বিশ্বনাথে আমতৈল সরকারী বিদ্যালয়ের ভূমি দখল করে প্রভাবশালীর গৃহ নির্মাণ
প্রকাশিত হয়েছে : ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ইং, ৭:৪০ অপরাহ্ণ | সংবাদটি ৫২ বার পঠিত
নিজস্ব সংবাদদাতা বিশ্বনাথে এক প্রভাবশালী সরকারী বিদ্যালয়ের ভূমি দখল করে গৃহ নির্মাণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। মো. ফয়ছল আহমদ নামের ওই ব্যক্তি জোরপূর্বক আমতৈল সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভূমি দখল করে ঘর নির্মাণ করার অভিযোগ এনে গতকাল রবিবার বিশ্বনাথ উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবরে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন বৃহত্তর আমতৈল গ্রামবাসী।
লিখিত অভিযোগে প্রকাশ: আমতৈল গ্রামের ছগির উদ্দিনের ছেলে ফয়ছল আহমদ একজন ভূমি খেকো ক্ষমতার অপব্যবহারকারী আইন অমান্যকারী ব্যক্তি। জনশ্রতি রয়েছে অত্র বিদ্যালয়ের গভর্নি বডির সভাপতির যোগসাজসে উক্ত ভূমি দখল করে অবৈধভাবে ঘর নিমার্ণ করেছেন।
বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি নাছিমা বেগম ফয়ছল আহমদের আপন বোন ছিলেন। ফয়ছল বিগত স্বৈরাচার সরকারের আমল থেকে বলপূর্বকভাবে ঘর নির্মাণ করে আসছেন। গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার গণ অভ্যুথানের ফলে সরকারের পতন হলে মানুষ অন্যায়ের বিরুদ্ধে সোচ্চার হোন। তার ধারবাহিকতায় আমতৈল গ্রামবাসী শান্তিপূর্ণভাবে এই অবৈভাবে গৃহ নির্মাণেল প্রতিবাদ করেন। কিন্তু গ্রামবাসীর শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদকে অমান্য করে ফয়ছল আহমদ গৃহ নির্মাণ করেছেন। বিষয়টি তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করতে প্রশাসনের প্রতি জোরদাবী জানান এলাকাবাসী।
স্মারকলিপিতে স্মারক করেন বৃহত্তর আমতৈল গ্রামের বাবুল মিয়া, নেছার আলী, আইন উদ্দিন, এম এ ছাত্তার, মো. রেনু মিয়া, তোফায়েল আহমদ, মামুন, সিরাজুল ইসলাম, জিয়াউল হক, সালেহ আহমদ, নজরুল সাহেদ, আল-আমিন, সায়েস্থা মিয়া।
এ ব্যাপারে ফয়ছল আহমদ বলেন, বিদ্যালয়ের পাশেই আমার বসতঘর। আগে টিনসেটের ঘর ছিল। বতর্মানে আমি পাকা ঘর নির্মাণ করেছি। আমার জানামতে বিদ্যালয়ের কোন ভুমি বসতঘরে ঢুকে নাই। ভুলবসত ২০ পয়েন্ট ভুমি ঢুকতে পারে। যদি ঢুকে থাকে ইউএনও স্যার যে সিদ্ধান্ত দিবেন আমি সেই সিদ্ধান্ত মেনে নিব। তিনি বলেন, আমার উপর কিছু মানুষ অন্যায়ভাবে জুলুম করছেন। আমি প্রতিহিংসার শিকার।
ফয়ছল আহমদের ভগ্নিপতি কাহের মিয়া বলেন, বিদ্যালয়ে আমাদের ২শতক জায়গা আছে। ফয়ছল যে জায়গায় ঘর নির্মাণ করছে সেই জায়গা তার নিজের। নিজের জায়গায় ঘর নির্মাণ করছে। এখানে জোর করে কিংবা দখল করে ঘর নির্মাণ করার প্রশ্নই উঠেনা। তবে বিদ্যালয়ের ৩৫ পয়েন্ট জায়গা ঘরে ঢুকেছে তা সত্য। ইউএনও স্যার যে সিদ্ধান্ত দিবেন আমরা সেই সিন্ধান্ত মেনে নিব।
এিলাকাবাসীর লিখিত অভিযোগ পাওয়ার সত্যতা স্বীকার করে বিশ্বনাথ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বলেন, তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।