বিশ্বনাথে দু’পক্ষের সংঘর্ষে আহত ১০
প্রকাশিত হয়েছে : ০৫ জুন ২০২৫ ইং, ৮:৫৮ অপরাহ্ণ | সংবাদটি ৫ বার পঠিত
নিজস্ব সংবাদদাতা:: সিলেটের বিশ্বনাথে পূর্ব বিরোধদের জের ধরে দুই পক্ষের সংঘর্ষে অনন্ত ১০জন আহত হয়েছেন। বৃহস্পতিবার সকালে উপজেলার রামপাশা ইউনিয়নের পাঠাকইন গ্রামের গণি মিয়া ও চুনু মিয়ার লোকজনের মধ্যে গ্রামের মাদরাসার উত্তরের রাস্তায় এঘটনা ঘটে।
উভয় পক্ষের আহতরা হলেন-দিলনুর মিয়া, মৌরশ মিয়া, মাসুক মিয়া, মকতার আলী, চুনু মিয়া, জুবায়ের মিয়া, ওলিউর রহমান। বাকি আহতদের তাৎক্ষনিক নাম জানাযায়নি। তবে এরই মধ্যে গুরুতর আহতদের সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এরই মধ্যে গণি মিয়ার পক্ষের ৩ জনের অবস্থা আশংঙ্কাজনক বলে জানাগেছে।
জানাগেছে, গনি মিয়া ও চুনু মিয়া লোকজনের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে বিরোধ চলে আসছে। এরই জের ধওে গত ১১ রমজান তারাবির নামাজে যাওয়ার পথে গনি মিয়ার উপর অতর্কিত হামলা করা হয়। হামলার ঘটনায় চুনু মিয়াসহ ৯জনকে আসামি করে মামলা থানায় মামলা দায়ের করা হয়। এ মামলার আসামিদের মধ্যে অনেকেই জেল খেটেছেন জামিনে বের হয়েছেন। এরপর এরই জের ধরে প্রতিপক্ষ গত ২৮ মে চুনু মিয়ার প্রতিবন্ধি মেয়ে লিজা বেগমের উপর ও জালাল মিয়ার স্ত্রী ফাতেমা বেগমের হামলার ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় জালাল মিয়া বাদী হয়ে স্থানীয় এক ইউপি সদস্য আয়াজ আলীসহ ৯জনকে আসামি করে বিশ্বনাথ থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। এতে উভয়ের মধ্যে দেখা দেয় চরম উত্তেজনা। এক পক্ষ অপর পক্ষকে গায়েল করতে গত কয়েক দিন ধরে চলছে দেশীয় অস্ত্রের মহড়া। এক পর্যায়ে বৃহস্পতিবার সকাল ৯টার দিকে উভয় পক্ষের লোকজন জড়িয়ে পড়ে সংঘর্ষে। এতে উভয় পক্ষেও অনন্ত ১০জন আহত হন।
আহত চুনু মিয়া সাংবাদিকদের জানান, প্রতিপক্ষের হামলায় তিনি তার ছেলে মেয়েসহ গুরুত্বর আহত হই। অনেকেই হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে পারছেন না। সন্ত্রাসীরা হাসপাতালে গিয়েও প্রাণে হত্যার হুমকি দিচ্ছে। আমরা তাদের ভয়ে ওসমানী হাসপাতাল ত্যাগ করে অন্য হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছি।
গনি মিয়ার ছেলে মাসুম বলেন, আমাদের বিরুদ্ধে প্রতিপক্ষের আনিত সকল অভিযোগ মিথ্যা। প্রতিপক্ষ আমাদের উপর একের পর এক হামলা করেছে। চুনু মিয়া, ইয়াবা সম্রাট তবারকের নেতৃত্বে আমাদের উপর হামলা চালায়। এতে আমাদের কয়েকজন আহত হন। এরই মধ্যে ৩ জনের অবস্থা আশংকাজনক রয়েছে বলে জানান।
এবিষয়ে জানতে চাইলে বিশ্বনাথ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এনামুল হক চৌধুরী বলেন, তাৎক্ষনিক সংঘর্ষের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে যাই। সংঘর্ষেও ঘটনায় জড়িত কাউকে খুজে পাওয়া যায়নি। বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে। তবে লিখিত অভিযোগ পেলে তদন্তপূর্বক আইনি ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।