হেক্টর বোরো ফসল, ৩০ হেক্টর আউশ ধানের বীজতলা ও ১৫ হেক্টর সবজি ক্ষেত। এমন পরিস্থিতে মানবেতর জীবন যাপন করছে এসব এলাকার মানুষ। অনেকেই ভেজা ধান শুকাতে পারছিলেন না। ফলে কৃষকদের পোহাতে হচ্ছিল দুর্ভোগ।