ইলিয়াস আলী-চৌধুরী আলমের পথেই সালাহউদ্দিন! : রুলের আদেশ বুধবার
প্রকাশিত হয়েছে : ১০ এপ্রিল ২০১৫ ইং, ১:৪১ অপরাহ্ণ | সংবাদটি ১১২০ বার পঠিত
নিউজ ডেক্স:: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বরাবরে দু’বার স্মারকলিপি প্রদান, সাবেক প্রধান প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার সঙ্গে দু’বার, জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান, র্যাব, ডিবি, থানা পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে একাধিকভার সাক্ষাৎ করেছি। গত এক মাস এভাবে দ্বারে দ্বারে ঘুরেছি। কোনো দ্বার বাকি রাখেনি। কিন্তু গতকাল বৃহস্পতিবার অন্তর্ধানের এক মাস পেরিয়ে গেলেও কেউ সন্ধান দিতে পারেনি আমার স্বামী বিএনপি নেতা সালাহউদ্দিনের। তবে কারা আমার স্বামীকে ধরে নিয়ে গেছে, সেটি জানে দেশবাসী। সত্য একদিন অবশ্য প্রতিষ্ঠিত হবে। গুম হওয়া বিএনপি নেতা ইলিয়াস আলী, চৌধুরী আলমসহ অনেকের মতো আমার স্বামীও কি একই পথে হারিয়ে গেলেন কিনা মাঝেমধ্যে এমন শঙ্কা আর আশঙ্কা ভর করে। তবে আমার স্বামী যে কোনো দিন পরিবারের মাঝে ফিরে আসবে এখনো সে স্বপ্নই দেখি। গত এক মাস ধরে বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব নিখোঁজ সালাহউদ্দিন আহমেদের স্ত্রী সাবেক এমপি হাসিনা আহমেদ কান্নাজড়িত কণ্ঠে এসব কথা বলেন।
অপরদিকে বিএনপি নেতা সালাহউদ্দিন আহমেদ অন্তর্ধানের বিষয়ে রুলের আগামী বুধবার আদেশ দেবেন হাইকোর্ট। ওই রুলটি হাইকোর্টে দায়ের করেছিলেন বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা ও সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি খন্দকার মাহবুব হোসেন। গত বুধ ও বৃহস্পতি এ বিষয়ে হাইকোর্টের বিচারপতি কামরুল ইসলাম সিদ্দিকী ও বিচারপতি গোবিন্দ চন্দ্র ঠাকুরের বেঞ্চে শুনানি হয় বলে আদালত সূত্র জানিয়েছে।
গত ১০ মার্চ রাতে উত্তরায় একটি বাসা থেকে নিখোঁজ হন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সালাহউদ্দিন আহমেদ। ঘটনার পর থেকে সালাহউদ্দিনের স্ত্রী হাসিনা আহমেদ জোর দাবি করে আসছেন, তার স্বামীকে ডিবি পরিচয়ে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা ধরে নিয়ে গেছেন। আর সরকার ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর প্রধানরা একাধিকবার জানিয়েছেন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা সালাহউদ্দিনকে আটক কিংবা গ্রেফতার করেনি। বরং তাকে খুঁজে বের করার চেষ্টা চলছে।
বিএনপি নেতা নিখোঁজ সালাহউদ্দিন আহমেদের স্ত্রী সাবেক এমপি হাসিনা আহমেদ অভিযোগ করে আবেগাপ্লুত হয়ে বলেন, আমার স্বামীকে খুঁজে বের করতে নাকি সার্চ কমিটি গঠন করেছে পুলিশ। এত দিনেও ওই কমিটির সদস্যরা আমাদের বাসায় আসেনি। আমাদের পরিবারের কারো সঙ্গে কোনো যোগাযোগই করেনি। তিনি বলেন, এক মাস পর হঠাৎ গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেল ৪টার দিকে উত্তরার উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) ইকবাল হোসেন ফোন করেছিলেন আমাকে। তিনি নতুন কোনো তথ্য দেননি। এমন লোক দেখানো পুলিশের সার্চ কমিটি গঠন করা হাস্যকর ছাড়া কিছু নয়, মন্তব্য হাসিনার। দীর্ঘ এক মাসেও সালাহউদ্দিনকে ফিরে পেতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের কোনো সহযোগিতা পাননি বলেও অভিযোগ করেন তিনি।
আবেগাপ্লুত হাসিনা আহমেদ বলেন, স্বামীর সন্ধান পেতে সর্বশেষ গত মঙ্গলবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কার্যালয়ে গিয়ে স্মারকলিপি দিয়ে এসেছি। এর আগে গত ১৯ মার্চ একইভাবে স্মারকলিপি দিয়েছিলাম। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দয়ালু হয়ে আমার স্বামীকে খুঁজে বের করতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে নির্দেশ দেবেন বলে আশা করেছিলাম। তিনি বলেন, এর আগে সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার সঙ্গেও দু’বার দেখা করেছি। আর ঘটনার পর থেকে মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান, র্যাব, ডিবি, থানা পুলিশের পদস্থ কর্মকর্তাদের দ্বারে দ্বারে ঘুরেও কারো কাছ থেকে আশার বাণী শুনতে পাইনি।
এদিকে বিএনপি নেতা সালাহউদ্দিনের খোঁজে গত ১৬ মার্চ জয়েন্ট কমিশনার (ক্রাইম) মীর রেজাউল আলমকে প্রধান করে তিন সদস্যের সার্চ কমিটি গঠন করে ঢাকা মহানগর পুুলিশ (ডিএমপি)। কমিটির অপর দুই সদস্য হলেনÑ পুলিশের উত্তরা বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) ইকবাল হোসেন ও ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি, উত্তর) শেখ নাজমুল আলম। ওই কমিটির দৃশ্যমান কোনো কার্যক্রম এখনো কারো চোখে পড়েনি।
