বিশ্বনাথে পানি এদিকে কমছে, অন্যদিকে বাড়ছে
প্রকাশিত হয়েছে : ২১ মে ২০২২ ইং, ৭:১৯ অপরাহ্ণ | সংবাদটি ১৪৭ বার পঠিত
নিজস্ব সংবাদদাতা:: টানা বর্ষণ ও পাহাড়ী ঢলের পানিতে বন্যায় কবলিত সিলেটের বিশ্বনাথ উপজেলার বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে। উপজেলার লামাকাজী, খাজাঞ্চী ও অলংকারী ইউনিয়নের পাশাপাশি নতুন করে বন্যায় প্লাবিত হয়েছে রামপাশা, দশঘর ও দৌলতপুর ইউনিয়ন। বন্যার কারণে গত কয়েকদিন ধরে পানিবন্দি হয়ে আছেন উপজেলার প্রায় ৩০ হাজার পরিবার। ধীরে ধীরে পানি বৃদ্ধির কারণে নতুন করে আরোও অনেক এলাকা বন্যায় প্লাবিত হওয়ার আশংঙ্কা রয়েছে। ফলে সময়ের সাথে সাথে উপজেলার ক্ষয়—ক্ষতির পরিমাণ বৃদ্ধি পাচ্ছে। বন্যা কবলিত এলাকার অনেকেই স্থান নিয়েছেন আশ্রয়কেন্দ্রে, আবার অনেকেই আশ্রয় নিয়েছেন নিজেদের আত্মীয়—স্বজনের বাড়িতে। তবে উপজেলার লামাকাজি, খাজাঞ্চী ইউনিয়নে পানি কিছুটা কমলেও অন্য এলাকায় পানি বৃদ্বি পাচ্ছে। উপজেলার রামপাশা, দশঘর, দৌলতপুর ও দেওকলস ইউনিয়নের নতুন করে বিভিন্ন গ্রামে বন্যার পানি হানা দিয়েছে। ফলে ওই এলাকা মানুষজনকে পুহাতে হচ্ছে চরম দুভোর্গ। বন্যার পানি এদিকে কমছে, অন্যদিকে বাড়ছে।
জানাগেছে, উপজেলায় প্রথম দিকে বন্যার পানিতে প্লাবিত হয়েছে উপজেলার লামাকাজী, খাজাঞ্চী ও অলংকারী ইউনিয়নে বেশিরভাগ এলাকা। বন্যার পানিতে এলাকার বসতঘর ক্ষতিগ্রস্থ হওয়ার পাশাপাশি প্লাবিত হয়েছে অনেক হাটবাজার, গুচ্ছগ্রাম, ধর্মীয় উপসনালয় ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। এমনকি পানিতে তলিয়ে গেছে বোরো ফসল, আউশ ধানের বীজতলা ও সবজি ক্ষেত। সুরমা ও কুশিয়ারা নদীর পানির সঙ্গে পাল্লা দিয়ে এসব এলাকায় পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। আকস্মিক এই বন্যায় উপজেলার মানুষ পানিবন্দী হয়ে পড়ায় চরম দুর্ভোগ—ভোগান্তিতে দিন কাটছে। মানবেতর জীবনযাপন করছেন ওইসব এলাকার পানিবন্দী মানুষ। বর্তমানে উপজেলার রামপাশা, দশঘর, দৌলতপুর ও দেওকলস ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। গবাদী পশু নিয়ে অনেকেই পড়েছেন চরম বিপাকে। গতকাল শনিবার বৃষ্টি কম হলেও নতুন নতুন এলাকায় পানি প্রবেশ অব্যাহত রয়েছে। ফলে নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হওয়ার আশংঙ্কা রয়েছে।
এব্যাপারে দৌলতপুর ইউপি সদস্য গোলাম হোসেন বলেন, ইউনিয়নের প্রতিটি গ্রামে পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে। ফলে দুভোর্গে রয়েছেন পানিবন্দি মানুষ।
রামপাশা ইউপি চেয়ারম্যান এডভোকেট মোহাম্মদ আলমগীর বলেন, বন্যার পানি ইউনিয়নে বিভিন্ন গ্রামে প্রবেশ করেছে। ফলে ওইসব গ্রামের মানুষ দুভোর্গে রয়েছেন।
দশঘর ইউপি চেয়ারম্যান এমাদ খান বলেন, ইউনিয়নে পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। গতকাল শনিবার আরও কয়েকটি গ্রামে বন্যার পানি প্রবেশ করছে। ফলে এলাকাবাসী রয়েছেন দুভোর্গে।