কুটির শিল্পে ঘুরছে ওদের ভাগ্যের চাকা
প্রকাশিত হয়েছে : ০৬ ডিসেম্বর ২০১৫ ইং, ১২:১৫ অপরাহ্ণ | সংবাদটি ২৪০৩ বার পঠিত
অসিত রঞ্জন দেব, আবুল কাশেম:: কুটির শিল্পের গ্রাম হিসেবে পরিচিত সিলেটের বিশ্বনাথের রাজাপুর। উপজেলার লামাকাজী ইউনিয়নের রাজাপুর গ্রামের অধিকাংশ মানুষ এ পেশায় জড়িত। বাঁশ ও বেত দিয়ে কুঠির শিল্প সামগ্রী তৈরি করে জীবিকা নির্বাহ করে আসছেন এ গ্রামের শতশত মানুষ। বিলুপ্তির পথে উপজেলায় কুটির শিল্প। কিন্তু প্রাচীন ও ঐতিহ্যবাহী বাঁশ ও বেত শিল্প ধরে রেখেছেন ওই গ্রামবাসী।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, উপজেলার রাজাপুর গ্রামের বাড়ির উঠোনে উঠোনে চলছে কুঠির শিল্প তৈরির কাজ। কেউ কাটছেন বাঁশ। কেউবা তুলছেন ফালি। পরিবারের অন্যরা দল বেধেঁ বসে তৈরি করছেন কুঠির শিল্প সামগ্রী। বসে নেই নারী, পুরুষ, বৃদ্ধ-বৃদ্ধা, শিশুরাও। সবাই নিজ নিজ কাজে ব্যস্ত সময় পার করছেন। লেখা-পড়ার পাশাপাশি স্কুল পড়ুয়া শিক্ষার্থীরাও এ কাজে ব্যস্ত সময় কাটায়। সপ্তাহব্যাপী শিল্প সামগ্রী তৈরির পর ঘরে বসেই পাইকারি বিক্রেতাদের কাছে সেগুলো বিক্রি করা হয়। স্থানীয় বাজারের চাহিদা মিটিয়ে সিলেটের বিভিন্ন বাজারে বিক্রি করা হয় রাজাপুরের কুঠির শিল্প সামগ্রী।
বংশ পরম্পরায় এ পেশায় জড়িয়ে আছেন রাজাপুর গ্রামবাসী। তারা সারাদিন উৎসবের আমেজে নারী-পুরুষ তাদের নিপুঁন হাতে তৈরি করেন কূলা, ঢাকনা, টুকরি, চাঙ্গা, মাছধরা ও রাখার সরঞ্জামসহ আরো অনেক তৈজসপত্র।
বংশ পরম্পরায় এ পেশায় জড়িয়ে আছেন রাজাপুর গ্রামবাসী। তারা সারাদিন উৎসবের আমেজে নারী-পুরুষ তাদের নিপুঁন হাতে তৈরি করেন কূলা, ঢাকনা, টুকরি, চাঙ্গা, মাছধরা ও রাখার সরঞ্জামসহ আরো অনেক তৈজসপত্র।
গ্রামের সবর উল্লাহ (৬৫) বলেন, ছোটবেলা পিতার কাছ থেকেই এ কাজ শিখি। এই কাজ করেই আমাদের সংসার চলতো। আমাদের পূর্ব পুরুষরাও এ কাজ করতেন।
গ্রামের আবদুর রহিম ও সমুজ আলী বলেন, কুঠির শিল্পে খরচ বৃদ্ধির তুলনায় জিনিসের মূল্য সে অনুপাতে পাওয়া যায়না। এখন জীবিকার তাগিদে পাশাপাশি অন্যকাজ করতে হয় আমাদের। কেবল পারিবারিক পেশা হিসেবে কুঠির শিল্পকে আঁকরে ধরে আছি।
সরকারি সহায়তা পেলে এই শিল্পের ব্যাপক প্রসার ঘটানো সম্ভব বলে তারা মনে করেন। আশা কথা হচ্ছে, এ ব্যাপারে বিশ্বনাথ উপজেলা নির্বাহী অফিসার মুহাম্মদ আসাদুল হক বলেন, কুঠির শিল্প প্রসারে সরকারি সহযোগীতা অব্যাহত আছে। পর্যায়ক্রমে সকলের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হবে। চাইলে কৃষি ব্যাংক থেকে তারা ঋণও নিতে পারবেন।
সোনালি অতীত আধুনিকতায় আবার ফিরে আসুক। জিইয়ে থাকুক আমাদের জীবন যাত্রার সঙ্গে যুগ যুগ।
গ্রামের আবদুর রহিম ও সমুজ আলী বলেন, কুঠির শিল্পে খরচ বৃদ্ধির তুলনায় জিনিসের মূল্য সে অনুপাতে পাওয়া যায়না। এখন জীবিকার তাগিদে পাশাপাশি অন্যকাজ করতে হয় আমাদের। কেবল পারিবারিক পেশা হিসেবে কুঠির শিল্পকে আঁকরে ধরে আছি।
সরকারি সহায়তা পেলে এই শিল্পের ব্যাপক প্রসার ঘটানো সম্ভব বলে তারা মনে করেন। আশা কথা হচ্ছে, এ ব্যাপারে বিশ্বনাথ উপজেলা নির্বাহী অফিসার মুহাম্মদ আসাদুল হক বলেন, কুঠির শিল্প প্রসারে সরকারি সহযোগীতা অব্যাহত আছে। পর্যায়ক্রমে সকলের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হবে। চাইলে কৃষি ব্যাংক থেকে তারা ঋণও নিতে পারবেন।
সোনালি অতীত আধুনিকতায় আবার ফিরে আসুক। জিইয়ে থাকুক আমাদের জীবন যাত্রার সঙ্গে যুগ যুগ।