বিশ্বনাথের হাটবাজারে নেই দেশিয় মাছ।খামারপালিত চাষের পাঙ্গাস, তেলাপিয়াই ভরসা?
প্রকাশিত হয়েছে : ১৯ আগস্ট ২০২৫ ইং, ১২:১৫ অপরাহ্ণ | সংবাদটি ১৮ বার পঠিত
জামাল মিয়া:
সিলেটের বিশ্বনাথ উপজেলায় একসময় বর্ষার পানিতে হাওর-বিলে মৎস্যসম্পদ ছিল প্রাচুর্যময়। চ্যাং, ট্যাংরা, পুঁটি, কৈ, শিং, মাগুর, বাইম, খৈলসা, রানী, মলা, ঢেলা, মেনি ইত্যাদি দেশীয় মাছ এখন যেন স্মৃতিচিহ্ন মাত্র। নির্বিচার নিধন, রাসায়নিক দূষণ, বাঁধ নির্মাণ ও প্রজনন মৌসুমে অনিয়ন্ত্রিত মাছ ধরা এই সংকটকে ঘনীভূত করে তুলছে। হাওর বিলে দেশীয় মাছের সংকটের প্রভাব পড়েছে স্থানীয় মাছ বাজারগুলোতে। বাজারে জায়গা দখল করে নিয়েছে খামারপালিত চাষের পাঙ্গাস, তেলাপিয়া। মাছপ্রেমীদের হতাশা—‘মাছ আছে, স্বাদ নাই!’ মাছ ধরতে আশা জেলে মানিক মিয়া আক্ষেপ করে বলেন, আগে তো বর্ষায় হাত দিলেই কৈ উঠতো। এখন দিনভর জাল ফেলেও দুই-চারটা চ্যাং পাইলেই অনেক! জেলে করিম মিয়ার কণ্ঠে হতাশা, মাছ ধরেই সংসার চলতো, এখন সংসারই চলেনা ঠিকমতো। আগের মতো মাছ আর নাই। উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা স্বপন কুমার ধর বলেন, এবছর পানি না থাকার করনে এবং চায়না রিং, কারেন্ট ও বেড় জাল মশারি জাল মতো নিষিদ্ধ সরঞ্জাম ব্যবহার এবং পানি শুকিয়ে মাছ ধরা দেশীয় মাছের অস্তিত্ব ধ্বংস করছে। স্থানীয়দের আরও সচেতন না হলে এই ধারা থামানো সম্ভব নয়। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সুনন্দা রায় জানান, দেশীয় মাছ শুধু খাদ্য নিরাপত্তা নয়, এটি আমাদের সংস্কৃতি ও পরিবেশের অংশ। আমাদের প্রতিনিয়ত মোবাইল কোর্ট অব্যাহত আছে। গত কয়েকদিন আগে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনার মাধ্যমে অবৈধ জাল পুড়ানো হয়েছে। তবে বৈধ জাল দিয়ে মাছ ধরলে আমাদের আপত্তি নেই।