বিশ্বনাথ আলিয়া মাদ্রাসায় সংঘর্ষ আহত-২০

নিজস্ব সংবাদদাতা:: বিশ্বনাথ দারুল উলুম ইসলামীয়া কামিল মাদ্রাসার প্রিন্সিপাল মাওলানা নু’মান আহমদের অপসারণ নিয়ে দু’পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। সংঘর্ষের সময় উভয় পক্ষের মধ্যে ছাত্র অভিভাবকসহ অন্তত ২০ জন আহত হয়েছেন। বুহস্পতিবার (১৭ অক্টোবর) সকালে মাদ্রাসা প্রাঙ্গনে এই সংঘর্ষের ঘটনাটি ঘটে।
প্রিন্সিপাল নু’মান আহমদের পক্ষের মাদ্রাসার ফাজিল প্রথম বর্ষের ছাত্র ইসলামউদ্দিন জানান বহিরাগতদের হামলায় তাদের পক্ষে আহত হয়েছেন মাদ্রাসার প্রায় ১০/১৫ জন ছাত্র। আহতরা হলেন আব্দুল সামাদ, গিয়াস উদ্দিন, আউয়াল হোসেন পারভেজ, মিনহাজ উদ্দিন, আবিদ উদ্দিন ও শাহজাহানসহ আরও ১০/১৫জন ছাত্র।
শরিষপুর গ্রামের আব্দুল হান্নান জানান, তাদের পক্ষের প্রায় ৭/৮জন আহত হয়েছেন। আহতরা হচ্ছেন-সুরত মিয়া, ছালিক মিয়া, জলাল মিয়া, সাইদুল ইসলাম। আহতরা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও সিলেটের বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। এসময় অনেকের হাতে রামদাসহ দেশীয় অস্ত্র হাতে নিয়ে হামলা করতে দেখা যায়।
থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) রুবেল মিয়া জানান, মাদ্রাসার সাবেক প্রিন্সিপাল মাওলানা ন’ুমান আহমদ ১৫দিনের দু’দফা ছুটি শেষে বৃহস্পতিবার মাদ্রাসায় যোগদান করতে গেলে উভয় পক্ষোর মধ্যে এসংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
মাদ্রাসার প্রিন্সিপাল মাওলানা নু’মান আহমদের মুঠোফোনে বারবার যোগাযোগ করে তাকে পাওয়া যায়নি।
মাদ্রাসার ভারপ্রাপ্ত প্রিন্সিপাল মাওলানা নাজিমউদ্দিন সাংবাদিকদের বলেন, মাদ্রাসার প্রিন্সিপাল মাওলানা নু’মান আহমদ জোরপূর্বক মাদ্রাসায় ঢুকে দায়িত্ব নিতে চাইলে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এনিয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তৎক্ষনিকভাবে বৈঠক করেছেন। প্রিন্সিপাল মাওলানা নু’মান আহমদের ছুটির বিষয়ে তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত তিনি (মাওলানা নাজিমউদ্দিন) ভারপ্রাপ্ত প্রিন্সিপালের দায়িত্ব পালন করবেন বলে জানান।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সুনন্দা রায় বলেন, উভয় পক্ষকে নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে। উর্ধতন কর্তৃপক্ষের তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত মাদ্রাসায় ক্লাস চলবে এবং সেই তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত প্রিন্সিপাল মাওলানা নু’মান আহমদ ছুটিতে থাকবেন বলে জানান।