জানা গেছে, সরকারি কর্মকর্তা হিসেবে ১৯৯১-৯৬ মেয়াদে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার এপিএস ছিলেন সালাহউদ্দিন আহমেদ। পরে তিনি চাকরি ছেড়ে কক্সবাজারের এমপি হন এবং ২০০১ সালে তিনি প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব পান। গত ১০ মার্চ রাতে উত্তরার একটি বাসা থেকে গোয়েন্দা পুলিশ পরিচয়ে বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সালাহউদ্দিন আহমেদকে তুলে নিয়ে যাওয়া হয় বলে তার পরিবারের অভিযোগ। সূত্র মানবকন্ঠ
অপরদিকে বিএনপি নেতা সালাহউদ্দিন আহমেদ অন্তর্ধানের বিষয়ে রুলের আগামী বুধবার আদেশ দেবেন হাইকোর্ট। ওই রুলটি হাইকোর্টে দায়ের করেছিলেন বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা ও সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি খন্দকার মাহবুব হোসেন। গত বুধ ও বৃহস্পতি এ বিষয়ে হাইকোর্টের বিচারপতি কামরুল ইসলাম সিদ্দিকী ও বিচারপতি গোবিন্দ চন্দ্র ঠাকুরের বেঞ্চে শুনানি হয় বলে আদালত সূত্র জানিয়েছে।
গত ১০ মার্চ রাতে উত্তরায় একটি বাসা থেকে নিখোঁজ হন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সালাহউদ্দিন আহমেদ। ঘটনার পর থেকে সালাহউদ্দিনের স্ত্রী হাসিনা আহমেদ জোর দাবি করে আসছেন, তার স্বামীকে ডিবি পরিচয়ে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা ধরে নিয়ে গেছেন। আর সরকার ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর প্রধানরা একাধিকবার জানিয়েছেন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা সালাহউদ্দিনকে আটক কিংবা গ্রেফতার করেনি। বরং তাকে খুঁজে বের করার চেষ্টা চলছে।
বিএনপি নেতা নিখোঁজ সালাহউদ্দিন আহমেদের স্ত্রী সাবেক এমপি হাসিনা আহমেদ অভিযোগ করে আবেগাপ্লুত হয়ে বলেন, আমার স্বামীকে খুঁজে বের করতে নাকি সার্চ কমিটি গঠন করেছে পুলিশ। এত দিনেও ওই কমিটির সদস্যরা আমাদের বাসায় আসেনি। আমাদের পরিবারের কারো সঙ্গে কোনো যোগাযোগই করেনি। তিনি বলেন, এক মাস পর হঠাৎ গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেল ৪টার দিকে উত্তরার উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) ইকবাল হোসেন ফোন করেছিলেন আমাকে। তিনি নতুন কোনো তথ্য দেননি। এমন লোক দেখানো পুলিশের সার্চ কমিটি গঠন করা হাস্যকর ছাড়া কিছু নয়, মন্তব্য হাসিনার। দীর্ঘ এক মাসেও সালাহউদ্দিনকে ফিরে পেতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের কোনো সহযোগিতা পাননি বলেও অভিযোগ করেন তিনি।
আবেগাপ্লুত হাসিনা আহমেদ বলেন, স্বামীর সন্ধান পেতে সর্বশেষ গত মঙ্গলবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কার্যালয়ে গিয়ে স্মারকলিপি দিয়ে এসেছি। এর আগে গত ১৯ মার্চ একইভাবে স্মারকলিপি দিয়েছিলাম। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দয়ালু হয়ে আমার স্বামীকে খুঁজে বের করতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে নির্দেশ দেবেন বলে আশা করেছিলাম। তিনি বলেন, এর আগে সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার সঙ্গেও দু’বার দেখা করেছি। আর ঘটনার পর থেকে মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান, র্যাব, ডিবি, থানা পুলিশের পদস্থ কর্মকর্তাদের দ্বারে দ্বারে ঘুরেও কারো কাছ থেকে আশার বাণী শুনতে পাইনি।
এদিকে বিএনপি নেতা সালাহউদ্দিনের খোঁজে গত ১৬ মার্চ জয়েন্ট কমিশনার (ক্রাইম) মীর রেজাউল আলমকে প্রধান করে তিন সদস্যের সার্চ কমিটি গঠন করে ঢাকা মহানগর পুুলিশ (ডিএমপি)। কমিটির অপর দুই সদস্য হলেনÑ পুলিশের উত্তরা বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) ইকবাল হোসেন ও ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি, উত্তর) শেখ নাজমুল আলম। ওই কমিটির দৃশ্যমান কোনো কার্যক্রম এখনো কারো চোখে পড়েনি।
জানা গেছে, সরকারি কর্মকর্তা হিসেবে ১৯৯১-৯৬ মেয়াদে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার এপিএস ছিলেন সালাহউদ্দিন আহমেদ। পরে তিনি চাকরি ছেড়ে কক্সবাজারের এমপি হন এবং ২০০১ সালে তিনি প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব পান। গত ১০ মার্চ রাতে উত্তরার একটি বাসা থেকে গোয়েন্দা পুলিশ পরিচয়ে বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সালাহউদ্দিন আহমেদকে তুলে নিয়ে যাওয়া হয় বলে তার পরিবারের অভিযোগ। সূত্র মানবকন্ঠ