বিশ্বনাথে সেতুর গর্তে উড়ছে লাল পতাকা!
প্রকাশিত হয়েছে : ২৩ অক্টোবর ২০২৪ ইং, ৮:২৩ অপরাহ্ণ | সংবাদটি ৫১ বার পঠিত
শিপন আহমদ:: সিলেটের বিশ্বনাথে সড়কে সেতুর মুখে বড় গর্ত থাকায় জীবনের ঝুঁকি নিয়ে সড়কে চলছে যানবাহান। উপজেলার জনগুরুত্বপূর্ণ এ সড়ক দিয়ে বিভিন্ন এলাকার হাজার হাজার মানুষ প্রতিদিন চলাচল করে থাকেন। কিন্তু এই গর্তের মধ্যে যেকোন সময় ঘটতে পারে বড় ধরণের দুর্ঘটনা। বুধবার বিকেলে এমনই দৃশ্য দেখা যায় উপজেলার বিশ্বনাথ-লামাকাজী ব্যস্ততম সড়কে নকিখালী সেতুর মুখে। গর্তটি যেন মরণফাঁদে পরিণত হয়েছে। দুর্ঘটনা এড়াতে লাল পতাকা দেয়া হলেও নেই গতি রোধক। সেতুটি দ্রæত সংস্থার করতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন এলাকাবাসী। এসড়ক দিয়ে বিশ্বনাথ-রামপাশা-বৈরাগী বাজার, লামাটুকের বাজার, লামাকাজি সড়কের বিভিন্ন এলাকার মানুষ যাতায়াত করে থাকেন। এ সড়ক দিয়ে যেতে হয় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে। হাসপাতালে প্রতিদিনই বিভিন্ন মুমূর্ষ রোগী যাতায়াত করেন।
সরেজমিন দেখা যায়, সড়কের পার্শ্বে দুদিকে বড় বড় খাল রয়েছে। বন্যা ও বৃষ্টিজনিত কারণে সড়কের মাটি সরে গিয়ে সেতুর নিম্নাঞ্চলে ফাটল ধরায় সেতুর মুখে বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। যার কারণে যানচলাচলে বড় ধরণের দুর্ঘটনা হওয়ার সম্ভবনা বেশি রয়েছে। গত দুই সপ্তাহ ধরে অবহেলিত থাকা সেতুর মুখের গর্তে বাশের খুটি খাড়া করে লাল কাপড় বেঁধে এলাকাবাসীর পক্ষে সর্তকতা অবলম্বন করা হয়েছে।
এলাকাবাসীর দাবী, বিশ্বনাথে আমাদের কোন এমপি, উপজেলা চেয়ারম্যান, পৌরসভার মেয়র না থাকায় কারো কাছে বলার জায়গা পাচ্ছেন না। যেন দেখার কেউ নেই। বর্তমান অন্তবর্তী সরকারের মাধ্যমে যাতে এ সেতুর কাজ দ্রæততম সময়ের মধ্যে শেষ করা হয়। তাতে পথচারী এবং যানবাহনে যাত্রীসাধারণ দুর্ঘটনার কবল থেকে রক্ষা পাবেন।
সিএনজি চালক নূরুল ইসলাম বলেন, প্রতিদিন এ সেতুর ওপর দিয়ে ঝুঁকি নিয়ে গাড়ী চালাতে হয়। রাতের বেলা এ সেতু পারাপারে খুবই কষ্ট হয়।
নকিখালি বাজারের ব্যবসায়ী মোহাম্মদ কাওছার খান বলেন, জীবনের ঝুঁকি নিয়ে এ সেতুর ওপর দিয়ে যাতায়াত করতে হয়। সেতুটি দ্রæত সংস্কার করার জোর দাবি জানান তিনি।
এব্যাপারে উপজেলা প্রকৌশলী কর্মকর্তা আবু সাঈদ বলেন, আমি শুনেছি। গত বন্যায় এ সমস্যার সৃষ্টি হয়েছে। বিষয়টি উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের অবহিত করা হয়েছে। তবে খুব শিগগিরই সেতুটি সংস্কার করা হবে বলে তিনি জানান।