বিশ্বনাথে ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে ৯ সদস্যের অনাস্থা
প্রকাশিত হয়েছে : ২০ অক্টোবর ২০২৪ ইং, ৪:৫১ অপরাহ্ণ | সংবাদটি ১৫৩ বার পঠিত
নিজস্ব সংবাদদাতা:: সিলেটের বিশ্বনাথ উপজেলার খাজাঞ্চি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আরশ আলী গণির বিরুদ্ধে অনাস্থার আবেদন দিয়েছেন ইউনিয়ন পরিষদের ৭ সদস্য ও ২ সংরক্ষিত মহিলা সদস্যগণ। আজ রোববার দুপুরে উপজেলার নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) সুনন্দা রায় বরাবর এ লিখিত আবেদন জমা দেয়া হয়েছে।
লিখিত অনাস্থার আবেদনে জানা গেছে, উপজেলার খাজাঞ্চি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আরশ আলী গণি প্রথমবারের মতো নৌকা প্রতীক নিয়ে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হওয়ার পরে দলীয় প্রভাব খাটিয়ে পরিষদের যাবতীয় কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছেন। অনিয়ম ও দুর্নীতিতে ছিলেন বেপরোয়া। পরিষদের যে সকল বরাদ্দ আসে চেয়ারম্যান পরিষদের নির্ধারিত সদস্যদের না জানিয়ে পছন্দ মতো লোকজনকে নিয়ে কিছু কাজ দেখিয়ে সম্পূর্ণ বরাদ্দ আত্বসাৎ করেন। বয়স্ক-বিধবা, প্রতিবন্ধি ভাতা প্রকৃত ভূক্তভোগিকে না দিয়ে যার কোনো ভাতার প্রয়োজন নেই তাকে তিনি টাকার বিনিময়ে ভাতা বিক্রি করেন।
আরও জানা যায়, পরিষদের আয়-ব্যয়ের হিসাব চাইতে গেলে তখন চেয়ারম্যান খারাপ আচরণ এবং নানা ধরনের হুমকি-ধামকি দিয়ে থাকেন এবং যাহাতে ইউপি সদস্যরা তার কাছে হিসাব না চান। পরিষদের কোনো ধরনের রিলিপ বা সরকারি ত্রাণ বরাদ্দ আসলে ইউপি সদস্যদের না জানিয়ে চেয়ারম্যান মনগড়া ভাবে এ বরাদ্দগুলো বন্টন করে। উপজেলার জনস্বাস্থ্য প্রকৌশলী হতে বরাদ্দকৃত ১৫টি ডিপ-নলকূপ পরিষদের সদস্য ও সদস্যাদের না জানিয়ে ভূয়া রেজুলেশন করে চেয়ারম্যানের নিজের কিছু কাছের মানুষকে বিতরণ করেন।
এসব কারণে চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব এনে আবেদনে স্বাক্ষর করেন খাজাঞ্চি ইউপি সদস্য শফিক মিয়া, বখতিয়ার আহমদ, পংকজ বিহারী দাস, আবদুর রব রাজু, হবিবুল ইসলাম, ফজলুল হক, মতিন মিয়া, সংরক্ষিত মহিলা সদস্য সুনাবান বিবি, পারভিন বেগম। তারা চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে আনিত অনাস্থার আবেদনটি গ্রহণপূর্বক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার জোর দাবি জানিয়েছেন।
এবিষয়ে ইউপি চেয়ারম্যান আরশ আলী গণি বলেন, ইউপি সদস্যদের আনিত অভিযোগ সঠিক নয়। আমার বিরুদ্ধে কিছু লোক ষড়যন্ত্র করে আসছে।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার সুনন্দা রায় বলেন, আমি জেলা প্রশাসক মহোদয়ের কার্যালয়ে সভায় রয়েছি। বিষয়টি আমার জানা নেই। তবে খোজ নিয়ে দেখব।